(যুক্তি-তর্ক)সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী আল্লাহই সবচেয়ে বড় নাস্তিক

আধারের বাসিন্দা
Published : 22 Jan 2012, 05:42 AM
Updated : 22 Jan 2012, 05:42 AM

আজকে একটা পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে মন্তব্যের আকার বড় হয়ে যাওয়াতে পোস্টই দিয়ে দিলাম । সেই পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন ।

অনেক দিন হল বিডি তে লেখা বন্ধ করে দিছি, কিন্তু আপনাকে একটা জবাব দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করছি, আপনার লেখাটা সম্পূর্ণ মুক্তমনা টাইপের লেখা । এখানকার মডুরা কখন কি অনুমোদন দেয় তা বুঝাই দায় ।

প্রথমে আপনার নিকট আমার একটা প্রশ্ন আছে, মেডিটেশন করে আপনি যেই সুফল পাবেন, মেডিসিন দিয়ে কি তা সম্ভব? আধুনিক বিজ্ঞান মেডিটেশন এর বৈজ্ঞানিক গোজামিল খুজে বের করবে । কিন্তু ব্যায়াম এবং মেডিটেশন এর সুন্দর মিশ্রণে যেই নামায, তা হয়ে যাবে প্রাচীন বর্বরতা । তাতে কি????????

মানুষের যদি শ্রবণ ইন্দ্রিয় না থাকতো, তাহলে কি পৃথিবীর মানুষ শব্দ নামক কোনও তরঙ্গকে বিশ্বাস করতো? ধরুন আপনার শ্রবণ ইন্দ্রিয় নাই, তার মানে কি এই যে পৃথিবীতে শব্দ নেই?
বিজ্ঞানের যুক্তি যাই হোক না, এমতবস্থায় আপনার যুক্তি কি হবে? [আশা করি উত্তর দিবেন, পিছ্লাবেন না ।]

তাহলে বুঝে নিন, নাস্তিকদের ঐসব খোরা যুক্তি ধার্মিকরা কিভাবে দেখে ।

নাস্তিকরা এই বিষয়টা নিয়া খুব লাফালাফি করে, এবং বলে আল্লাহ নিজেই নাকি নাস্তিক কারণ আল্লাহ নিজেই নাকি তার স্রষ্টাকে বিশ্বাস করে না ।

হা হা হা, এই পালের গোধা গুলাই আবার বিজ্ঞান-বিজ্ঞান বলে গলা ফাটায় । এই বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত লেখার চিন্তা-ভাবনা আছে কিন্তু সময়ের অভাবে লিখতে পারিনা । তবে অল্প পরিসরে কিছু বলি, জীব মানেই কার্বন গঠিত জৈব যৌগ না । পৃথিবী নামক গ্রহের পরিবেশের কারণেই কার্বন গঠিত জৈব যৌগ গুলো তাদের প্রতিলিপি গঠনে সক্ষম হয়েছে । কিন্তু অন্য গ্রহতে সেইরকম নাও হতে পারে । এখন বিজ্ঞানীরা যদি গ্রহে গ্রহে আমাদের মত বা কার্বনের জৈব যৌগ দ্বারা গঠিত অন্য প্রাণী খুজে, তাহলে শেষ পর্যন্ত মনে হয় হতাশ হতে হবে । 😯

যাইহোক যেটা বলতে চেয়েছিলাম, আজকের বিজ্ঞানীরা কয়েক বছর আগেও বিশ্বাস করতো কোনও একটা এনার্জি সোর্স এর বিস্ফোরণের ফল হচ্ছে আজকের মহাবিশ্ব । এবং আইনস্টাইনের সুত্র তাই বলে ।

তখন, ধার্মিকদের বক্তব্য হচ্ছে সেই এনার্জি সোর্স কে তৈরি করল বা কিভাবে আসল? নিশ্চয়ই আমাদের সৃষ্টিকর্তা ।

তখন আবার বিজ্ঞানীদের তোড়জোড় শুরু হল, এইটার একটা বিহীদ করা লাগবে, কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং আরো কিছু ফালতু সুত্র-সমূহ আবিষ্কার করতে হলো । তারা আবিষ্কার করল, শূন্য থেকেই এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে পারে এবং সৃষ্টি হয়েছিল । এই যুক্তিও সাধারণ মানুষকে গিলালো ।

এখন আবার ধর্ম-তাত্বিকরা ও তাদের যুক্তি গঠন করে বলবে যে, আল্লাহ সয়ং তাহলে শূন্য থেকে তৈরি হতে পারে । ভন্ড বিজ্ঞানীরা এখন পুরাই লুল!

তাহলে এইটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নেয়া যায় যে, শূন্য থেকেই আল্লাহ সৃষ্টি হয়েছেন এবং তারপর আমাদের সৃষ্টি করেছেন । কারণ আমরা শূন্য থেকে সৃষ্টি হইনা । এইটা প্রমাণিত যে, সৃষ্টিকর্তার স্রষ্টার দরকার নেই । তাহলে, সেখানে আস্তিকতা-নাস্তিকতা নামক যুক্তি, পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কি হতে পারে?

তাদেরকে বলতে চাই যারা বলে, ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে, নাস্তিকতার আদর্শ গ্রহণ করুন । কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম এবং জাতি থাকাতেই এই সমস্যা দ্বন্দ-বিবেদের সৃষ্টি । সেই সুযোগে নাস্তিকের পে এজেন্ট গুলো সবাইকে নাস্তিক হবার আহ্বান জানায় । বিভিন্ন জাতি-ধর্ম থাকা যেহেতু সমস্যা সবাই তাহলে মুসলমান হয়ে যাক। কারণ ইসলামই হচ্ছে সবচেয়ে আধুনিক এবং সুসংগঠিত ধর্ম(যার জন্ম মাত্র 1400 বত্সর পূর্বে) । তাছাড়া ইসলাম ধর্মতেই অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের স্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে ।

নাস্তিকরা মানবিকতার যে ধোয়া তুলে সেই ব্যপারে কিছু বলতে চাচ্ছি, কিছুদিন আগে আমেরিকা সমকামিতার বৈধতা দিল । আমার কথা হচ্ছে, মানবিকতা আগে না বিজ্ঞান আগে? যদি বিজ্ঞান হয় তাহলে সমকামিতার বৈধতা কিভাবে আসে?

পৃথিবীর সবাই যদি এখন সমকামী হয়ে যায়, আগামী একশত বছর পর পৃথিবীতে কি কোনও মনুষ্য প্রজাতি খুজে পাওয়া যাবে? এর নাম স্বাধীনতা? এর নাম মানবিকতা? গুষ্ঠী কিলাই সেই নিয়মের যেটা মনুষ্য প্রজাতি ধ্বংস করে ।

সবাইকে একটা কথা বলে শেষ করি, স্তব্দ করে দিন সকল নাস্তিক পে এজেন্টদের যারা পৃথিবীতে শান্তির নাম করে ধ্বংস করে দিতে চায় ।

সময়ের অভাবে এখানেই ইতি টানলাম । সবাই ভাল থাকবেন ।