গত দুইদিনে দুইটি প্রধান দৈনিকে এদের বিজ্ঞাপনটা দেখে নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল। বিজ্ঞাপনের ভাষা এমন যে তারা ২০১২ থেকে টানা চারবার শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ড হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে! অথচ গত ২৭ অক্টোবর বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব সোবহানী ক্ষতিকর ফ্রুটিকা জুস উৎপাদন, সরবরাহ ও ১০০ ভাগ পিওর ঘোষণা দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের দুই কর্তা শেখ বশিরউদ্দীন এবং শেখ জামিলকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং বিক্রেতা মোহাম্মদ আজিজুল হক সর্দারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বিসিএসআইআর-এর এক পরীক্ষায় দেখা যায়, ১০০ ভাগ প্রিজারভেটিভ বিহীন ঘোষণা দেওয়া হলেও ফ্রুটিকায় মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর মারাত্মক ৬১% সোডিয়াম বেনজোনাইট ও ৬৪% সালফার ডি অক্সাইড রয়েছে। এই দুই রাসয়নিকের একত্রে ব্যবহারে মানবদেহে ভয়ঙ্কর ক্যান্সার সংক্রমতি হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আদালত তার রায়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর ফ্রুটিকা ম্যাঙ্গো ফ্রুট জুস বা পিওর ফ্রুটিকা জুস বিজ্ঞাপন যাতে ভবিষ্যতে প্রচারিত না হতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেন।
এর আগে ২২শে এপ্রিল পরিবেশ ও জলজ জীববৈচিত্রের ক্ষতি করায় ধামরাই উপজেলার কুষ্ণপুরা এলাকার ফ্রুটিকা উত্পাদনকারী আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এদেশে এতোই মারাত্মক যে, এত কিছুর পরেও ব্যবসাবান্ধব বাংলাদেশের মিডিয়া এই আদালতের তথ্য জনগনকে জানতে দেয় না, আর ফ্রুটিকারা প্রধান প্রধান দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেয়, দোকানীরা ফ্রুটিকার বোতল সাজিয়ে রাখে আর পাবলিক পিওর ভেবে ফ্রুটকা খেতেই থাকে।