এক টাকার আহার ও আমাদের ছিন্নমূল শিশু

আফজাল চৌঃ
Published : 28 Jan 2018, 07:50 PM
Updated : 28 Jan 2018, 07:50 PM

'এক টাকার আহার' ফেইসবুক পেইজের এ শিরোনাম দেখে চোখটা আটকে গেল।ছোট ছোট বাচ্চারা কত তৃপ্তিসহকারে খাচ্ছে অথচ অর্থের অভাবে বাচ্চারা ভবিষ্যতে খেতে পারবেনা তা ভেবে মনটা খারাপ হল অনেক।তাই ভাবলাম সবার সামনে বিষয়টা আনা উচিত।

আমরা যখন সকালে ঘুম থেকে উঠে টেবিলে খাবার তৈরি পেয়েও না খেয়ে ফেলে দিচ্ছি।অথবা দুপুর বা রাতে মজাদার খাবার পাচ্ছি ভুলে যাচ্ছি আশপাশে কত ছিন্নমূল শিশুর কথা। খাবার না পেয়ে ডাস্টবিনে খাবার কুড়াবার মত করুণ চিত্র অহরহই। তবু কি আমরা কর্ণপাত করছি?

বাংলাদেশ যে হতদরিদ্র তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ তা যতই আমরা অস্বীকার করি না কেন  তাই সত্য ও বাস্তব। দারিদ্রতার সাথে এ দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী যুদ্ধ করছেন। বিশাল অট্রালিকা দেখে এ দেশে আত্ততৃপ্তির ঢেকুর তুলা মানুষগুলোর চোখ নীচে নামলে দেখা যাবে অসম একটা সমাজ আমাদের।আর বিষয়টা এমন নয় যে এ দেশের বিরাজমান দারিদ্রতা কমানো সম্ভব নয়।আমাদের দেশের ছিন্নমূল শিশুর সংখ্যা এতই যে একেক সময় রাস্তায় তাদের ভিক্ষাবৃত্তি দেখে নিজেকে ক্ষমা করতে মন চায়না।সোনার বাংলাদেশের সোনার শিশুরা আজ দারিদ্রের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে।শুধু আমাদের একটু সচেতনতা কত ছিন্নমূল শিশুকে ছায়া দিয়ে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে তা তো বলাই বাহুল্য।

দেশের এমন দরিদ্র পরিবার আছে যেখানে টাকা উপার্জনের জন্য যোগ্য বয়সের ব্যক্তিটাই নেই।তাই বাথ্য হয়ে ঘরের শিশুটিই খাবারের তাগিদে রাস্তায় নামছে।আস্তে আস্তে অন্ধকার পথে পা বাড়াচ্ছে।টাকা রোজগার করে ঘর চালানোর প্রয়াস।

সবচেয়ে বড় কথা যদি এলাকা ভিত্তিক ধনীরা তাদের এলাকার দরিদ্র মানুষদের প্রতি নজর দেন হয়তবা দারিদ্রতার হার কমানো সম্ভব। যে বয়সে একটা বাচ্চা শিশু স্কুলে যাবে সে যদি অভাবের তাড়নায় রাস্তায় রাস্তায় রোজগারের অভিপ্রায়ে ঘুরে বেড়ায় তাতে তো আমাদের বিবেক জাগ্রত হবার এখনই সময়।

ফেইসবুকের 'এক টাকার আহার' পেইজের সাথে আমাদের একাত্নতা প্রকাশ করে সামনে আগানোর সময় হয়েছে। ক্ষুধা, দারিদ্রতা একটা মানুষকে কোথায় নামাতে পারে তাতো সবার জানার কথা। আমাদের দেশের দারিদ্রতার পরিসংখ্যান আমরা না দেখেও বলতে পারি আমরা কতটা খারাপ অবস্থায় আছি! না হয় এক টাকার আহার পেইজের করুণ আকুতি দেখতে হতনা।দৈনিক দশ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা! ভাবা যায়?এটা তো মাত্র একটা পেইজের পরিসংখ্যান বলছে। বাকীটা হিসেব করে নিন।

আমরা প্রত্যেকে এগিয়ে আসব। সেটা যেভাবেই হোক।আমাদের সচেতনতা ছিন্নমূল শিশুগুলোকে স্কুলমুখী করবে।দরিদ্র পরিবারগুলোর অর্থের যোগান আসবে।এসব তো আমরা কর্মপরিক্ল্পনায় আনতেই পারি।

দেশের রাজনৈতিক উত্তাপ নিয়ে আমরা তর্কে বিতর্কে ব্যস্ত অথচ যারা কিছু ছিন্নমূল শিশুকে খাওয়াতে চান তাদের দিকে নজরই নেই আমাদের। তরুণরাই পারে সমাজকে সামনে নিতে।আসুন সবাই সামনের চিন্তাতে এই সি হতদরিদ্র পরিবারের কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তা করি।তাতে অন্তত দেশের লাভ।

আর 'এক টাকার আহার ' এর ফেইসবুক পেইজটাতে গিয়ে একাত্ন হই।ছবিগুলোতে বাচ্চারা খাচ্ছে আর আমরা পাশে দাড়িয়ে তৃপ্তিসহকারে দেখছি এটাই হোক নিত্যদিনের বাংলাদেশ।

এখানে আরেকটা বিষয় ভাবা যায় কিভাবে স্থায়ীভাবে এসব শিশুদের পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করা যায়। নিজেদের টাকায় যদি পদ্মা সেতু করা যায়, তবে দারিদ্রতা দূর করা কি অসম্ভব?

এই প্রজেক্ট বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। অনুদানে উৎসাহী দাতাদের পেজের ইনবক্সে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। অনুদান দেয়ার পর পেজে ইনবক্স করলে আমরা ২৪ ঘণ্টার মাঝে কনফার্ম করে দিব এবং মাস শেষে রশিদ প্রদান করবো।

1. Account Name: Bidyanondo Foundation.
No: 10612012479
Dutch-Bangla Bank Ltd. Narayangonj Branch, Narayangonj.

2. Account Name: Bidyanondo Foundation,
No: 0221330016199
Social Islamic Bank Ltd, Nawabpur Branch, Dhaka.

3. অনুদান পাঠানোর বিকাশ একাউন্টঃ

মার্চেন্ট বিকাশ একাউন্ট: 01878116230 (Payment option এ টাকা পাঠাতে হবে; counter no: 1 টিপতে হবে);

ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্ট: 01631554646, 01631573232, 01824808052, 01878116231, 01766685686

4. DBBL Mobile Banking: 0176 668 5686-9

5. পেপল একাউণ্ট support@bidyanondo.org

["আয়ের পথ করেন" টাইপ উপদেশ দেয়ার আগে বিশুদ্ধ চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের অনুরূপ কেস স্ট্যাডি দেখালে ভালো হয়]