আধুনিকতার নামে দিনে দিনে কোথায় যাচ্ছি আমরা?

রায়হান তানজীম
Published : 17 April 2015, 05:01 PM
Updated : 17 April 2015, 05:01 PM

আমি বয়সের ভারে নুয়ে পড়া কোন বৃদ্ধ নই, ধরা যায় এসময়ের নবীন ছেলে, সুতরাং আমার দৃষ্টিভঙ্গির গণ্ডিও বয়স্কদের তুলনায় সীমিত, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপারটা খেয়াল করছি তাই এ ব্যাপারে কিছু কথা না বললেই নয় তাই লিখতে বসলাম।

মফস্বল শহরে পিতামাতার দৃষ্টিসীমার মধ্যে বেড়ে ওঠা অনেক তরুণ তরুণীরা জীবিকার উদ্দেশ্যে বা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে ভিড় জমায় এই আলোর শহর বা রঙ্গিন শহরে, যেখান থেকে অনেকের কাছে পৃথিবীটাকে অনেক রঙ্গিন মনে হয়, কেউবা এখনে এসে তাদের উদ্দেশ্যকে কাজে লাগায় কেউবা নিজেদের হারিয়ে ফেলে এই রঙ্গিন শহরের হাজার লোকের মাঝে।
আমি হয়ত এখানে বেশিদিন নই তবুও স্বল্প সময়ে অনেক দেখেছি আমার আশে পাশের মানুষগুলো নষ্ট হয়ে যেতে ,দেখেছি বাড়ির জমি গোয়ালের গরু বিক্রি করে পাঠানো টাকাগুলো হোটেলে রেস্তরাঁয় বন্ধুদের আড্ডায় নষ্ট করতে।

সমসাময়িক যে ব্যাপার গুলো না বললেই নয় তা হল আধুনিকতার নামে এসকল ছাত্র ছাত্রীরা ভার্সিটি লাইফে ঢুকে বন্ধুত্বের দোহায় দিয়ে নিজেকে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেমে বা ভালবাসায় জড়িয়ে ফেলে, আর হুট করে হয়ে ওঠা এই সম্পর্ক যেহেতু বেশি দিন টিকে না তায় সম্পর্ক ভেঙ্গে গিয়ে কোন একজন প্লে বয় বা গার্ল উপাধি লাভ করে, অপরদিকে অন্যজন ফেসবুকে বা অন্য সোশ্যাল মাধ্যমে বিভিন্ন মন ভাঙ্গা স্ট্যাটাস দেওয়া শুরু করে, বা বেশি ইমোশনাল হলে আত্মহত্যার ও সিদ্ধান্তও নিয়ে ফ্যালে বা লেখাপড়া বাদ দিয়ে বাড়ি চলে গিয়ে সুধু কেঁদে কেটে দিন পার করে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে , পরবর্তীতে যখন শক্ত পোক্ত হয়ে ফিরে আসে আবার এই আলোর নগরীতে, তখন সে অধিকাংশ সময় অন্যের সাথে তেমন আচরণ করতে পছন্দ করে যেমন টা তার সাথে করা হয়েছিল।

আর যারা বাড়ির টাকা নিয়ে এসে ঠিক ঠাক কাজে লাগায়, নিজেকে ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা চালায় তাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে খ্যাত ও কিপটা উপাধি পেতে হয়, অপর পক্ষে যারা এমন ললনা বা বয়-ফ্রেন্ড নিয়ে রেস্তরায় পার্কে ঘুরাঘুরি করে ও একাধিক প্রেম ভালবাসায় ও মানুষ ঠকানোর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে তারায় হয়ে ওঠে আধুনিক স্মার্ট জেনারেশন।