স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি যেন সোনার হরিণ

রাজু আহমেদ
Published : 11 April 2015, 08:17 AM
Updated : 11 April 2015, 08:17 AM

মৃত্যুর কথা শুনলেই অন্তরাত্মা দুমড়ে-মুচড়ে ওঠে। অজানা ভয়মিশ্রিত শিহরণ শরীরের প্রতিটি লোমকূপ কাঁপিয়ে দেয়। সেই মৃত্যু যদি দুর্ঘটনায় কিংবা অস্বাভাবিকভাবে হয় তখন সে সংবাদ শ্রবনে কি অবস্থার সৃষ্টি হয় তা শুধু অনুভবে উপলব্ধির; প্রকাশ করে বোঝাবার নয় । অথচ এদেশের প্রতিটি মানুষকে এমন অস্বাভাবিক মুত্যুর কবলে পতিত কিংবা স্বাক্ষী হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত । হররোজ এমন জীবনহানী ঘটিত দূর্ঘটনার দুঃসংবাদ শুনতে শুনতে দেশের মানুষ এখন স্বাভাবিক-অস্বাভাবিক কোন প্রকারের মৃত্যু সংবাদ শুনলে আগের মত বিচলিত হয়না । মানুষ যখন বুঝতে পেরেছে, অহর্নিশি মৃত্যু তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তখন আর পালানোর পথ খুঁজছে না । অবশ্য মৃত্যু থেকে পালানোর চিন্তা বোকামী তবে কয়েক ধরণের মৃত্যু আছে যা এড়ানো সম্ভব । প্রত্যহ অসংখ্য প্রকারের মৃত্যু সংবাদ শ্রবনে মানুষ গুলিয়ে ফেলছে মৃত্যুর স্বাভাবিকতা-অস্বাভাবিকতা । বিশ্বের অন্যান্য দেশেও প্রতিনিয়ত নানা কারণে মানুষ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করে তবে বাংলাদেশের মত এত অধিক সংখ্যক অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংবাদ তাদেরকে ভুলেও শ্রবন করতে হয়না । এদেশে মানুষের উষায় ঘুম ভাঙ্গে মৃত্যুর সংবাদ শ্রবনে এবং গভীর রাতে বিছানায় যাওয়ার পূর্বে না চাইতেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংবাদ শুনতে হয়। মানবিকগুনাবলীর ধারক হওয়ায় প্রতিটি মৃত্যুর সংবাদেই মানুষের মনে ব্যথার উদ্রেক হওয়ার কথা কিন্তু যে ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে ব্যথা-কষ্টের অনুভব সৃষ্টি হয় সেটারও তো ধারণ ক্ষমতার সীমা আছে । প্রতি মূহুর্তের সবগুলো দুঃসংবাদে কষ্ট অনূভব হতে হতে এখন এ ইন্দ্রিয়ে কিছুটা স্থূল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে । পূর্বের মত দুঃসংবাদ শুনলেই মানুষের চোখ দিয়ে জল বের হয়না । কিভাবে হবে ? এদেশে এমন কোন সকাল নাই যে সকালের সংবাদপত্র অসংখ্য অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংবাদ বহন করে না । এদেশের এমন কোন টেলিভিশন নাই যেটিতে প্রতিদিন দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যুর একাধিক বিভৎস ছবি ও খবর প্রকাশ হয়না । কতদিন মানুষের মনরূপ ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় এমন অস্বাভাবিককতার খবরে দুঃখ-ব্যথার সৃষ্টি করতে সক্ষম? এতকিছুর পরেও তবু কিছু মৃত্যু মানুষকে কাঁদায়-ভাবায় । মুত্যু চিরসত্য কিন্তু এভাবে বেঘোরে জীবন দিতে হবে কেন? কেন রাষ্ট্রের প্রতি ইঞ্চি ভূমি মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের পরিবর্তে জীবনহানীর স্বাক্ষী হবে ? এ সকল প্রশ্নের উত্তরগুলো খুব কঠিন নয় কিন্তু জবাব দেওয়ার জন্য কেউ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসবে না; অতীতেও আসেনি । যখনই রাষ্ট্রের কোন অঙ্গে এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর সৃষ্টি হয়েছে তখন দায়িত্বশীলদের কিছু সংখ্যকের চিরায়ত গতানুগতিক সাধারণ বুলিতেই সব কিছু ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কথার চালা-চালি, বাদানুবাদ কম হয়নি কিন্তু ফলাফল শুণ্য । পাঁচ-দশজন মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিত্যকার রুটিন হওয়ায় এ নিয়ে কারো কোন মাথা ঘামানোর মত খুব বেশি উদ্যোগ কখনো আলোর মূখ না দেখলেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা যখন ডজনে হিসাব করা যায় তখন তা নিয়ে কিছুক্ষন হাউকাউ করা হয়, স্বজনকে নিহতের জীবনের দাম নির্ধারক স্বরূপ পাঁচ-দশ হাজার টাকা দেওয়া হয় কিন্তু কয়েকদিন পরেই অন্য আরেকটি অস্বাভাবিকতা পূর্বের অস্বাভাবিকতাকে চাপা দিয়ে দেয় । দায়িত্বশীলদের মত সাধারণের স্মরণশক্তি সীমাবদ্ধ না হওয়ায় তাদের পক্ষ থেকে স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিতের গ্যারান্টি পেতে কিছুটা আন্দোলনও হয় তবে দায়িত্বশীলরা যেন অতীতের অস্বাভাবিক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের অস্বাভাবিকতা বন্ধ করতে একেবারেই নারাজ!

