এই দেশে মানুষ থাকে? কোন নাগরিক সুবিধা ভাল না। মালয়শিয়া কত সুন্দর…… এরকম আক্ষেপ অনেকের মুখে শোনা যায়। অথচ যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়… বাংলাদেশের কত জন লোক ট্যাক্স দেয়? উনি বলতে পারেন না। ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ১৩ লাখ ব্যক্তি -২০১০ সালে ও ২০ লাখ ব্যক্তি ২০১২ সালে ট্যাক্সে প্রদানের জন্য টিআইএন অপেন করেছেন টিআইএন নাম্বারের অধিকাংশ সঠিক ট্যাক্স প্রদান করেন না। অতএব দেশের আয়রুজী করার মত জনসংখ্যার প্রায় পুরোভাগ আয়কর প্রধান করেন না। বিশেষ করে ব্যাবসায়ীরা আয়কর প্রদান করেন না। একমাত্র ব্যাংকারদের ট্যাক্স কড়ায় গন্ডায় এট সোর্সে কেটে রাখা হয়। মালয়সিয়া, সিংগাপুরে ১০০% আয়রুজী সম্পন্ন ব্যক্তি ট্রাক্স প্রদান করেন। বাংলাদেশে মাত্র ৫০% আয়রুজী সমপন্ন ব্যক্তি আয়কর প্রদান করলে বছরের বাজেট আর ফেল হবে না। পদ্মা সেতু প্রতি পাচ বছরে একটা করা সম্ভব…..
সুসংবাদ হলো ন্যাশনাল আইডি কার্ড টিআইএন-এর সাথে সংযোগ ঘটানো হয়েছে। ফলে ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়ে সহজে ব্যক্তির ট্যাক্স প্রদানের পরিমান জানা যাবে। ন্যাশনাল আইডি কার্ড । পুরো নাম ভোটার আইডি। মোবাইলের সিম কার্ড, ব্যাংকের একাউন্ট, বিবাহ, জমিকেনা, জমি বেচা, পাসর্পোট, ভিসা, মর্গেজ করা, বেতন পাওয়া, টিআইএন, চাকরি করা, সকল কাজেই ন্যাশনাল আইডির প্রয়োজন। এর অর্থ ব্যক্তির সকল তথ্য উক্ত ন্যাশনাল আইডি নম্বরে রিজার্ভ হয়ে থাকে। হাতের পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ তো আগেই দেয়া আছে। আপনার ব্যবহৃত পিসি, ফেসবুক থেকে সনাক্ত করা কয়েক মিনিট প্রয়োজন। মামু আকাম কইরা রক্ষা পাইবা না। …. এমন কি ট্যাক্স ফাকি বা সম্পদ হিসাবে গড়মিল বেড় হয়ে যাবে । সব ফকফকা। ডিজিটা। আশা করা যায় ২০১৫ সাল নাগাদ কর দাতার সংখ্যা ১ কোটিতে উপনিত হবে।
এই উদ্যোগের পাশাপাশি ভ্যাগ প্রত্যাহার করা উচিৎ। একজন দুস্থ্য ব্যক্তি (ফকির/প্রতিবন্ধী) যখন ১০০ টাকার খাবার খায় তখন তাকে সরকারকে ১৫ টাকা ভ্যাট দিতে হয়। সমাজের দুঃস্থরা হলো সমাজের অলংকার। এই অলংকার ব্যক্তিদের যখন ১৫% ভ্যাট দিতে হয় তখন আমার খুব লজ্জা লাগে। এদের পয়সা দিয়ে রাস্তাঘাট হয় । সেই রাস্তা দিয়ে সুঃস্থ্য ব্যক্তিরা ট্যাক্স প্রদান না করে গাড়ি হাকিয়ে চলে। অতএব ভ্যাটের মত ভয়াভয় ব্যধি বন্ধ ও প্রত্যেক আয়সম্পন্ন ব্যক্তির ট্যাক্স আদায়ের উপর জোর দেয়া প্রয়োজন।