১১ই আগস্ট: ক্ষুদিরাম বসু কেন অবহেলিত

কাজী মাহমুদুর রহমান
Published : 6 August 2014, 09:53 AM
Updated : 6 August 2014, 09:53 AM

১১ই আগস্ট বাংলাদেশ সহ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী ক্ষুদিরামের ফাঁসির দিন। ১৯০৮ সালে ১৯ বছর বয়েসে উনার ফাসি হয়।অনেকে ধারনা করেন তার বয়স তখন ১৮ বছরের নিচে ছিল। অতি আর্শ্চযের বিষয় হলো কোন মিডিয়া বা রাজনীতি-সাংস্কৃতিক জোট উনার জন্য স্বরন সভা করেন নাই। দেশাত্ববোধ জাগ্রত করার জন্য এক সময় পাঠ্য বই থেকে শুরু করে পুরো ভারত বর্ষে ছড়িয়ে গিয়েছিল ক্ষুদিরামের ছবি।প্রত্যেকের ঘরে ক্ষুদিরাম, নেতাজীসুভাষবসু, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের ছবি থাকতো। কন্ঠে থাকতো … এক বার বিদায় দেনা মা ঘুরে আসি…. হাসি হাসি পরব গলায় ফাসি…. প্বীতাম্বর দাসের সেই বিখ্যাত গান।

১৯৭১ সালে ক্ষুদিরামের প্রেরনা নিয়ে এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহনকরেছিল গ্রাম বাংলার লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী জনগন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মাওলানা হামিদ খান ভাসানির শিষ্য। হামিদ খান ভাসানির প্রেরনা ছিল ক্ষুদিরাম। জাতিগত ও রাষ্ট্রগত চেতনার জন্য ক্ষুদিরামের প্রেরনা খুবই প্রয়োজন। আমরাতো আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস হিসেবে ৭ইমার্চ ও ২৭শে মারচ –এর মধ্যে সীমাবন্ধ। নতুন প্রজন্মের কাছে কি তিতুমীর, বাঘাযদিন, শরীয়তুল্লা, ভগৎসিং, ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতা, র্সূযসেন, সুকান্তদের নাম পৌছে দেয়া কি আবশ্যক নয়? দেশাত্বকবোধ নতুন প্রজন্মের ভেতর জাগ্রত করা কি দরকার নাই? মাননীয় প্রধান মন্ত্রির কাছে আবেদন তিনি যেন রাষ্ট্রিয়ভাবে ক্ষুদিরামকে স্বরনকরার স্থায়ী ব্যবস্থা নেন।

-কামার/দক্ষিনখান/১২.০৮.২০১২