মোবাইল সিম ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক । নিবন্ধনের জন্য ব্যবহারকারীর ন্যাশনাল আইডি ও ছবি বাধ্যতামূলক করা হলেও এখন সিম ক্রয় বা ব্যবহারের জন্য এসবের কোনটারই প্রয়োজন হয় না। দোকানে গিয়ে ১০০/১৫০ টাকা দিলেই পেয়ে যাবেন যে কোন অপারেটরের যত খুশি সিম। বিপদের বিষয় হল, প্রত্যেক অপারেটর তাদের অফিসের ফাইলে বিক্রিত প্রত্যেকটি সিম-এর বিপরীতে ন্যাশনাল আইডি ও ছবি মজুদ রাখেন সরকারি অডিট থেকে রেহাই পাবার জন্য। দোকান থেকে নিবন্ধন ছাড়া সিম কিনলেও অপারেটর অফিসে সিম নিবন্ধন করা হয়ে যায় অটোমেটিক। কিভাবে? কোথায় পেল ক্রেতার ন্যাশনাল আইডি? কোথায় পেল ছবি?
জনশ্রুতি আছে যে, সিম বিক্রয়কারী দোকানদার ও এজেন্টরা বিভিন্ন সোর্স থেকে ছবি, ন্যাশনাল আইডি সংগ্রহ করে। এরপর নিজেরাই হাতের ছাপ দিয়ে নিবন্ধণপত্র পূরন করে দেদারসে সিম বিক্রি করে । প্রশ্ন হলো, কার সিম কে ব্যবহার করছে? এসব সিমের কোনটা দিয়ে যদি কোন অপরাধ সংঘটিত হয় তাহলে প্রকৃত অপরাধীকে কি সনাক্ত করা যাবে? নিরাপরাধ ব্যক্তি যার ভোটার আইডি ব্যবহার করা হয়েছে সে ফেঁসে যাবে কি? তখন তার উপায় কী হবে?
কেই দেখার নেই। দুদুকের চোখ অপরাধ প্রতিরোধের, প্রতিশেধকের নয়। রাজনৈতিক দলের মেনুফেস্টুতে এই ভয়ংকর অপরাধ প্রতিরোধ বা প্রতিশেধকের কোন অঙ্গীকার নেই। এই অপরাধ অধিকাংশ অপরাধের সহায়ক।