উপনিবেশিকদের অনুকূলে সাহিত্য চর্চা

রাফসানযানি প্রীতম
Published : 9 May 2016, 05:37 PM
Updated : 9 May 2016, 05:37 PM

ইংরেজরা ভারতে প্রথমে আসার পর ওরা ওদের খেদমতের জন্য একটি আদর্শ সমাজ খুঁজে পাই ৷ সে সমাজটি ওদের জন্য নিবেদিত প্রাণে খেদমতে লিপ্ত থাকে ৷ এই সমাজটি এক সময় এত বেশি ইংরেজদের আস্থাশীল হয়ে পরে যে ইংরেজদের জয় এদের নিকট ছিল তাদের জয় এবং ইংরেজদের পরাজয় তাদের পরাজয়ে পরিনত হয় ৷ এবং ক্রমে ক্রমে ইংরেজদের নিকট এরা ভারত জয়ের দাবার গুটিতে পরিনত হয় ৷ তবে এরা ইংরেজদের নিকট থেকে শুভদৃষ্টি লাভ করার আরও একটি প্রকৃত ও বিশেষ কারণ ছিল তা হলো এরা স্থানীয় শাসকদের অনুগত হলেও এবং তারা সুশাসন বজায় রাখলেও তারা ছিল তাদের অপছন্দনীয় ৷ ইংরেজরা বাংলার ক্ষমতা দখল করার পর ইংরেজ বেনিয়াদের এই গোলাম শ্রেনীটিকে ইংরেজরা ক্রমে ক্রমে বাংলার অর্থশালী শ্রেণী হিসেবে তৈরি করার জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সে পদক্ষেপগুলো অবশ্য সবগুলোই সফল হয় ৷ এরপর ইংরেজরা উঠে পরে লাগে বাংলার তথা ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের অনুকূলে একটি শ্রেণী নির্মানের যারা সংকৃতি আন্দোলন করে বাংলা বৃহত্তর নির্যাতিত মুক্তিকামি জনগনের মনকে ক্রমে ক্রমে উপনিবেশিক শাসন নিপীড়ন মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুুত করবে ৷ যার ফলে ইংরেজ শাসন সুদীর্ঘকাল আয়ু পাবে ৷ এই সংকৃতি আন্দোলনের সময়কালকে অনেকে সাহিত্যের রেনেসাঁ নামে অভিহিত করে ৷ এটা কিন্তু সত্য তবে এই রেনেসাঁ আন্দোলনটি ছিল শাসক গোষ্ঠির অনুকুলে যেটি আগেই বলা হয়েছে ৷

যাই হোক ১৮৫৭ সালের ভারতীয় উপ মহাদেশের জনগনের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন কিন্তু এই সব কিছুকে আনেকখানি বাধা গ্রস্থ করে আবার এই সময় কিছু স্বাধীনতা চেতনা সম্পর্ন সংকৃতিক ব্যাক্তিদের অবিরভাব ঘটে তাবে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করার তেমন কেউ ছিলনা ৷ যেটি বাবুমেশাইদের মুখোশ খোলার জন্য যথেষ্ট ছিল ৷ কিন্তু এই কথাও ঠিক এই আন্দোলন সফল না হলেও ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনত্বা আন্দোলনের ভিত্তি রচনা করেছিল ৷ তবে এরপর সাহিত্যের রেনেসাঁ আন্দোলনের কর্মী শহুরে ও পুজিবাদী সম্প্রদায় থেকে সাহিত্যের রেনেসাঁ আন্দোলনের কর্মী তৈরি হতে থাকে যাদের মধ্য সাহিত্যের মাঝে উগ্র সাম্প্রদায়িক বিষ বৃক্ষ রোপনকারিদের সংখ্যা নেহাত কম ছিলনা ৷ এবং ওদের মধ্যে থেকে অনেককে ইংরেজ বেনিয়া শাসক গোষ্ঠি বিভিন্ন সময় উপাধি বিভিন্ন সরকারি পদে ও নানা পুরুষ্কারে ভূষিত করতে থাকে যা ওদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও সামাজিক নেতৃত্ব পালনের জন্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট উগ্র সাম্প্রদায়িক পরিচয় গোপন করতে সহায়ক হয়েছিল ৷ ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান ভাগ হবার পর উভয় রাষ্ট্রের শিল্প সংকৃতিতে এদের অনুসারিদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠা পায় এই কারণে জনগনের মনে উপনিবেশকতার ছাপ পুরোপুরি দূর করা সম্ভব আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি যেটি বর্তমানের সামাজিক অবস্থা দেখলে প্রমাণ পাওয়া যায় ৷