ধূম্র-শলাকা-১

শাকিল খান
Published : 11 Oct 2015, 08:09 PM
Updated : 11 Oct 2015, 08:09 PM

আমরা সকলেই জানি ধূমপান বিষপান। তারপরও ধূমপান করাটা অনেকের পছন্দের ব্যাপার। অনেকেই আয়েশের সাথেই ব্যাপারটা উপভোগ করেন। এতে করে যে পরিবেশের কি পরিমান বিপদ ডেকে আনছি তা আমাদের সকলের-ই জানা। যাই হোক যিনি ধূমপান করেন তিনি আমার থেকে আরো ভাল জানেন এই ব্যাপারগুলো। পাবলিক স্থানে ধূমপান এখন আবার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তারপর ও পাবলিক স্থানেই ধূমপানের মহা-আয়োজন চলছে চারপাশে। কারন যারা শাস্তি দিবেন তারাও মানেন না অনেক সময়।


এবার আসি আসল ঘটনায়, সকাল সকাল বাসা থেকে বের হয়েছি অফিস যাওয়ার জন্য।বাসের জন্য অপেক্ষা করছি, আমার ঠিক সামনেই এক ভদ্রলোক আরামসে সিগারেট ফুকছেন।আর মিল-কারখানার মত ধোয়া ছাড়ছেন।বাধ্য হয়েই একটু দূরে সরে দাঁড়ালাম,যদিও মনে মনে ইচ্ছে হয়েছিল অন্য কিছু।

বাসে উঠলাম অনেক ঝামেলা সহ্য করে, দাঁড়িয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ও নাই, বাস কানায় কানায় ভরা। কিছুদূর যাওয়ার পরে দেখি চালক সাহেব আয়েস করে ধূম্র-শলাকা টেনে চলেছেন, তার পিছনেই মহিলা -শিশুদের আসন। অনেকেই দেখলাম মুখে কাপড় দিয়ে আছেন গন্ধের জন্য। কিন্তু কারো কোন এই ব্যাপারে অভিযোগ নাই। আমিও সবার মত অভিযোগহীন জায়গামত নেমে গেলাম।

আবার কিছু ভাই আছেন যারা রাস্তা দিয়ে হাঁটেন আর অতি ভাবের সাথে ধূম্র-শলাকা ফুঁকেন। তার পিছনে বাচ্চা-কাচ্চা, মহিলা অথবা বুড়ো মানুষরা থাকতে পারেন এই ব্যাপারটা তারা ভুলে যান। অনেক শিক্ষিত মানুষ আর সচেতন মানুষরাও এইটা করেন।অনেক পরিবেশবাদী সারাদিন মাঠে-ঘাঠে লাফালাফি করেন ভাল ভাল কথা বলেন কিন্তু ফাঁকে ফাঁকে তিনিও ধূম্র-শলাকা ফুকেন আর আমাদের পরিবেশ রক্ষা করেন। অনেক ভাই-বোন আছেন যারা রিকশায় চড়ে বাতাস খাইতে খাইতে এই কাজ করেন কিন্তু তিনিও ভাবেন না যে পিছনের রিকশায় যারা আছেন তারা কি পরিমান বিরক্ত হচ্ছেন। ইদানিং তো ধূম্র-শলাকা তরুণদের জন্য কালো দুনিয়ার প্রথম ধাপ। তাই সচেতন হওয়া আর সচেতন করা খুব জরুরি।