নেশায় বুদ কুষ্টিয়ার যুব সমাজ

কাইয়ুম
Published : 31 Oct 2012, 06:26 AM
Updated : 31 Oct 2012, 06:26 AM

কুষ্টিয়াকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়।এ জেলা রয়েছে অনেক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব।তবে এখন এ জেলার যুবসমাজকে ঘিরে ধরেছে মাদক নামক এক অপসাংস্কৃতি।রাস্তায় বের হলেই দেখা যায় প্রচুর ফেনসিডিলের খালি বতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শহরময়।আর গাজা যেন যুবসমাজের প্রধান আকস্মনীয় নেশা।নেশায় বুদ হয়ে থাকা এই যুব সমাজ নিজেদের নেশার টাকা জোগার করতে প্রায়শয়ই ঘাটাচ্ছে চুরি-ডাকাতি,খুন-জখম ও চাদাবাজীর মত ভয়াভহ ঘটনা। যা এ জেলার নীরিহ মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে নিত্যনৈমত্তিক ঘটনামাত্র।রেল-লাইন এবং গলির নির্জণ স্থানগুলো বেছে নিয়েছে এই নেশাখোরগণ।পুলিশ প্রশাসনের নাকেরডগার উপর দিয়ে চলছে মাদক ব্যবসা।য়দিও বিভিন্ন সময়ে পুলিশ রেট দিৱয়ে অনেক মাদক ব্যাবসাহীদের ধরে তথাপিও অদৃশ্য হাতের ইশারায় ছাড়া পেয়ে যায়।ভারত থেকে চোরাই পথে অতিসহজে এই নিষিদ্ধ ফেনসিডিল কুষ্টিয়াতে আসে।অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দাম কম হওয়ায় এই মাদকটি সেবন করতে বিভিন্ন অঞ্চলের যুবকে আনাগোনা পরিলক্ষিত হয়।তামাকের মধো গাজা চাষ এ অঞ্চলকে করেছে গাজার নগরী।দামে কম হওয়ায় যুবসমাজের কাছে গাজা হচ্ছে প্রধান পছন্দের নেশা।এছাড়া দেশীয় চোলাই মদেও অনেক যুবক আক্রান্ত।যার ফলে বাড়ছে খুন,চুরি-ডাকাতি,চাদাবাজী এবং ইভটিচিং এর মত ন্যাকারজনক জঘন্য কাজ।যদি এই নেশায় যুব সমাজকে নেশার ঘোর থেকে আলোর দিকে না আনা হয় তবে কুষ্টিয়া জেলাটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী পরিবর্তে নেশার রাজধানীতে পরিনত হবে।পুলিশ প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ,সুহথ বিনেদনসহ পারিবারিক কাউন্সিলিং-ই দিতে পরে এই যুবসমাজকে মাদক নামক মরণ নেশা থেকে মুক্তি।