চাল নিয়ে চলছে চালবাজি, সত্যিকারের হতদরিদ্ররা বঞ্চিত!

রিফাত কান্তি সেন
Published : 26 Oct 2016, 05:56 AM
Updated : 26 Oct 2016, 05:56 AM

চাল নিয়ে চলছে চালবাজি, গরীবরে হগ্গলে ঠকাইতে চায়! সারাদেশের দারিদ্র শ্রেনীর লোকের জন্য সরকার দশটাকা কেজি দরে চাল বিতরন কার্যক্রম শুরু করেছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউ,পি সদস্যদের। কিন্তু আসলেই কি আসল হতদরিদ্ররা দশ টাকা মূল্যের চাল পাচ্ছে? এমন এক প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে গনমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানলাম যে বেশীরভাগ যায়গায়ই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়া দেশের চাপাইনবাগঞ্জের স্থানীয় গনমাধ্যমে ও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ ছিলো স্বচ্চল পরিবারকে দশ টাকা মূল্যের কার্ড করে দেওয়া, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি অভিযোগ উঠেছে। এতে করে সত্যিকারের হত দরিদ্র পরিবার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ৫০ বিঘা সম্পত্তির মালিক হোসেন মৃধা। দরিদ্রদের জন্য দেয়া ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড পেয়েছেন তার ছেলে। উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের নামেও আছে কার্ড। ওই নেতার দুই ভাই এনামুল ও এমদাদুল, তিন চাচা ওবায়দুল, আব্দুল কুদ্দুস, আলতাব হোসেন, চাচাতো ভাই ময়েজ উদ্দিন, বাবু নামেরও আছে সেই কার্ড। শুধু কি তাই। তাদের পরিবারের তিন জামাইও এসলাম, আয়নাল হক ও মোকবুল হোসেনও এখন ওই কার্ডের মালিক। অথচ কার্ড পায়নি কার্ড পাননি ওই উপজেলার বিধবার ছেলে ভ্যানচালক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। রাজশাহীতে হত দরিদ্রদের জন্য দেয়া ১০ টাকার কার্ড নিয়ে চলছে চালবাজি। অভিযোগ উঠেছে স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ও স্বচ্ছল পরিবারকে কার্ড দেয়ার।

এভাবে গরীবের হক মেরে খাওয়া কতটা যৌক্তিক সেটা উপরিমহলের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম। সেদিন সি,এন,জি যোগে যাচ্ছিলাম নতুন এক শহরে, ঠিক সে সময় ভাঙা এক রাস্তায় গ্রামের এক মধ্যে বয়স্ক নারী বলছে হাসিনা দেশটারে কি বানাইলো আমাগো এতো দূর্ভোগ। সাথে সাথে আমি ওনাকে বলেছিলাম, "হাসিনা যদি স্বর্ন দিয়ে দেশটাকে মুড়িয়ে দেয় তবু বলবেন হাসিনা দেশের জন্য কিছু করে নাই"

ঠিক সে সময় আরেক বয়স্ক মহিলা বললো বাজান ঠিক কইছো শেখের বেটির লাইগা দুবেলা দুমুঠো খাইবার পারি। আমাগরে দশটাহা কইরা চাল দেয় আমরা খুশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি দেশটাকে অনেক দিচ্ছেন এটা যেমন সত্য, তেমনি ঐ যে যাদের মাধ্যেমে সেবা প্রদান করছে সেখানে রয়েছে ভূতের আনাগোনা। আজ দেশটা ডিজেটেল এটা শুধু আপনারই অবদান। দারিদ্রমুক্ত দেশ গঠনে আপনার অঙ্গিকার অনস্বীকার্য। আপনিই পারবেন এ দেশটাকে দারিদ্রমুক্ত করতে। সকলের ভাতের অধিকার সমুন্নত রাখতে। কিন্তু ঐ সব চাটুকারিদের কারনে আপনার -সরকারের ভাবমূর্তি খুন্ন হচ্ছে।

আপনার প্রয়োজন আতিউর রহমানের মত সৎ নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা যিনি কি না প্রত্যান্তঞ্চলের দারিদ্র শিশুদের ব্যাংকিং এর আওতায় আনতে পেরেছে।

ওরা কেমন জনগনের সেবক? যারা কিনা জনগনের হক মেরে খায়?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার মনমানুষিকতা অনেক উঁচু,আমার বিশ্বাস আপনি পারবেন এদেশটাকে সোনার দেশ উপহার দিতে।তবে তার আগে ঐসব চাটুকারদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন।

ওবায়দুল কাদেরের মত করে অন্য মন্ত্রীদের রাস্তায় নামান,জনগনের সাথে মিশার অনুরোধ জানান।

এদেশের এক একটা মন্ত্রী যদি ওবায়দুল কাদের আর আপনার মত হতো তবে দেশটা আসলে ই সোনার বাংলায় রুপান্তর হয়ে যেতো।