কাপড় সংস্কৃতির বেড়াজালে আমরা

প্রজাপতি উড়ে
Published : 15 Sept 2012, 09:51 AM
Updated : 15 Sept 2012, 09:51 AM

আমাদের দেশে কাপড় দেয়ার প্রথা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে । কাপড় দেয়ার মাধ্যমে একজন মানুষের সাময়িক পোশাকের প্রয়োজন মিটে, কিন্তু সারা জীবন নয় । অথচ সে মানুষটি দিনের পর দিন মাসের পর মাস ক্ষুধার তাড়নায় কাতরাচ্ছে । আর সমাজ তা দেখছে ! অথচ কিছুই করছে না। কাপড় দেয়ার মাধ্যমে ঐ মানুষটির খাওয়ার চাহিদা মিটবে না, অভাবও দূর হবে না। তাহলে কেন এই প্রচার– প্রচারণামূলক কাপড় সংস্কৃতি । আমরা কি নিজেদেরকে নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে রাখতে চাই? না আমরা তা চাই না। আর আমরা কেউই চাই না অবহেলিত, অপারগ জাতি হিসেবে বেঁচে থাকতে। তাই এখুনি প্রয়োজন নতুন করে গর্জে উঠার । সময়ের প্রয়োজনে আজ আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নতুন করে গড়তে হবে দেশকে । যাতে করে সমাজ থেকে দারিদ্র্য নামক কালসাপ দূর হয়। এমনকি ধ্বংসও হয়। কারণ একটি জাতি তখনি উন্নতি করতে পারবে, যখন সেই জাতির জনশক্তি কর্মশক্তিকে পরিণত হবে।

কাপড় সংস্কৃতি দিয়ে কখন একটি জাতি উন্নতির শিখরে উঠতে পারে না। প্রয়োজন যথাযথ ও বাস্তব পদক্ষেপ । আর তা করতে হবে তরুণ সমাজকে। তরুণরাই পারে দৈন্যদশা এই সমাজকে নতুনভাবে গড়তে। কারণ আগামি দিনের ভবিষ্যৎ কর্ণধার তারাই। তাই সমাজের বিত্তবানদের নিয়ে ফান্ড গঠন করতে হবে। এখান থেকে সমাজের দারিদ্র্য শ্রেনীর মানুষের কল্যাণে বিতরণ করতে হবে । সেটি হতে পারে কোনো ব্যক্তির এক বছরের পড়াশোনা পরিচালনা করার খরচ । আবার কোনো ব্যক্তির দক্ষতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া । অথবা যে কোনো টেকনিক্যাল কিছু পরিচালনার জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলা। যার ফলে একটি পরিবার, সমাজ, গোষ্ঠী এবং জাতির উন্নতি হবে। এর মাধ্যমে দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রা বৃদ্ধি পাবে। অন্যথা আমরা অবহেলিত, নির্যাতিত এবং নিপীড়ন জাতি হিসেবে পরিগণিত হব। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না। তাই সবাই মিলে নতুন সংস্কৃত গড়ব, দারিদ্র্য মুক্ত করব। এটাই আমাদের প্রত্যয়, আমাদের প্রত্যাশা।