ঈদকে সামনে রেখে নগরবাসী ছুটছে তার আপন গন্তব্যে। নাড়ীর টানে ঘরে ফেরা এসব মানুষ শত ভোগান্তী উপেক্ষা করে ও ছুটছে তার শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত নিজ গন্তব্যে। ঈদ আসলেই নগরবাসী ছেড়ে যায় ঢাকা শহর। আর এ সময়টাতে বাস,ট্রেন,লঞ্চে উপছে পরা মানুষের ভিড়। ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে আছে। তবু নিজের গন্তব্যে পৌছানোর আকুলতা, ব্যাকুলতায় হাল ছাড়েনি যাত্রী সাধারণ।
লঞ্চ, ট্রেনে মানুষের গাদাগাদি, জীবনের রিস্ক তবু পৌছাতে হবে বাড়ি- তাইতো পথ চলা। ঈদ আসলেই যাতায়াত ব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশী দূর্ভোগ পোহাতে হয়।পরিবহনে বেশী ভাড়া আদায়ের ও অভিযোগ। ঘন্টার পর ঘন্টার ট্রেন,বাসের অপেক্ষা। এত কিছুর পরও আপন মানুষগুলোর সান্নিধ্য লাভের আশায় ছুটে চলেছে জনতা। এই আবেগের অনুভূতি লিখে বোঝাবার মত নয়! এ আবেগ উপলব্ধি করার।
আনন্দ,উল্লাস করতে নিজের মাতৃকোলের দিকে ছুটে চলা।উৎসবের আমেজে উৎফুল্ল জনতা। রাত পোহালেই পবিত্র ঈদ- উল আযহা। ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে নিজের আত্মীয়স্বজনদের সাথে ঈদের জামাত পড়তে পারা এ এক অনাবিল আনন্দ। পৃথিবীর সমস্ত ঝুঁকিকে হার মানিয়ে প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্য লাভের আশায় নগর বাসী ট্রেনে,বাসে,লঞ্চে চেপে ছুটে চলেছেন আপন গন্তব্যে।
কথা বলেছিলাম ঈদে বাড়ি ফেরা কিছু যাত্রীর সাথে।স্মৃতিচারণ করেছিলেন সেসব দিনগুলোর, যে দিনগুলো আর ফিরে পাবার নয়। দুইটা ঈদে ই সাধারনত ব্যস্থ নগরীর জনতারা নিজ গাঁয়ে ছুটে আসেন শত জুট-জামেলা উপেক্ষা করে। ইট-পাথরের নগরীর চেয়ে প্রকৃতির শ্যামল মায়ায় নিজেকে উজাড় করে দিতে ই ছুটছে মানুষ। "মানুষে, মানুষে যদিও নেই তেমন সেতু বন্ধন। তবু ও কোরবানী ঈদের পশু কোরবানীর সাথে সাথে মনের পশু গুলোকেও কোরবানী করবে মানুষ, এটাই প্রত্যাশা"।