গত ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত দেড়টায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদী কৈডুবি এলাকার বাস দূর্ঘটনাটি দেশের মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টির চিন্তায় আরেকবার শঙ্কার পেরেক ঠুকেছে । ঢাকা থেকে বরিশালগামী সোনার তরী পরিবহনের চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি গাছের সাথে বাসের ধাক্কা লাগালে ২৫ জন যাত্রীর প্রাণহানী এবং ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছে । পাষাণের মত বলতে হচ্ছে, যারা মরে গেছে তারা মরে বেঁচেছে কিন্তু যারা আহত হয়ে কোনমতে বেঁচে যাবে তাদের কষ্টের সীমা থাকবে কি ? জীবন ধারণের শক্তিটুকু হারিয়ে তারা অজস্র প্রতিকূলতায় কতদিন সংগ্রাম চালিয়ে অন্যের বোঝা হয়ে টিকে থাকতে পারবে ? রাষ্ট্র সৃষ্ট নিয়মও কত চমৎকার ! কোন প্রকার দূর্ঘটনায় যারা নিহত হয় তাদের জীবনের দাম স্বরূপ কিছু টাকা শোধ করা হয় কিন্তু যারা আহত হয় তাদেরকে চিকিৎসা করাতেও হয় পরিবারের টাকায় । রাত দেড়টায় যখন দুর্ঘটনা ঘটেছে তখন নিশ্চয়ই অধিকাংশ যাত্রী ঘুমের ঘোরে ছিল । যা দু'একজন জেগে ছিল তারাও হয়ত ঘুম ঘুম চোখে ছিল । কেউ স্বপ্নের মধ্যে আবার কেউ প্রিয় মানুষদের কাছে পেতে প্রহর গুনছিল । স্বপ্নের সমাধি যেন স্বপ্নের মধ্যেই হল, স্বজনদের কাছে আর ফেরা হলনা । মূহুর্তের মধ্যেই ঘটে গেল চরম হত্যাকান্ড। দুর্ঘটনা কবলিত মৃত্যুকে মৃত্যু বলতে আমার বিবেক সায় দেয়না বরং এটাকে অনায়াসে হত্যাকান্ড বলা চলে । এ যেন ঠান্ডা মাথায় খুনীর ইচ্ছার বাস্তবায়ন । গভীর রাতের নিরব রাস্তায় একজন চালক তার প্রশিক্ষন ও অভিজ্ঞতায় চালিত বাহন নিরাপদ রাখতে পারবে না এটা কোন যুক্তিতেই মানা অসম্ভব । যে চালকের দায়িত্ব রাতে গাড়ি চালানো সে চালকের আসনে ঘুমিয়ে পড়বে এমন স্নায়ুবিক দুর্বল চালকদের যে প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া সরকারের দায়িত্ব । অন্যান্য দুর্ঘটনার মত ফরিদপুরের ভাঙ্গার এ দুর্ঘটনাও হয়ত সময়ের পরিবর্তনে কালের স্রোত কেড়ে নেবে কিন্তু এ থেকে ভবিষ্যতে কি শিক্ষা দিয়ে যাবে?

