যত মানুষের বর্জ্য তত সোনার বার

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি
Published : 5 April 2014, 08:48 PM
Updated : 5 April 2014, 08:48 PM

আল-কেমি ছিলো মধ্যযুগীয় এক বিজ্ঞান চর্চা এই চর্চার সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের কে আল-কেমি বলা হয়ে থাকে। আল-কেমিরা ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা যে যেকোনো ধাতুকে রুপান্তর করে স্বর্ণ বা রৌপ্যে রুপান্তর করবেন। কিন্তু তাদের একাজ আর হয়ে উঠেনি। কথিত আছে তারা নাকি তাদের এইসুত্র লুকিয়ে ফেলেছেন।

তবে খুশীর খবর যে এই প্রযুক্তি এই সুত্র এখন আমাদের বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ভাইয়েরা আবিস্কার করে ফেলেছেন। সাম্প্রতিক আমাদের বাংলাদেশী বিমানের ক্লিনার ভাইয়েরা এই রহস্যের উদ্ঘাটন করেছেন। তারা এখন বাংলাদেশ বিমানের টয়লেটের বর্জ্য কে সোনায় রুপান্তর করছেন। যাহা একটি অসম্ভব ব্যাপার বটে।

আমরা এখন প্রতিনিয়ত পেপার খুলেলেই এই সব খবরের দেখা পাই যাদের অধিকাংশ আমাদের বিমানের ক্লিনার ভাইদের করা।

মাননীয় সরকারের কাছে অনূরোধ আমাদের বাংলাদেশ বিমানের ক্লিনার ভাইদের এই আবিষ্কার যেনো বিফলে না যায় তাদের কে অতিসত্তর গুলিস্তানের মতো বড় বড় পাবলিক টয়লেট এ কাজের সুযোগ দেওয়া হোক।

সবশেষে সাধারণ ভাইদের বলছি আপনারা এখন বেশী বেশী করে মল ত্যাগ করুন। আমাদের বাংলাদেশী বিমানের ক্লিনার ভাইয়েরা আপনাদের এই মল ত্যাগ বৃথা যেতে দিবেনা। তাহলে আমরা আরো বেশী বেশী করে সোনার বার পাবো।

যত মানুষের বর্জ্য তত সোনার বার।