প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ যাত্রী গাজিপুর, টংগি, এয়ারপোর্ট থেকে মতিঝিল সহ এর আশেপাশের এলাকাতেন অফিস বা ব্যাবসায়িক কাজের জন্য ট্রেনে যাতায়াত করেন । তারা বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন এবং অধিকাংশ যাত্রীকে কমলাপুর টাচ করতে হয়। নিয়মিত যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই মাসিক টিকেট ব্যবহার করেন। তবে অধিকাংশ যাত্রী মাসিক বা কাউন্টার টিকিট ব্যবহার না করে ট্রেন টিকেট এক্সামিনার (টিটিই)-কে ১০ টাকা প্রদান করে স্টেশন গেট পার হন। আজ দশ টাকা দিয়ে ট্রেন পার হলেও তারা কি রোজ হাসরের মাঠে পুল সিরাত পার হতে পারবেন? ১০ টাকা সরকারকে প্রদান না করে টিটিইকে প্রদানের মাধ্যমে তারা ১৬ কোটি মানুষের কাছে ঋণী হলেন।
আল্লাহ সকল ক্ষমতার মালিক হলেও অন্যের ঋণ মাফের বেলাতে তিনি অক্ষম। অতএব যারা তাদের ট্রেনে যাতায়াত বাবদ সামান্য ১০ টাকা সরকারকে প্রদান না করে টিটিইকে প্রদান করেন, তারা দুই ধরনের ক্ষতি নিজের জন্য বয়ে নিয়ে আনেন- (ক) টিটিইকে হারাম আয়-রোজগার করতে সাহায্য করা- সাহায্যকারী হিসেবে তিনি নির্ধারিত গুনাহ নিয়মিত কামান (খ) ১৬ কোটি মানুষের কাছে তিনি ঋণী হয়ে রইলেন।
একটু ভাবুন, তিনি মাত্র ১০ টাকা দিয়ে নিজের কত বড় ক্ষতি জন্য বয়ে আনলেন। এই সকল যাত্রীদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা বাংলাদেশেকে গালমন্দ করতে থাকেন অথবা বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুন্নয়ন ইস্যু নিয়ে সকলকে চোর বাটপার বলে গালমন্দ করেন। আবার অনেকে আছেন যাদের দাঁড়িটুপি দেখলে মনে হয় তারা অনেক ঈমানদার। যখন তারা ১০ টাকা টিটিইর হাতে চুপিসারি গুঁজে দেন তখন ভাবি, কেন তারা দাঁড়ি বা টুপির অবমাননা করলেন?
ইসলামের লেবাস নিয়ে ইসলামকে অবমাননা করা মনে হয় সবচেয়ে ভারি অপরাধ। অতএব বান্দার হক আমরা যেন রক্ষা করতে পারি এবং হারাম ও ঋণ থেকে যেন আমরা মুক্ত থাকতে পারি সে চেষ্টা করা একজন ঈমানদার মুসলমানের কামনা। এই কামনার বাস্তবায়ন আমাদের প্রত্যাশা।
(উদ্ধৃতি- জে.এম. মাসির বিন কু্দ্দুস – ফেব্রুয়ারী ২০১১, উক্তি লেখক- কাজী মাহমুদুর রহমান)