বরাবরের মত চোখ বন্ধ করে বলতে পারি, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি অতীতের মত ভবিষ্যতের দুর্ঘটনার লাঘাম টানতে কোনরূপ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস নাই । কেননা অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই তো ভবিষ্যতের সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয়। গত বছরের ২০ জুলাই নাটোরের বড়াই গ্রামের রাজ্জাক মোড়ের দুর্ঘটনায় ৩৫ জনের প্রানহানীর শিক্ষা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কোন উপকারে আসেনি। কিভাবে আসবে? দুর্ঘটনার পরেই নির্ধারণ করা হয় চালক দক্ষ ছিল কিনা, বাহনের ফিটনেস ছিল কিনা অথচ দূর্ঘটনার পূর্বে এ সংক্রান্ত কোন পদক্ষেপ গৃহীত হতে তেমনটা পরিলক্ষিত হয় না । কাজেই কোন আশায় ভাবা যায়, দেশবাসী স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পাবে? আজকের লেখার শিরোনামে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টির সাথে সোনার হরিণের তুলনা করা হয়েছে । কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে এ তুলনাও যুক্তিসঙ্গত নয় । মূল্যবান ধাতু সোনা দিয়ে হরিণের আকৃতি দেয়া যেতে পারে; হোক সে প্রাণহীন কিন্তু কোনভাবেই বোধহয় স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি মানুষের জীবনের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে না, কখনো করানো হবে না । সম্প্রতি সরকারের ‍সাথে বিরোধীদলের মতপার্থক্যে সৃষ্ট আন্দোলনে শতাধিক মানুষ বিভিন্নভাবে নিহত হয়েছে এবং এ নিয়ে পারস্পরিক কথার যুদ্ধ চালিয়ে সাধারণ মানুষকে দলে টানার চেষ্টা চলছে । অথচ প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত হয় কিন্তু তাদের নিয়ে তেমন কারো মাথা ব্যথা পরিলক্ষিত হয়নি। কারণ, এখানে যে রাজনৈতিক স্বার্থ নাই। দায়িত্বশীলরা যদি স্বার্থান্ধ হয়ে যায় তখন প্রজার চেয়ে বেহালে আর কেউ থাকে কি?

