পুলিশি নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মানবাধিকার—কিস্তি ৩

প্রবীর বিধান
Published : 6 June 2012, 04:47 AM
Updated : 6 June 2012, 04:47 AM

সাম্প্রতিককালে এই বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে চলছে আলোচনা, সমালোচনা, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। সাধারন মানুষও স্তম্ভিত কিন্তু সরকার ও সরকারি দলের টনক কি নড়বে এসবে?
পুলিশি নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মানবাধিকার—কিস্তি ২
পুলিশি নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মানবাধিকার—কিস্তি ১
সন্ত্রাস-পুলিশ-আইন নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু কথা ও ছবি

খালেদঃ আমি জনাব ডঃ মিজানুর রহমানের কাছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনের ৩টি ধারা নিয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করবো। একটি হচ্ছে ১২ (ক) যার মাধ্যমে আপনি তদন্ত করতে পারবেন; কিন্তু আমি যতটুকু জানি আপনার কোন তদন্ত সেল নাই। ১৮ (১) এ আছে আপনি প্রতিবেদন চাইতে পারবেন; কিন্তু এটা বলা নাই আপনি না চাইলে (আপনাকে না দিলে) সরকারকে আপনি কি করতে পারবেন তা আইনে বলা নাই। আর ১৯ (১) (ক)-তে বলা আছে আপনারা সুপারিশ করতে পারবেন কোন আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে; কিন্তু সুপারিশ না করলে (না শুনলে) কি করবে তা বলা নাই। আপনার একটু হাত-পা বাঁধা…এরকম মনে হয় কিনা?

মিজানুরঃ আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা দিলেন বিচ্ছিন্নভাবে, তাতে এরকম মনে হতে পারে যে আমাদের ক্ষমতা বেঁধে দেয়া হয়েছে, এর ভেতরে থেকে কতটুকুই বা কাজ করা যায়। কিন্তু আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন কিন্তু এগুলোকে বাঁধা হিসেবে দেখিনি একটিমাত্র কারনে যে আমরা যাত্রা শুরু করেছি, সুলতানা আপাদের অনেকদিনের আন্দোলনের ফলে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা ভেবেছি আইনবলে আমাদের যতটুকু ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আমরা চেষ্টা করে দেখিনা কেন আমরা কতদূর যেতে পারি। যখন আমরা কাজ করতে থাকবো তখন আমরা বাস্তবের সাথে মুখোমুখি হতে হতে স্পষ্ট করে বুঝা যাবে কতখানি বাঁধার সৃষ্টি করছে। আমার একটি দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে, আমাদের কর্মকান্ডের ফলে যদি জনগনের মনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে পারি, আস্থার জায়গাটা যদি তৈরি করতে পারি, তাহলে কিন্তু কাগজে-কলমে কতটুকু ক্ষমতা আছে সেটা কিন্তু খুব বেশি প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় না। তখন জনগনের আস্থা, আর তাদের শক্তি যে মানবাধিকার কমিশনের পেছনে থাকবে সেটা দিয়েই কিন্তু অনেকদূর পর্যন্ত যাওয়া যাবে।

খালেদঃ স্যার, আমরা অনেকগুলি প্রতিষ্ঠানকে দেখি যাদের কাগজে-কলমে অনেক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তারপরেও পারেনা। আপনাদের যদি কাগজে-কলমেই না দেয়া তাহলে…

মিজানুরঃ আমরা কিন্তু না পেয়েও অনেক কিছু করছি। That is what makes a difference. আপনি হয়তো জেনে খুশি হবেন, প্রথম দিকে যখন আমরা কাজ শুরু করেছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে আমরা যখন একটা প্রতিবেদন চাইতাম সময় বেঁধে দিয়ে, তখন মাসের পর মাস চলে যেত, কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় চিঠির উত্ত পর্যন্ত দেবার প্রয়োজন মনে করতো না। আজকে আমি আপনাকে দৃড়ভাবে বলতে পারি, আমাদের পত্র পাবার পর যেভাবে সময় বেঁধে দেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখছি যে সেই সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদনগুলো পাচ্ছি এবং তারা আমাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছে।

খালেদঃ স্যার, আপনি তো অধিকাংশ ক্ষেত্রে বললেন, কিন্তু এই যে রাষ্ট্রপতির কাছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড নিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করছেনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হচ্ছে কমিশন। আপনি চিঠির পর চিঠি দিয়ে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কিন্তু আপনার চিঠির জবাব দিচ্ছেনা।

