'ক্লিন চাঁদপুর, গ্রিন চাঁদপুর' এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁদপুর শহরকে পরিস্কার-পরিছন্ন ক্লিন সিটি উপহার দিতে জেলা প্রশাসন নতুন উদ্যেগ গ্রহণ করেছে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের দুই উপরস্থ কর্মকর্তাই চাঁদপুরের অপামর জনগণের হৃদয়ের আলিঙ্গনে স্বপ্নের বীজ বুনে চলেছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে নাগরিকের নানা সমস্যা সমাধানে ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে চলেছে প্রশাসন।
কয়েকদিন আগে ফেসবুকে ক্লিন সিটি উপহার দিতে জেলা প্রশাসনের এডিসি (শিক্ষা ও রাজস্ব) আবদুল হাই জনমত জরিপের গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করেন।
ব্যাপক সাড়াও মেলে তাতে। শহরবাসীকে ক্লিন সিটি উপহার দিতে সাধারণ নাগরিক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন ও সামাজিক সংগঠন এক হয়ে শহরকে পরিষ্কার-পরিছন্ন করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে 'ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি'র ব্যানারে এক মত বিনিময় সভা করা হয়। এতে চাঁদপুরের ডিজিটাল জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল, এস পি শামসুন্নাহার, পৌর মেয়র নাসিরউদ্দিন ভূঁইয়া সহ চাঁদপুরের নানা শ্রেণী পেশার লোক উপস্থিত ছিলেন।
এতে জেলাপ্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, যে ভাবেই হোক এই শহরকে পরিস্কার-পরিছন্ন করতেই হবে। ব্রান্ডিং জেলা অপরিছন্ন থাকতে পারে না। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সকলকে এগিয়া আসার আহব্বান জানান।
'পরিস্কার থাকে যেই জন, সেই স্বাস্থ্য সচেতন'। পরিস্কার-পরিছন্নতা সম্পূর্ণ নিজের হাতে। আমরা যারা শহরে বাস করি তারা যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে দূষিত করছি। এতে করে আমাদের নানা রকম রোগ-ব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধছে।
এদিকে চাঁদপুরে অনেক এলাকাতে এখন নিজ উদ্যেগে এলাকাবাসী তথা ওয়ার্ড কাউন্সিলারা পরিস্কার-পরিছন্ন অভিযানে অংশ নিচ্ছে। চাঁদপুর শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ডাস্টবিন সমস্যা। এ বিষয়টার দিকে নজর দিবে প্রশাসন এটাই কামনা।