দেশ আজ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। জল-ডাঙ্গার কোথাও জীবনের নিরাপত্তা নাই। প্রতিদিন মানুষের যে পরিমাণ স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে তার সাথে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে অস্বাভাবিক মৃত্যু। ব্যক্তি স্বার্থ, দলীয় স্বার্থ কিংবা রাজনৈতিক স্বার্থে যে সংখ্যক মানুষের জীবন বলি হচ্ছে তার চেয়ে ঢেরগুন জীবনহানি হচ্ছে জলপথ ও সড়কপথের দুর্ঘটনায় । দূর্ঘটনার পরে কিছুদিন তদন্ত কমিটির দৌড়ঝাঁপ চলে বটে কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু যদি হয় তবে তার প্রমাণ কি এমন নিত্যদিনের দূর্ঘটনা এবং অস্বাভাবিকভাবে হাজারো মানুষের প্রাণহানী ? দূর্ঘটনা কবলিত হয়ে প্রতিবছর যে সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারায় তার যে সংখ্যা জানা যায় তা আঁৎকে ওঠার জন্য যথেষ্ট অবশ্য প্রকৃত সংখ্যা কখনোই প্রকাশ্যে আসে না । নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) প্রদত্ত তথ্য মতে, ২০১৪ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৬ হাজার ৫৮২ জন । যা ২০১৩ সালের চেয়ে ২৭ ভাগ বেড়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন । বিআরটিএর এক প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে, ১৯৯৪-২০১১ পর‌্যন্ত সারাদেশে ৭২ হাজার ৭৪৮ জন সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে ৫২ হাজার ৬৮২ জন । বিভিন্ন সময় সড়ক দুর্ঘটনায় দেশের অনেক কৃতি সন্তান প্রাণ হারিয়েছেন । তাদের মধ্যে উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, ২০১১ সালের ১৩ই আগষ্ট মানিকগঞ্জে নিহত হন চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিশুক মুনীরসহ ৫ জন । সেই বছরই ১১ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬ জন স্কুল শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয় । ২০১০ সালে মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান জনপ্রশাসন বিভাগের দুই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা । ২০১২ সালে রাজধানীর কাকরাইলে বাসচাপায় নিহত হন সাংবাদিক দীনেশ দাস । ২০১৪ সালে রাজধানীতে এক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষক লেখক ও কলামিষ্ট জগলূল আহমেদ চৌধুরী। দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিশ্বব্যাংকের হিসাব আরও ভয়াবহ । তাদের জরিপের তথ্য মতে, দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১২ হাজার । তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে, নিহতের সংখ্যা ১৮ হাজার।

আর কতদিন সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে মানুষকে রাস্তায় জীবন দিতে হবে? আর কত জীবন বৃন্ত হতে ঝড়লে রোধ হবে অনাকাঙ্খিত সড়ক দূর্ঘটনা? রাষ্ট্রের কিছু দায়িত্বশীল এ সকল দুর্ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বিষয় বলে উড়িয়ে দিতে চান কিন্তু দুর্ঘটনার তীব্রতা ও ক্ষতির ভয়বহতায় কি এসব দুর্ঘটনাকে এমনভাবে ভাবার আদৌ সুযোগ রাখছে? সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী প্রায়ই দাবি করেন, দেশে সড়ক দূর্ঘটনার হার কমে এসেছে।এই কি দাবির স্বপক্ষের আলামত? সুতরাং দায়িত্বশীলদের আরও মনোযোগী হতে হবে এবং পূর্ববর্তী দূর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রদত্ত রিপোটগুলোকে চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে যে কোন মূল্যে দুর্ঘটনা রোধ করতে হবে । সড়ক দূর্ঘটনা এমন কোন ঘটনা নয় যা এড়ানো অসম্ভব। চালক যদি যোগ্য-দক্ষ- অভিজ্ঞ হয়, যানবাহনের যদি ফিটনেস থাকে, সড়ক-মহাসড়ক যদি যানবাহন চলাচলের পূর্ণ উপযোগী থাকে তাহলে যানবাহনকে দুর্ঘটনামুক্ত রেখে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব এবং মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি প্রদানও অসম্ভব নয় । যে কারণগুলোতে বিশেষ করে গাড়ির অতিরিক্ত গতির কারণে ৫৩.২৮ শতাংশ, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোয় ৩৭.৩৮ শতাংশ, পথচারীদের ভূলের কারণে ৩.৫৬ শতাংশ এবং অন্যান্য কারণে ৫.৫৮ শতাংশ সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে । সুতরাং সকলের সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে এটুকুর নিশ্চয়তা অন্তত দিতে হবে যে, সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে আর কোন জীবন অকালেই ঝড়ে না যাবে না এবং কোন বাবা-মা-সন্তান-ভাই-বোন অস্বাভাবিক কোন কারণে আপনজন হারা হবে না ।

রাজু আহমেদ । কলামিষ্ট।