মিজানুরঃ এটিও আছে, আমি বলছি যে অনেকগুলো ক্ষেত্রে… আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেগুলো স্পর্শকাতর, যেগুলো জনগনের মনে নানারকম প্রশ্নের উদ্রেগ করে সেগুলো নিয়ে তারা টালবাহানা করে, বলে তদন্ত শেষ হয়নি, চলছে, আরো সময় বাড়িয়ে দেয়া হোক—এগুলোও চলছে আর কি। এবং আমরা ইতিমধ্যেই ঠিক করেছি যে, আমাদের ৪টি বিশেষ স্পর্শকাতর বিষয় ছিল যেগুলো নিয়ে আগামী পরশু আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বসার কথা। আজকেই কিন্তু ২টি প্রতিবেদন পেয়ে গেছি আমরা। তার মানে দেখুন আমাদের কাজের মাধ্যমেই কিন্তু আমাদেরকে seriously নেবার একটা প্রবনতা আমরা লক্ষ্য করছি যেটা আমি মনে করি মানবাধিকার কমিশনের কাজের ক্ষেত্রে।

তবে আপনি যেগুলো বলেছেন, এগুলো…যেমন ধরুন আমরা একটি তদন্তে দেখলাম র‍্যাবের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ছিল নিখোঁজ বা গুম হয়ে যাবার। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেলো all the fingers are pointed towards an officer কিন্তু তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি। যখন আমরা ফেরত পাঠালাম তদন্ত প্রতিবেদনটি এই বলে যে যার দিকে আপনারা সবাই অঙ্গুলি নির্দেশ করছেন তাকে জিজ্ঞাসা না করে কিভাবে আপনারা তদন্ত শেষ করলেন? তখন উত্তর আসলো he comes from a military background, so উনি উনার mother force-এ চলে গেছেন এবং ওখানে গিয়ে জিজ্ঞাসা করার ক্ষমতা আমাদের নেই। So that is the hindrance. ওখানে গিয়ে কিন্তু আমরা আটকে যাচ্ছি। তখন আমরা চিঠি দিয়েছি defence ministry-র মাধ্যমে যে আপনারা উনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমাদের জানান, এতে হয়তো ৬মাস সময় লেগে যেতে পারে।

খালেদঃ আমি কি স্যার দর্শকদের বলবো যে, আপনি এ বিষয়ে কথা বলছেন সেই প্রসঙ্গে প্রথম যে চিঠিটি পাঠিয়েছেন তা ১০ নভেম্বর ২০০৮ সালে।

মিজানুরঃ Exactly, you are absolutely right.

খালেদঃ সাড়ে ৩বছর।

মিজানুরঃ হ্যাঁ।

সাদাতঃ ২০০৮ সালে কি আপনারা জয়েন করেছিলেন?

খালেদঃ ২০০৯ সালে মানবাধিকার কমিশন গঠিত, কিন্তু ঐ আইনে আছে যে ২০০৮ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে এটা কার্যকর।

মিজানুরঃ তখন বিচারপতি আমিরুল ইসলাম ছিলেন। উনি কিন্তু চিঠিটা লিখেছিলেন। এরকম দু-একটি ক্ষেত্রে যে ঘটেনা তা কিন্তু না।

খালেদঃ আচ্ছা, এটি একটি ব্যতিক্রম। সুলতানা কামালের কাছে জানতে চাই মানবাধিকার কমিশনের বিষয়ে মানুষের আস্থার জায়গাটা তৈরি হয়েছে কিনা।

সুলতানাঃ ডঃ মিজান এখানে বসে আছেন বলে নয়, আমার নিজের অনুভূতি থেকে এবং অন্যান্য মানুষদের কাছ থেকে আমি যে তথ্যটা পাই তা হলো মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি আশাবাদী এখন হয়েছে। একটা কথা আপনি বলছিলেন অনেক সময় ক্ষমতা দেয়া থাকলেও কাজ করা যায়না, আবার ক্ষমতা না থাকলেও ক্ষমতার নানা পথ ধরে কিছু কিছু কাজ করা যায়। আমরা একটা কথা বলি যে, আমাদের যে দায়িত্বটা দেয়া হলো সেটা আমরা letter অনুযায়ি নেব না spirit অনুযায়ি নেব? যদি কাজটাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে spirit হিসেবে নেয়া যায় এবং আমি যদি কাজটা সম্মান ও গুরুত্ব দিয়ে করি সেটার একটা gravity কিন্তু কোথাও না কোথাও অনুভূত হয়, পাওয়া যায়। এবং তখন কিন্তু অনেক সমর্থক শক্তি পাশে চলে আসে, সেটা নিয়ে এগুনো যায়। ডঃ মিজানের কাজের মধ্যে এবং এখন যে নতুন human rights commission গঠিত হয়েছে তারা যেহেতু তাদের কাজটাকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছে সেহেতু আমরাও যারা আশেপাশে আছি আমরাও তাদের সাথে যুক্ত হতে পারছি, যোগ করতে পারছি শক্তি এবং সমস্ত কিছু মিলে মানুষজন কিন্তু আগের থেকে অনেক বেশি আশাবাদী হয়েছে। হয়তো অনেক নিখুঁতভাবে কাজগুলো পরিচালনা করতে পারছেনা। আমি নিজেও একতা মানবাধিকার সংগঠন পরিচালনা করি আমরাও তো চেষ্টা করি, সবসময় কি আর সম্পূর্ণ কাজটা করতে পারি? কিন্তু আমাদের চেষ্টা, নিষ্ঠা, আমাদের স্বচ্ছতাটা যদি বজায় থাকে, যেটা আমাদের সবসময় করা উচিত, তাহলে কিন্তু মানুষ আস্থা রাখবে এবং মানুষই তখন আমাদেরকে শক্তিটা দেবে, হাতে হাত মিলিয়ে আমাদের শক্তিশালী করে দেবে।

