ইসলামী আইনে বিবাহের মোহরানা নগদ আদায় করার উপর জোর দিয়েছে। বর যে পরিমান অর্থ নগদ দিতে পারবে তা দিয়ে বরের অার্থিক অবস্থান যাচাই করার জন্যই হয়তো এই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সংসারের সুখের মুল ভিত্তি হলো স্বামী –স্রীর একে অপরের গ্রহনযোগ্যতা। সাধারনতঃ বর-এর কাছে কনের আর্কষনীযতা এবং কনের কাছে বরের অর্থিক অবস্থা গ্রহনযোগত্যার মূল বিষয় হিসেবে কাজ করে। কনের আর্কষনীযতা যাচই করার জন্য বর-কনের দেখা দেখি যথেষ্ট। কিন্তু বরের আর্থিক অবস্থা যাচাই করা বেশ একটু কঠিন। এর জন্য হয়তো মোহরানা নগদ আদায় করার যোগ্যতাকে বরের আর্থিক অবস্থা যাচাই করার পরিমাপক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। কনের চোখে যদি বর বিত্তবান হয় তাহলে তার কামনা-ভালবাসা দ্রুত তৈরী হয়। তেমনি বরের চোখে কনে কমনিয় ও কলাময় হলে তার কামনা-ভালবাসা তৈরী দ্রুত হয। সে কারনেই আমাদের দেশে বিয়ের ক্ষেত্রে মুরুব্বীরা বলেন, বিত্তবান পাত্র ও রুপে-গুনে পাত্রী হলো সংসারের মূল ভিত্তি। বিত্ত বা রুপ দুটোই আপেক্ষিক। বিত্তবান ও রুপবান দুটোই নির্ভর করে ব্যক্তির নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির উপর। বরের আকর্ষন কামনায় কনের আকর্ষন মানিব্যাগে। মোহরানা নগদ পরিশোধ বরের বিত্তব যাচাই করার অন্যতম একটি উপায় ।