তার মৃত্যুতে পাহাড় হারিয়েছে সংস্কৃতির নিবেদিত প্রাণ আলোকবর্তিকা।
বার্ন ইউনিটে না গেলে কারো পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় যে, সেখানকার পরিবেশ কতটা করুণ। একদিকে রোগীদের কাতরানির শব্দ অপরদিকে চামড়া পোড়া ও পচা গন্ধ গোটা পরিবেশটাকে গুমোট কোন ভয়াবহ টর্চার সেল বলে মনে হবে। বেশিক্ষণ থাকটা খুব কষ্টকর। সবচেয়ে খারাপ লাগে পোড়া শিশুদের নিরবে চোখের পানি পড়া দেখে। এই কষ্টকর পরিবেশের মধ্যেও দিনের পর দিন রোগীদের আত্বীয়-স্বজনরা রোগীদের সেবা করছে। এর থেকেও আশ্চর্য হতে হয় বার্ন ইউনিটের ডাক্তার নার্সদের রোগী সেবা করা দেখে। বার্ন ইউনিটে ডাক্তারাও কম করছেন না রোগীদের জন্য।
একুশে পদক হয়তো কোন ভাগ্যবান তার কৃতিত্বের জন্য পাবে। একুশে পদক পুরস্কার কমিটিকে সবিনয়ে অনুরোধ করবো, প্লিজ, আপনারা একটু বার্ন ইউনিটে যান, সেখানকার ডাক্তার-নার্সদের কৃতিত্ব দেখুন । আপনাদের সরাসরি দেখায় হয়তো পুরস্কার প্রাপ্তির তালিকা পরিবর্তন করতে হতে পারে।