অনেক দিন পরে গত ২১.০৬.২০১২ তারিখে বাগেরহাট গেলাম একটা জরুরি কাজে, দিন থাকতে থাকতে জেতে হবে তাই বিকালেই রওনা দিলাম মতিঝিল থেকে। কিন্তু প্রথমেই বিপদ! হিন্দু সম্প্রদায়ের রথ যাত্রা উপলক্ষে টানা দেড় ঘণ্টা বাসের মধ্যে গরমে বসে হা-হু-তাস করছিলাম। তারপর সায়েদাবাদ যেয়ে ওই সময়ে কোন বাস না পেয়ে যাই যাত্রাবাড়ী। সেখান থেকে ইলিশ পরিবহনে মাওয়া ঘাট পর্যন্ত যাই। বাসে যেতে সবসময় যা ঘটে; কিছু যাত্রীর সাথে সুপারভাইজর এর সাথে ভাড়া নিয়ে তর্ক; আর একটু হলে তো হাতাহাতি! যাই হোক বিকাল থাকতে ঘাটে পৌঁছলাম।
এখন তাড়াতাড়ি পার হতে হবে। তাই লঞ্চে পার হওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে স্পীড বোটে পাদ্মা পার হওয়ার চিন্তা করলাম। যথারীতি অন্যান্য সবার মত আমিও কাঠের সাকো পার হয়ে পল্টনে গেলাম যেখানে বোট বাধা আছে। এখন পার হওয়ার জন্য টিকেট সংগ্রহ করতে হবে। টিকিট কিনলাম ১৫০ টাকা দিয়ে। কিছুদিন আগেও টিকিট ছিল ১২০ টাকা। এর কিছুদিন আগে ছিল যথাক্রমে ৮০ ও ৬০ টাকা। আমাদের দেশে কিছু কোমল পানীয় এর বিজ্ঞাপন দেখা যায় যেমন এনার্জি লাফ দিয়ে দিয়ে বাড়ে তেমনি এখানকার ভাড়াও ওইরকম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ১০০ টাকার ২ তা নোট দিলাম, আমাকে ৫০ টাকা ফেরত দিল। ১০ টাকার একটা নোট খুব ছেড়া এইজন্য পরিবর্তন করতে বললাম, তখন যে ব্যবহার করল আমি একা না হলে ওকে মেরে তাক্তা বানিয়ে দিতাম কারন ওরা অনেক লোক; মাঝারি সাইজের একটা গুন্ডা বাহিনী। টিকিট কিনলাম থিকই কিন্তু এর কোথাও টাকার অঙ্ক লেখা নাই।
সরকার থেকে ইজারা নেওয়া হয়ত নামমাত্র মূল্যে কিন্তু জনগন থেকে অধিক উচ্চমূল্য হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে এবং সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে যে টাকা লুটে নিচ্ছে হাতে গোনা দু-একজন লোক, যার নেপত্থে আছে স্থানীও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এর নেতৃ বৃন্দ, প্রশাসনের কিছু লোক ও পুলিশের কিছু লোক।
এটা তো গেল স্পিড বোটের ভাড়া বেশি নেওয়া, অনেক সময় রাতের বেলা মাঝ নদীতে নিয়ে যাত্রী দের সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়! এগুলো দেখার কেউ নাই কি?