দেখা মেলে না দেশিয় প্রজাতির চির চেনা মাছগুলোর

রিফাত কান্তি সেন
Published : 4 August 2016, 06:16 PM
Updated : 4 August 2016, 06:16 PM

প্রাকৃতিক সৌন্দের এক অপূর্ব লীলাভূমি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। রূপ, বৈচিত্রে জুড়ি নেই এর। ষড়ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। ছয়টি ঋতুতে ছয়টি সাজে প্রকৃতি আমাদের হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়। এখন বর্ষা! যে দিকে তাকাই সেদিকেই পানি আর পানি। চারদিকে শুধু পানির খেলা।বর্ষায় খাল,বিল,নদী,নালা এমন কি পুকুর ও পানিতে পরিপূর্ন হয়ে যায়। আকাশে সাদা মেঘের খেলা-কখনো থেমে থেমে বৃষ্টির ছোয়া অসাধারন আনন্দদেয় ভ্রমনপ্রিয়সীদের।


অথৈ পানিতে হাসেরা করে খেলা।চরাঞ্চলের জেলেরা এসময়টাতে মাছ ধরতে ব্যস্থ সময় পার করেন। তাদের জীবিকার একমাত্র উৎস মাছ ধরে বিক্রি করা।আবার অনেক জেলে নিজেরা মাছ চাষ করে।কেউ কেউ অন্যের মাছের প্রজেক্ট এ ও কাজ করেন। ডাকাতিয়া নদীর শাখা নদীটি প্রবাহিত হয়েছে ফরিদগঞ্জ বাজারের পাশ ঘেঁষে। এক সময় প্রচন্ড স্রোত ছিলো এ নদীটিতে।
এখন আর সেই আগের মত স্রোত নেই,বিলুপ্ততির পথে দেশীয় প্রজাতির নানা মাছও।

তবে নদীর পাশ ঘেঁষে ছোট, ছোট চর বেষ্টিত জলাধার গুলোতে মৎস চাষীরা কৃতিম মাছের প্রজেক্ট করে। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য হলে ও আমাদের মাছে, ভাতে বাঙালি বলে ডাকা হয়।
বর্ষায় নদী,খাল,বিলে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।এ সময়টাতে গ্রামীণ খালে,বিলে দেখা মিলে কৈ,শিং,বোয়াল,চিতল,পুঁটি,টেংরা,ভেদা, বাইং,মলা,ঢেলা সহ কয়েক প্রজাতীর দেশীয় মাছ।

যদিও অল্প পরিমান দেশীয় মাছ বাজারে পাওয়া যায় তবে তার মূল্য ও চওড়া। যে মাছগুলো একসময় চিরায়িত চেনা যানা ছিলো।ইদানিং বিলুপ্ত হতে চলেছে দেশীয় প্রজাতির এ মাছ গুলো।
কারন হিসেবে কিছু মানুষের উদাসীনতা। বিদেশী মাছের চাষ,মনসেস্ক-তেলাপিয়ার চাষ সহ লাভজনক মাছের পোনার চাষের কারনে সেসব দেশীয় মাছ গুলোর সংরক্ষন দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।
অনেকে জলাধার ভরাট করছে।আবার অনেকে কৃতিম-বিদেশী মাছ চাষ করার জন্য এসব দেশীয় প্রজাতির মাছকে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

ভ্রমনপ্রিয়সীরা এ সময়টাতে ভির জমান চরঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে। ছবির দৃশ্যটি ফরিদগঞ্জের কেরোয়ার চর নামে পরিচিত। প্রতিদিনই ভ্রমন প্রিয়সী মানুষগুলো নিজের ক্লান্তি দূর করতে এখানে ভিড় জমান। সারাদিনের কাজের ব্যস্থতা আর যান্ত্রিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে মানুষ একটু শান্তির পড়স,একটু কোলাহল মুক্ত আবহাওয়ার সন্ধানে ছুটে যান এই চরঞ্চলালে।

এই চরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য় মন কাড়ে পর্যটকদের।