জমে উঠেছে চাঁদপুরের ঈদের মার্কেট

রিফাত কান্তি সেন
Published : 27 June 2016, 06:23 PM
Updated : 27 June 2016, 06:23 PM

এবার ও চাঁদপুরের মার্কেট গুলোতে ভারতীয় পোশাকের চাহিদা-ক্রেতাসাধারন জুঁকছে ভারতীয় পোশাক বাজরাঙ্গি ভাইজান,বাজিরাও মাস্তানি,আর পটল কুমারেরর দিকে। ঈদ আসতে আর কদিন বাকী।তাই অনেকেই আগে ভাগে সেরে নিচ্ছেন কেনাকাটা। তাই উপচে পড়া ভিড় শহর,গঞ্জের পোশাকের দোকানগুলোতে।

এবার ও বাজিরাও মাস্তানী, বজ্রমালা, কিরনমালা, পাখি,কটকটি,জলপরী,জলনূপুর,ঝিলিক,পাখি শাড়ী,থ্রী পিচ,লেহেঙ্গা সহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় স্টার জলসা টিভি চ্যানেলের অভিনেত্রীদের পরিধান করা পোশাক জনপ্রিয়তা পেয়েছে তরুনীদের মাঝে। এসব পোশাক গুলো বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে শুরু করে ৭,৮,৯ হাজার টাকা ও।


আবার বেশী মূল্যের ও থ্রী পিচ রয়েছে।চাহিদা অনুযায়ী দোকানীরা ক্রেতাদের তা পরিবেশন করেন।

এছাড়া ছেলেরা ঝুঁকছেন ভারতীয় কিং খান সালমান খাঁন অভিনীত জনপ্রিয় ছবি বাজরাঙ্গি ভাইজান এর নাম দেয়া পোশাকের দিকে।এছাড়া পাঞ্জাবীর প্রতি ও রয়েছে ছেলেদের ঝোঁক।এসব পোশাক গুলো ৬০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার মধ্যে কেনা সম্ভব। অল্প বয়সী ছোট্ট শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে পটল কুমার নামে পোশাকের।এছাড়া চায়না পোশাক ও টি-শার্ট,প্যান্ট,জুতার প্রতি ছোট্ট শিশুদের আকৃষ্টতা।তবে শিশুদের পোশাকের দামটাও একটু বেশি।

এছাড়া বাজারে দেশি জামদানী,সিল্ক,বেনারসী,কাতান, জর্জট,তাঁতের শাড়ীর দিকে ঝুঁকছেন কিছু নারীরা। তবে দোকানীরা বলেন ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের পোশাক গুলোর প্রতিই জেনো বেশী আকৃষ্ট সব বয়সী নারীরা। খুব কম স্বল্পক নারীই দেশীয় পোশাক কিনতে আগ্রহী।আর তাই ক্রেতার চাহিদা মিটাতে ব্যবসায়ীরা ও ব্যস্ত ভারতীয় পোশাক সন্ধানে।

সাধারন ক্রেতারা বলেন এবার পোশাকের মূল্য আগের চেয়ে কিছুটা বেশী। তবে পছন্দের পোশাক দাম দিয়ে কিনতে আগ্রহী ক্রেতা সাধারন।

শহরের কালীবাড়ি এলাকায় এক ক্রেতার সাথে কথা হয়। সে জানায় তার পছন্দের তালিকায় এবার বাজিরাও মাস্তানী নামক ভারতীয় লেহেঙ্গা। যত দামই হোক তিনি তা ক্রয় করবেন।

এদিকে পোশাকের সাথে সাথে প্রসাধনী,কসমেটিক,জুয়েলারী এমন কি জুতার দোকান গুলোতে ও ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে এর ভিন্নতা দেখা মেলে কম আয়ের মানুষদের মাঝে।শহুরের ফুটপাতে যে পোশাকের দোকান রয়েছে,সেখান থেকে ই ঈদের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাত গুলোতে। বিশেষ করে দিন মজুর,রিস্কাওয়ালা,আর সেই বস্তির হাড় খাটুনি করা মানুষগুলোর ভিনদেশী পোশাকের প্রতি নেই লেশ মাত্র অনুরাগ,অনুভূতি।

হয়তো অনেক পরিশ্রমী খেঁটে খাওয়া দিন মজুরেরই রমজান শেষ হয়ে ঈদ চলে আসলেও কেনা হবে না শখের পোশাক। সন্তানকে শেষ সান্তনা টুকু আবার ঈদ এলে কিনে দিবো বলে দীর্ঘায়িত হবে দীর্ঘশ্বাস।

ধনির দুলাল!কিংবা মধ্যেবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের পিতা-মাতারা যখন পকেট ভর্তি টাকা দিয়ে সন্তানের চাহিদা মেটান। ঠিক তখন আবার কেউ কেউ তাকিয়ে থাকেন এ বুঝি কেউ যাকাত দিবে,হাসি ফুটাবে তার আদরের সন্তানের মুখে।