সড়ক দুর্ঘটনায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু আর আমার পহেলা বৈশাখ

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি
Published : 14 April 2014, 05:19 AM
Updated : 14 April 2014, 05:19 AM

আজ পহেলা বৈশাখ, আজকে আমরা বাংলাদেশিরা সবাই আনন্দে উল্লাসে মাতোয়ারা। কালকে সাড়া বাংলাদেশ ভাসবে আনন্দ উল্লাসে। কেউ আমরা প্লান করছি কালকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবো পান্তা ইলিশ খেতে, কেউবা চিন্তা করছে তার প্রিয় ব্যাক্তি বা রমণীর হাতে হাত রেখে সারাবেলা ঘুরবে। কেউ নতুন পাঞ্জাবি কিনেছে কেউবা নতুন শাড়ি। সমগ্র বাংলাদেশ কালকে বরন করে নিবে বাংলা নতুন নববর্ষ।

কিন্তু আমার ভাইয়ের কি হবে? আজ বিডিনিউজ২৪ অনলাইন পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের বিভাগের ছাত্র শাহিন ফেরদৌস(২০) শুক্রবাদের মিরপুর সড়কে সরকারি একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আহত হন। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তির পর তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় এর পরে দ্বিতীয়বারের মতো কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তারওতো এবারের পহেলা বৈশাখে কিছু কিছু করার প্লান ছিল, হয়তো ইচ্ছা ছিল বন্ধু বান্ধবের সাথে বর্ষ বরন করার বা আড্ডা দেওয়ার। কই সে এখন? অন্ধকার কবরে ঘুমিয়ে আছে। জন্মসুত্রে সে আমার মায়ের পেটের ভাই না তাকে আমি কোনদিন দেখিওনি। আজকে খবর দেখে জানতে পারলাম। চিন্তা করুন আপনারা এই পরিবারের অবস্থা এখন কেমন।

খুব কষ্ট লাগে মনে ভেঙে যায় হৃদয় খাঁ খাঁ করে যখন দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রী ভাই বোনেরা এভাবে মারা যায়।

জীবনের মূল্য কি এতো তুচ্ছ?

আমি কালকে কোথাও যাবনা। এটাই আমার প্রতিবাদের ভাষা।