এগিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা-১

রিফাত কান্তি সেন
Published : 6 August 2016, 06:26 PM
Updated : 6 August 2016, 06:26 PM

এগিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে ফরিদগঞ্জের দঃ কড়ৈতলী সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের গল্প।


ভাবা যায় মাইক্রোফোন হাতে অঁজো পাড়া গাঁয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শপথ বাক্য পাঠ করাচ্ছে! শুধু তাই নয় ক্লাসে পাঠ দানের সময় ও প্রযুক্তির ব্যাবহার করছে। প্রাক-প্রাথমিকের শিশু শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের আনন্দদায়ক,বিনোদনমুখী ক্লাস নেয়ার ও ব্যবস্থা রয়েছে। মাটিতে বসে তারা খুব উৎসাহ আর আনন্দমুখর পরিবেশে শিখছে আদর্শলিপির বর্নমালা আর শিক্ষামূলক নানা গল্প। এমন কি ময়লা ফেলার জন্য রয়েছে মোবাইল ডাস্টবিন।

এমনটি ই ঘটে চলেছে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে।ছবির দৃশ্যগুলো (দঃ) কড়ৈতলী সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের ছোট্ট শোনামনিদের দৃশ্য। মাইক্রোফোন হাতে আবদুর জুবায়ের শপথ বাক্য পাঠ করাচ্ছেন। শ্রেণীর পাঠদান ও চলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। প্রযুক্তির আধুনিকতা আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বর্তমান সরকারের অবদান অনশিকার্য। সেই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের সুবিধা ভোগ করছে এখন গ্রামীণ সমাজে বেড়ে ওটা শিশুরা ও।

কথা হয় দঃ কড়ৈতলী সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তারের সাথে। তিনি বলেন খুব আনন্দ মুখর পরিবেশে পাঠক্রম পরিচালনা করা হয়। হাসতে-খেলতে শিশু বেড়ে উঠছে এটা ই তো প্রাথমিক শিক্ষার মূলমন্ত্র। শুরা স্কুল কামাই ও কম করে।তবে গ্রামীণ স্কুল বিধায় স্কুলের বেশীরভাগ শিশুই নিম্মবিত্ত-নিন্মমধ্যবিত্ত শ্রেনীর। কথা হয় স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে তারা জানান, তাদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে পড়ালেখা করতে ভাল লাগে। মাইক্রোফোন দিয়ে পড়া বললে স্পস্ট শোনা যায়। এছাড়া স্কুলের শ্রেনীকক্ষের পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে আগ্রহ যোগায়। দুটি স্কুল বিল্ডিং এ ৩০০ ছেলে-মেয়ের পাঠদান হয়।প্রধান শিক্ষক সহ ৭ জন শিক্ষক শিক্ষিকা পাঠদান করেন। এবার এই স্কুল থেকে ৪৪ জন শিক্ষার্থী পি,ই,সি পরীক্ষায় অংশ নিবে।