নির্বাচনের অংক কষে দেখলাম , এ কোন সরল অংক নয় । প্রশ্ন উঠলো – ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন কেন সময় মত হলো না ? নির্বাচনের ফলাফল যখন সরকার দলের পক্ষে আসার সম্ভাবনা ক্রমশঃ ক্ষীণ হয়ে যাবার আশংকা স্পষ্ট হয় আর তখনই ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন হয়ে পড়ে অনিশ্চিত , রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ এখন এমন কিছু বিষয় ইতিমধ্যেই অনুধাবন করে ফেলেছে বলে দাবি করতে পারেন, তাই আর কোন দেরী নয় , আরো আগেই ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া উচিত ছিল , আমরা জানি এই নির্বাচন অনুষ্ঠান বিলম্ববের দায় কিন্তু নির্বাচন কমিশন নেয়নি , নির্বাচন কমিশন অবশ্য আঙ্গুল দেখিয়েছেন সরকারের দিকে । সরকার জানে্ন ভিন্ন মতের দলের কেঊ যদি দীর্ঘদিন একই পদে আসীন থাকেন , তাতে উন্নয়ন কাজ বাধা গ্রস্থ হতে পারে, তবুও হয়তো এই মুহূর্তে হেরে যাবার ভয়ে সরকার নির্বাচন দিচ্ছেন না । আর নির্বাচন কমিশন সরকারের এরুপ সিদ্ধান্ত "মেনে নিবেন না", আর এই দূর্বল বা সীমাবদ্ধ ক্ষমতাসম্পন্ন নির্বাচন কমিশনের মুখে এমন বক্তব্য আশা করা আজ কঠিন বলে মনে করছেন অনেকে।
সম্প্রতি নির্বাচনী এলাকা দুই ভাগ করে দিয়েছেন সরকার, তাতে করে যদি সরকারের পূর্বেকার হেরে যাবার ভীতি কিঞ্চিৎ উপশম হয় তাহলে মনে করা যেতে পারে তাড়াতাড়িই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন , সেই উপলব্ধি এখন সাধারণ মানুষেরাই করছে বলে মনে করতে পারেন পর্যবেক্ষকেরা । তারা ভাবতে পারেন চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল সরকারকে যে বার্তা দিয়েছিল , নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন জটিলতা আগের সেই বার্তারই পূর্বাভাস বয়ে এনেছে, তারপর কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন , অবশিষ্ট রইলো শুধু ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন । যদিও স্থানীয় সরকার নির্বাচন এর ফলাফল দিয়ে কখনো জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করা ঠিক নয় , তবুও ব্যাপক জনপ্রিয়তার অধিকারী , জনসংযোগে তৃণমূল প্রসারি বর্তমান সরকারি দল ইতিমধ্যেই তার হাড়ানো ভাবমূর্তি পুনুরুদ্ধারে যদি এখনই মনযোগ না দেন তাহলে জাতীয় নির্বাচনে এসব স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রভাব পড়লেও পড়তে পারে ।