লিবিয়ান'রা বেদুইন জাতি। গাদ্দাফি এই বেদুইনদের মরুভূমির তাঁবু থেকে দালানে বাস করা শিখিয়ে ছিলেন। জংলি জাতিকে তিনি সভ্যতার আলো দেখিয়েছেন। আর তার'ই প্রতিদান তিনি পেলেন। গাদ্দাফির অনেক অন্ধকার দিক ছিল, আর তার পতনের সেটা একটা কারণ বটে। তবে তিনি আরও তলিয়ে গেছেন তার আট ছেলের নীতি বিবর্জিত জীবন যাপনের কারণে। তার পতনের কারণটা যত না আভ্যন্তরীণ আন্দোলন, তার চেয়ে বেশী আমেরিকা, ইসরায়েল আর ব্রিটেন এর প্রভাব। একটা নেতার মধ্যে সত্যিকারের ভাল কিছু না থাকলে একটা দেশে ৪০ বছর শাসক থাকাটা অসম্ভব। গাদ্দাফি অনেক ভুল কাজ করেছেন, তবে লিবিয়াকেও তিনি কম দেননি। তিনি লিবিয়াকে পথ দেখিয়েছেন, কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি নিজে পথচ্যুত হয়েছেন।
প্যালেস্টানিদের সমর্থন দেয়া, আমেরিকার প্রকাশ্য বিরুদ্ধাচরণ, লকারবি বোমা হামলা, আর ইসরায়েলকে ঘৃণার কাড়নেই তাঁকে আন্তর্জাতিক ভিলেন বানানো হয়েছে। পশ্চিমা মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা'র কারণে, ব্যক্তি হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন তা সত্যি সত্যি জানা কঠিন। তিনি বেদুইন ছিলেন, আর তার জীবন যাপনের অনেক কিছুই আমাদের বা পশ্চিমাদের সংস্কৃতির সাথে বেমানান মনে হবে। তবে নীচের লিঙ্কটি থেকে তার এক নার্সের বক্তব্য থেকে জানা যায় তিনি ব্যক্তি জীবনে কেমন ছিলেন।
বটে গাদ্দাফির মৃত্যুতে একটা বিখ্যাত ইংরেজি বচন মনে পড়ে "Either you die hero, or live long enough to become a villain"। গাদ্দাফির হয়তো আরও আগেই চলে যাওয়া উচিত ছিল। ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার সঠিক সময়টা বেশির ভাগ কিংবদন্তি নেতাই বুঝতে পারেন না। আর তাই তাদের এই করুন পরিণতি হয়।