ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। তবে বর্তমান সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা থেকে জরুরী বিষয় হল পরিবেশ। আজকের খবরই ধরে নেয়া যাক। ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে উদ্ধার করেছে! তো এমন কি হল যে পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব হয়! ছাত্রী নিপীড়নের অভিযোগে ছাত্রলীগের কয়েকজনকে বহিষ্কারের দাবিতে ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করেছিলেন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে এ আন্দোলন। ফলাফল ছাত্রলীগের উত্তম-মাধ্যম খেয়ে হাসপাতালে!


.
বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির পরিবেশ নেই সেটা অনেক দিন ধরেই। আর বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিটা তো এখন নোংরামীর জায়গা।আসল কথা হল, ছাত্র রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য থেকে আমরা অনেক দূরে। সরকার দলীয় ছাত্রলীগের কারণে সরকার আজ নতুন করে বিব্রত হচ্ছেন, বিষয়টি এমন নয়। এ ধারা অনেক পুরোনো। কিন্তু যা লাউ তাই কদু। ছাত্রলীগের কি করতে পারবেন আওয়ামী লীগের উপরের সারির নেতারা?
কেন আমাদেরকে দেখতে হচ্ছে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন আরেকজনকে মারছে? কেন দেখতে হবে একজন ভিসিকে অবরুদ্ধ করার সাহস সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা দেখাচ্ছেন? এসবই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। উত্তর যে কিছু মিলবেনা তাতো বলাই বাহুল্য। এ দেশের শিক্ষিতের হার যদি এত ভাল হতো তাহলে আজ আধুনিক শিক্ষার এ যুগে এসব অযথা জিনিস দেখতে হতোনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কত সাধারণ ছেলে-মেয়েরা পড়ছে। যাদের বাবা-মা দিনমজুর। হয়ত টাকার তাড়নায় ঢাকায় রিক্সা চালিয়ে পড়ার খরচ জোগাড় হচ্ছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার পরিবেশের কারণে একজন তার গ্র্যাজুয়েশন করতে দীর্ঘসময় নিচ্ছে।
সময় হয়েছে অন্য কিছু ভাবার। ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শীঘ্রই আবার আসছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর ছাত্র রাজনীতির ক্যাডার সুলভ চিত্র বন্ধ করা জরুরী। আর তাই ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সরকার ও সুশীল মহলের ভাবার সময় হয়েছে। ক্ষতি বাড়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাস বন্ধ করা হোক। এটাই যৌক্তিক।
আমরা স্বপ্ন দেখি ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে, পড়ছে, আড্ডা দিচ্ছে। কিন্তু অস্ত্র প্রদর্শন তো কোন সুস্থ পরিবেশ রাখবেনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ নেবেন এটাই আমরা কামনা করি।
পছন্দের পোস্ট করতে আপনাকে লগইন করতে হবে।