
হুট করে কি যে মনে হল সোজা রাস্তা রেখে নেমে পড়লাম বালুর মাঠে(মিরপুর-১ এর প্রস্তাবিত কাঁচা বাজার) ভাবলাম বিকালের সোনা রোদে বালুর মাঠে হাটতে বোধহয় খারাপ লাগবে না, কয়েকটি ছবিও তুললাম এর পর আবার হাটা শুরু করলাম,উদ্দেশ্য ছিল ফেরিওয়ালা এর সামনে হেঁটে যাওয়া মানুষটির(আমার খালাত ভাই)অজান্তে উনার ছবি তোলা, হঠাৎ দ্রুত পদে হেঁটে আসা ফেরিওয়ালা নামের মানুষটি সামনে আসায় তাকেও বন্ধী করেছিলাম ক্যামেরায় , এই মানুষগুলোর জীবন যে কতটা কষ্টের তা আমি অনেক কাছ থেকেই দেখেছি, এনারা শহুরে বস্তিতে থাকলেও জীবিকার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়ে গ্রামে গঞ্জে, এভাবে দিনের পর দিন ঘুরে ঘুরে যা পরিত্যক্ত মালামাল পায় তা এনে শহরে বিক্রি করে কোনরকম সংসার চলে খেয়ে না খেয়ে, এনাদের কাঁধে এমন বোঝা নিয়ে কত ঝড় কত রোদ এভাবে পার হয়ে যায় তার হিসাবও থাকে না, গ্রামের স্কুল গুলোর বারান্দায় এনাদের রাত কাটে, তবুও শত কষ্টের পরেও বাড়ি এসে যখন সন্তানের মুখে স্ত্রীর মুখে দুটো খাবার দিতে পারে তখন তাদের হাসি দেখেই সব কষ্ট ভুলে যায়, অথচ আমাদের অনেক কিছু থাকতেও আমরা সবসময় নিজেকে অসুখী বলে প্রকাশিত করি যা দিয়ে বোঝা যায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমরা কতটা অকৃতজ্ঞ।
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
সময় ফেরিওয়ালাদের ব্যবসাকে নানাভাবে চ্যালেঞ্জ করেছে। এক সময় … ফেরিওয়ালারা বাসার দরজায় সহজেই আসতে পারত। পত্রিকা, খালি টিনকৌটা দিয়ে বোঝাই করত ডালা। সেই সময় কটকটি পাওয়া যেত ফেরিওয়ালাদের কাছে। এক সময় এল, পুরান কাপড়ের বিনিময়ে হাড়িপাতিল বেচাকেনা করত ফেরিওয়ালারা। তবে এখন নিরাপত্তা, এপার্টমেন্ট বাড়ির কারণে ফেরিওয়ালারা ঘরের দরজা পর্যন্ত আর পৌছতে পারে না।
রায়হান তানজীম বলেছেনঃ
হুম আপু সময়ের সাথে আসলেই সবকিছুই পরিবর্তনশীল , আমিও ছোট বেলায় আপনার বর্ননা মতই দেখিছি এখন অনেক কিছু পাল্টেছে , নিরাপত্তার জন্য আজকাল আর শহুরে গলিতে খুব একটা ফেরিওয়ালা দেখা যায় না তবুও ছোট খাট মফস্বল শহরে বা গ্রামে আজো ফেরিওয়ালাদের অবাধ বিচরন পরিলক্ষিত হয় ।