ফারুকীর চটকদার বিজ্ঞাপন ক্রাউন সিমেন্টের বায়ু দূষণ লুকাবে কী করে?

প্রবীর বিধান
Published : 4 Oct 2015, 06:05 PM
Updated : 4 Oct 2015, 06:05 PM

মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী নির্মিত ক্রাউন সিমেন্টের (এম আই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি) বিজ্ঞাপন দেখে উনার মতো অনেকেরই "আবেগে কেঁদেছি, আনন্দে হেসেছি" টাইপ অবস্থা। আশা করা যাচ্ছে তাদের দুইজনেরই কাটতি বাড়বে। কিন্তু বিজ্ঞাপন নির্মাতা, ক্রেতা ও জনগন মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকায় অবস্থিত এই সিমেন্ট তৈরির কারখানা সম্পর্কে কতটুকু জানে?

গত ২০১২ সালের ২৪শে এপ্রিল ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে অবস্থিত এই কারখানাকে বায়ু দূষণের দায়ে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। তদন্তে দেখা যায় কারখানা ও আশেপাশের এলাকায় বাতাসে সালফার ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ছিল ১,১১৩ কিউবিক মিটার (অনুমোদিত মান ৮০) এবং দূষিত বস্তুকণা ২,৭২৭ কিউবিক মিটার (অনুমোদিত মান ২০০)। কিন্তু এদের শিক্ষা হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে পরিবেশ অধিদপ্তর সম্প্রতি আবারো এই কারখানার বিরুদ্ধে বায়ু দূষণের প্রমাণ পেয়েছে।

এ বছরের মার্চে প্রকাশিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত উল্লেখযোগ্য দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আশুলিয়ার দেউর এলাকায় অবস্থিত ক্রাউন সিমেন্ট কংক্রিট অ্যান্ড বিল্ডিং প্রডাক্ট লিমিটেডও আছে। গতবছরের মার্চে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধনের দায়সহ কয়েকটি অভিযোগে কারখানাটিকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করে বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।

এদিকে এ বছরের জুনে ক্রাউন সিমেন্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।

আর আগস্টে চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ নর্থইস্ট নাম্বার থ্রি ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ও ক্রাউন সিমেন্ট মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ি ক্রাউন সিমেন্ট বড়পুকুরিয়ার ২৭৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সিমেন্ট সরবরাহ করবে।

চটকদার বিজ্ঞাপন আর ঘুষ দিয়ে কি অপরাধ ঢাকা যায়?