সাদাতঃ এই মানবাধিকার কমিশনটা যখন করা হয় তখন আমি এর সাথে যুক্ত ছিলাম। সরকার কিন্তু স্বতপ্রনোদিত হয়ে এটা করেনি। বাহির থেকে চাপ ছিল, বিশেষ করে মানবাধিকার গোষ্ঠীর। At one go, এটা সাংঘাতিক ভাবে effective হবে এটা আমরা যারা এটা পাশ করানোর ব্যাপারে কাজ করেছি তা আমরা মনে করিনি। আপনি অনেক ক্ষমতার কথা বলেছেন। এসব কথা আলোচনার সময় উঠেছে যে, এটা তো toothless হলো। বাংলাদেশে কিন্তু মানবাধিকার কমিশনের ব্যাপারে ১০-১২ বছর ধরে আলোচনা হচ্ছিল, কিন্তু এটা হচ্ছিল না। তবুও আমরা ভেবেছি with some inadequacy-তেও যদি আইনটা হয়ে যায় তবুও এটা একটা বড় achievement হবে, সেভাবেই এটা পাশ করা হয়েছে। মনে করা হয়নি, at one go একটা সম্পূর্ন, পরিশোধিত, perfect একটা law হবে; এটা হবে, আস্তে আস্তে হবে। কিছু একটা তো এখন আছে, অন্তত যাওয়ার একটা সন্সথা আছে, লোক আছে এবং কেউ কথা বলছে। এই কথাগুলি হয়তো এখন কেউ শুনছেনা, কিন্তু ভবিষ্যতে শোনার জন্য উনারাই আবার প্রস্তাব দিবেন। আবার সন্সথা বলবে এটা এটাকে আরো spike করা হোক, তখন হয়তো এটা আরো improved হবে।

খালেদঃ সুলতানা আপার কাছে জানতে চাইবো, আমাদের এখানে কিন্তু ঘটনার স্রোত আসে। একটি ঘটনা ঘটে গেলে পরে এটাকে আর monitor করা হয়নি। একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে এটাকে আপনি আপনার কাজটিকে কিভাবে বিবেচনা করেন?

সুলতানাঃ অনেক সময় বাস্তবক্ষেত্রে এটা মনে হয়, দেখাও যায় কিন্তু আমাদের একটা লক্ষ্য থাকা উচিত যা, কোন কাজ যখন হাতে নিয়েছি সেটার চূড়ান্ত ফলটা দেখা। সেটা যদি না হয় তখন কিন্তু মানুষের মনের মধ্যে হতাশা চলে আসে যে, কাজটা শুরু হয়েছিল কিন্তু শেষ তো হলো না, ফলটা তো আমরা পেলাম না। বলে না, justice যদি না করা হয়, justice যদি মানুষ অনুভব করতে না পারে এতাকে কিন্তু বিচার হওয়া বলেনা। মানুষের কিন্তু বাস্তব জীবনে বিচারটাকে পেতে হবে, বিচারটাকে ভোগ করতে হবে, তখনই কিন্তু বলা চলে যে সেখানে বিচার হয়েছে। সেজন্যেই মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে আমাদের কিন্তু অনবরত এর পেছনে লেগে থাকতে হয়। এবং পেছনে লেগে থাকাটা, অধ্যাবসায়টা আমাদের চরিত্রের মধ্যে নিয়ে আসতেই হয়। না হলে কিন্তু হবেনা।

খালেদঃ স্যারের কাছে প্রশ্ন মানবাধিকার রক্ষায় বিচারিক আদালতের ভূমিকাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

