প্রতিমা বিসর্জনে সমাপ্তি শারদীয় দুর্গা উৎসবের

রিফাত কান্তি সেন
Published : 13 Oct 2016, 06:48 PM
Updated : 13 Oct 2016, 06:48 PM

আসবে আবার মা বছর পরে, মন যে তবু হায় কেঁদে মরে। প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো সনাতন ধর্মালম্ভীদে সবচেয়ে বড় আনন্দের উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। চোখে জল,বুক ভরা আর্তনাদ তবু যে বিদায় দিতে হবে মা কে । আনন্দ আর উল্লাসের কমতি ছিলো না সেদিন। মণ্ডপে, মণ্ডপে চলেছিলো সিঁধুর খেলা। নারী, পুরুষ উভয় মেতে উঠেছিলো বিজয়া দশমীর দিনে। বাঙালি হিন্দু রমনীরা লাল-সাদার সংমিশ্রন করে শাড়িতে নিজেকে নতুন রূপে সাাজাতে ব্যস্ত। নেচে গেয়ে বিদায় জানান জগত জননী দেবী দুর্গাকে। বিসর্জনের আগ মুহুর্তে কান্নায় চোখ ভারি হয়ে যায় দেবী ভক্তদের।


এর আগে নবমীর রাতে আনন্দের মাত্রাটা বেশি ছিলো। আরতি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আনন্দে উল্লাসিত ছিলেন ছোট সোনামনিরা। প্রতিযোগিদের মাঝে পুরষ্কার বিতরনেরও রয়েছিলো ব্যবস্থা। সন্ধ্যি পূজার মাধ্যেমে পুরোহিত বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনা করেছেন দেবী দুর্গার কাছে। এর আগে অষ্টমী পূজার দিন সকালে পুস্পাঞ্জলি আর দেবীর অষ্টমী পূজার আরাধনায় ব্যস্থ ছিলেন দেবী দুর্গার ভক্তরা।

মন্ত্রে পুরোহিত উচ্চারণ করেন, পুত্র কুপুত্র হলেও মাতা কুমাতা হন না। দেবী দুর্গা, দুর্গতিনাশীনি সমাজের সকল অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে মানবজাতির মধ্যে ফিরিয়ে আনবেন শান্তি এটাই ছিলো ভক্তদের দেবীর নিকট আকুল প্রার্থনা। এদিন পুরোহিত আরো মন্ত্রে বলেন সকল মানুষের উচিত অহংকার আর দম্ভের বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে আসা। মানুষকে অহংকার আর দম্ভের বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে আনার জন্য দেবীর নিকট প্রার্থনা করেন। এদিন রামকৃষ্ণ মিশন মন্দিরগুলোতে আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার।

সপ্তমী দিন নবপত্রিকা স্থাপন আর সপ্তমী পূজার মাধ্যেমে মণ্ডপগুলো ছিলো মুখরিত। ধুপ, ধুনোর গন্ধ আর উলু ধ্বনিতে মুখরিত পূজা মণ্ডপগুলো। এর আগে ষষ্ঠীদিন বিল্বতলে পূজার মাধ্যেমে দেবীর আরাধনার সূত্রপাত হয়। প্রতিদিনই চলে চণ্ডী পাঠ আর ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরন।

স্বর্গ ছেড়ে মর্ত্যেলোকে দেবীর শরতে আগমন। এ সময় প্রকৃতিতে নতুন রুপে সাজে কাশ ফুল। মহিষাসুর বধ আর স্বর্গের দেবতাদের মাঝে যেমন শান্তি ফিরিয়ে আনতে দেবী ছিলেন অপ্রতিরোধ্য, তেমনি মানুষের মাঝেও অশান্তির গ্লানি মুছে শান্তির বানী পৌছে দিবেন দেবী দূর্গা এমনটা বিশ্বাস দেবী ভক্তদের।