দূরপাল্লার বাসে অতিরিক্ত ভাড়া: ঈদে ঘরমুখী মানুষের বিড়ম্বনা

রাজিন
Published : 2 August 2011, 08:39 AM
Updated : 2 August 2011, 08:39 AM

আজকে সকালে ভাবলাম ঈদ এ বাড়ি যাবার টিকিট কেটে আসি। তার আগে একবার গ্রীন লাইন এর টিকেট কাউন্টার এ ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম যে টিকেট পাওয়া যাচ্ছে কিনা। ফোন ধরে একজন মহিলা বললেন-"২০ তারিখ পর্যন্ত আমাদের কাছে টিকিট আছে। এর পরেরগুলো আমরা জানিনা।" এটা ছিল রাজাবাগ কাউন্টার এর কাহিনী। এবার আসি কল্যাণপুর কাউন্টার এর কাহিনীতে। সেখানে ফোন ধরে একজন বললেন-"ঈদ এর টিকিট রাজারবাগ কাউন্টার দেখবে। আমরা জানিনা।"

এতকিছু শুনে ভাবলাম সামনাসামনি গিয়ে কথা বলে আসি। তাহলে আসল ঘটনা বুঝা যাবে। সেভাবে বের হলাম গ্রীন লাইন কাউন্টার, রাজারবাগ এর উদ্দেশ্য। কাউন্টারে গিয়ে বললাম ২৬ তারিখের রাজশাহীর টিকিট এর কথা। কিন্তু সেলসম্যান মহোদয় বললেন- "ওই সময়ের টিকিট দেয়া যাবে না। ওই সময়ের রাজশাহী আর রংপুর এর সব টিকেট ম্যানেজমেন্ট এর জন্য রিজার্ভড। ওই সময় আমরা বাস চালাব না। অল্প যে কয়েকটা বাস চলবে তাতে ম্যানেজমেন্ট এর লোকজন দিয়েই ভর্তি।" অথচ সরকার থেকেও কিন্তু ঈদ এর অগ্রীম টিকিট দেয়ার বা দিতে বলার কোন ঘোষণা আসেনি। তাহলে তারা টিকেট রিজার্ভ-ই বা করে রাখে কিভাবে ? তার মানে কি দাঁড়ায় ?! লোকচক্ষুর অগোচরে কিছু কিছু বাস মালিকেরা আবার বেশি দামে টিকিট বিক্রি করার পাঁয়তারা করছে ?! আমি তো শুধু গ্রীন লাইন বাস এর কথা বললাম। অন্যগুলোর কি অবস্থা তাও তো একটু যাচাই করে দেখা দরকার।

সাধারণ মানুষের টাকা দিয়ে সারা বছর তারা বাস চালাবে, লাভ করবে, নিজেদের ব্যবসা গুছিয়ে নেবে অথচ ঈদ এর সময় যখন মানুষ তার নিজের বাড়ি গিয়ে প্রিয়জনদের সাথে একটু আনন্দ করবে বলে ভাবে তাও সাথে সাথেই ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় এরকম "ব্যবসায়ী বাস মালিক"-দের জন্য। এদের কি দেখার কেউ নেই ?! এদের এই রকম ব্যবসা আর কতদিন চলবে ? কতদিন তাদের কাছে আমরা সবাই জিম্মি হয়ে থাকব ? আর কতদিন ?!!