শরতের শুভ্র-সুন্দর-শুদ্ধ প্রকৃতিতে আবাহনের আগমণী মন্ত্র ধ্বনিত হচ্ছে!! আকাশে-বাতাসে কাশফুল আর শিউলির সুবাস!! তারই সাথে বছর ঘুরে এল দূর্গতিনাশিনী দশভূজা দেবী দুর্গার বোধন বার্তা। শুনেই… খুব পুলকিত বোধ করছি। কিন্তু, একটি মাত্র শঙ্কায় কোথায় যেন হারিয়ে যায় মনের সেই আবেগাপ্লুত অনুভূতি!!
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। সারা বছর হিন্দু সম্প্রদায় এই উৎসবের জন্য পথ চেয়ে বসে থাকে। পরিবারের প্রত্যেক সদস্য এই ধর্মীয় উৎসবেই একত্রে মিলিত হয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য উন্মুখ থাকে। পাঁচদিন ব্যাপি এই পূজা চলতে থাকলেও আমাদের দেশে শুধুমাত্র বিজয়া দশমীর দিন অর্থাৎ পূজার শেষের দিন একদিন সরকারী ছুটি থাকে। যাহার হেতু, হিন্দু সম্প্রদায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব পালন করার সুযোগ থাকেনা।
ছোট্টবেলায় এই ছুটি যে কত মধুর ছিল… ছিল ছুটি নিয়ে কত্তো গল্প আর কবিতা লেখা!! আজ আবার কর্মময় জীবনে এসেও ভাবছি সেই ছুটির কথা…!! তবে আজ আর সেই ছেলেবেলার মতো নয়, নয় কোন কিশোর সুলভ চঞ্চলতা নিয়ে…!! আজ দুই অক্ষরের এই ছোট শব্দটির যে বড়ই প্রয়োজন, শুধু দায়িত্বের মর্যাদা দেবার জন্য!!
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে, আমি এই সোনার বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে, দুর্গাপূজায় শেষ তিনদিন সরকারী ছুটি কার্যকরের জোর দাবি জানাচ্ছি।