মাদক পাচারকারী ভারত চায় না ব্যবসা বন্ধ হোক

প্রবীর বিধান
Published : 16 March 2012, 03:55 PM
Updated : 16 March 2012, 03:55 PM

আজকে দিল্লীতে বিজিবি-বিএসএফ'র বৈঠকে বাংলাদেশ ১৫টি ফেন্সিডিল কারখানার একটি তালিকা দেয় যেগুলো ভারতের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত।

দুঃখজনক হলেও সত্য ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে তারা বিষয়টি দেখবে। এটা বাংলাদেশ কর্মকর্তাদের জন্য লজ্জার যে, এইরকম একটা ধ্রুব সত্য তারা মুখের উপর অস্বীকার করলো। অথচ কিছুদিন আগে বিএসএফ বাংলাদেশে চালু ৪৫টি ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ক্যাম্পের তালিকা বিজিবির হাতে গছিয়ে দিল।

এদিকে আরেকটা আফসোসের ব্যাপার হলো, গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মাদক সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে জানা যায় বাংলাদেশে আসা সব হেরোইনের যোগান দেয় ভারত। অথচ এই বিষয়ে কোন পক্ষই কিছু আলোচনা করেছে বলে গনমাধ্যমে আসেনি।

ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী-জঙ্গী দমনে গত ৩ বছরে বিশাল সাফল্য দেখিয়ে সেদেশের যে উপকার করেছে বাংলাদেশ, তার প্রতিদানে মাদক ব্যবসা বন্ধ করে দেয়নি কেন ভারত?

সীমান্তে হত্যার বিষয়ে যতটুকুই বা আলোচনা হয়েছে এখন পর্যন্ত তার বিশেষ কিছু জানা যায়নি। শুধু বলা হয়েছে তারা ব্যবস্থা নেবে গুলির ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়া আনার চেষ্টা করবে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমাদের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজিবি প্রধানেরা মনে করে সীমান্তে মানুষ মরতেই পারে, এই জন্য আর ভারতকে চাপ দিয়া লাভ কি!

চাপ দিলে যে লাভ হয় সেটা কদিন আগে বাংলাদেশীকে নির্যাতনের জন্য ৮বিএসএফ সদস্যের জেলে যাওয়া দেখে বুঝা উচিৎ বাংলাদেশ সরকারের। অন্যায় করলে গ্রেপ্তার করবে, কিন্তু গুলি করে মারবে কেন? বাংলাদেশের মানুষ কি গুলি প্র্যাকটিস করার টার্গেট ওদের কাছে?

গত বছর বাংলাদেশ সরকার রাবার বুলেটে রাজি হয়েছিল, সেটাই বা কেন? কেন সাহারা বুক ফুলিয়ে বলতে পারলো না যে গুলি করা যাবেনা, গ্রেপ্তার করুন, বিচার করুন।

পৃথিবীর আর কোন সীমান্তে এত মানুষ মারা যায় না। অথচ দুই সরকারেরই দাবি তারা "বন্ধুপ্রতীম দেশ"। সেটা যে নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য তা আর বুঝতে বাকি নেই আমাদের।

আমার জানামতে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা ৫টা ভারতীয় মাদক ব্যবসায়িকে ভারতের ভূখন্ডে মারেনি।