মিজানুরঃ আমি বলবো আমাদের দেশে যে অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির যে অবনতিটা ঘটে, দেখা যায় যে জনগন আইন নিজের হাতে তুলে নেয়, এর অন্যতম কারন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে। সেখানে দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে, সেখানে দরিদ্র মানুষ যেতে পারছেন না, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আদালত সবসময়ই যে আইন অনুসারে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এমনটি কিন্তু দৃশ্যমান হয়না। নানা কারনেই কিন্তু এক ধরনের আস্থাহীনতা জনগনের মধ্যে বাসা বাঁধে, বিশেষ করে গ্রামীন দরিদ্র জনগনের ভেতরে যারা আদালতে আসতে চান না। এই অবস্থা থেকে যতক্ষন না আমাদের উত্তরন ঘটছে ততক্ষন পর্যন্ত কিন্তু মানবাধিকার পরিস্থিতি আদালতের মাধ্যমে এগুলোকে প্রয়োগ করা এবং বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিনসাধ্য হবে।

আমি একটি কথা বলি, ঐ ডানকো'র কথাটা যে, আমি কেন ডানকো হতে পারছিনা। আমি কিন্তু ডানকো হতে পারি, আমরা কিন্তু সেই প্রক্রিয়া সেই সংগ্রামে কিন্তু আমরা আছি। আমরা কিন্তু এখনো বুক চিড়ে দেখাতে পারি লিমনের জন্য আমাদের বুক কাঁদে, কাদেরের জন্য আমরা কষ্ট পাই, সাংবাদিক নির্যাতন হলে সেই নির্যাতনের যে ঘা, যে মর্মবেদনা সেটা কিন্তু আমরাও অনুভব করি। কিন্তু আমরা চাই আমাদের কর্মকান্ডের ভেতর দিয়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষ্র মধ্যে এই মর্মবেদনা এবং মানুষের মর্যাদা সম্পর্কে যে চেতনে সেটি যেন বাসা বাঁধে। যেন মানবাধিকারের প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল থাকেন, আমার দায়িত্ব যেন আমি সঠিকভাবে পালন করি, যেন আমি দায়িত্ব সম্পাদনের মাধ্যমে মানুষের অধিকার যেন সুপ্রতিষ্ঠিত ও সুনিশ্চিত হতে পারে। সেই কাজটি কিন্তু আমরা মানবাধিকার কমিশন ঐকান্তিকতার মাধ্যমে, সততার সাথে, নিষ্ঠার সাথে করে যাচ্ছি।

খালেদঃ আমরাও আশা করবো যেন আপনারা এটা করতে পারেন। ডঃ সাদাত হোসেন বিচারের ক্ষেত্রে ডঃ মিজান যেসব সমস্যার কথা বললেন সেখান থেকে উত্তরনের উপায়টা আমাদের যদি বলতেন।

সাদাতঃ বিচার আদালতে দুটি ভাগ আছে, একটা হলো substantive part যেখানে বিচার হয়। বিচারের কিন্তু চূড়ান্ত রায় নিয়ে বাংলাদেশে কিন্তু বড় প্রশ্ন এখনো আসেনি। একদম highest court যে রায় দিয়েছে শেষপর্যন্ত সেগুলো কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। Most প্রব্লেম হলো procedural aspect-এ যা কিনা police-magistrate-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যখনই কাউকে harass করতে হয়, যখন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অন্যকে harass করে অথবা সরকারও যখন কাউকে harass করতে হয় main কাজটা হয় কিন্তু procedural aspect-এ। তাকে কিছুদিন ধরে রাখো, জেলে ফেলে রাখো, তাকে remand-এর নামে নিয়া পিটুনি দেও, বা তাকে joint interrogation-এর নামে তাকে ইয়ে… কর। কিন্তু মূল আইনের ক্ষেত্রে, মূল বিচারের ক্ষেত্রে government-ও interference খুব একটা করতে পারেনা শেষ পর্যন্ত, অনেক সময় টানও থাকেনা।

একটা বিচার শুদ্ধ হবে কিনা এটা নির্ভর করে সে প্রশাসনিক support কি পায়। প্রশাসনিক support না পেলে কিন্তু কোন বিচার করা সম্ভব না। তাছাড়া বাংলাদেশে আমরা যেসব law-গুলি follow করি আপনার বাবাও যদি মারা যান তাহলে case-টা যা আপনার বাবা করেছিলেন সেটাতে আপনি কিছু না। case-টা পুলিশ case হয়ে যায়, পুলিশই বাদী হয়ে যায় এবং আপনাকে কিন্তু পুলিশের পেছনে পেছনে ঘুরতে হবে। আমাদের system-টাই এরকম। আপনি যদি complaint case করেন তাহলে অনেক ঝামেলা আছে, government এবং প্রশাসনের প্রচুর support লাগে। আর এই support যদি আপনি ensure না করতে পারেন তাহলে আপনি বিচার পাবেন না, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে।

খালেদঃ আপনাদেরকে ধন্যবাদ। একজন দর্শক সুলতানা আপাকে বলেছেন আপনার একজন যোগ্য উত্তরসূরি তৈরি করুন। এই ছিল আজকের বাংলাদেশে।