পরিস্কার থাকে যে জন সেই স্বাস্থ্য সচেতন। একটি পরিস্কার শহর নাগরিকদের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের একমাত্র ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুরকে পরিস্কার-পরিছন্ন শহর হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন চাঁদপুর। এছাড়া চাঁদপুর পৌরসভা, সচেতন মহল,সামাজিক সংগঠনসহ চাঁদপুরের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা শহরকে পরিস্কারপরিছন্ন রাখতে ওতোপ্রোতভাবে উঠেপরে লেগেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ক্লিন চাঁদপুর, গ্রীণ চাঁদপুর ব্যানারে পরিস্কার-পরিছন্নতা কার্যক্রম ও পরিচালিত হয়েছে। শহরের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন, সচেতন নাগরিক, পৌরসভা ও প্রশাসনের উদ্যেগে ঢাকার আঙ্গিকে লাগানো হয়েছে ডাস্টবিন। ডাস্টবিন লাগানো কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চাঁদপুরের সম্মানিত মেয়র জনাব নাছির উদ্দিন আহম্মদ।
ডাস্টবিনগুলো লাগানো হলেও নাগরিকদের এর ব্যবহারে উদাসিনতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার পাশাপাশি এই ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ডাস্টবিনের আশে-পাশের সীমানা জুড়ে। এই বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাগরিকরা তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালনে ব্যার্থ হচ্ছে। ডাস্টবিন সাঁটানো থাকলেও অবহেলা কিংবা কর্তব্যবোধ না জন্মানোয় ময়লা আশে-পাশে ফেলে চলে যাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আমরা যারা নাগরিক তারাই সচেতন না। নইলে এত সুব্যবস্থা এমনকি ডাস্টবিন থাকার পরও বর্জ্য কেনো মাটিতে ফেলবে? তিনি বলেন, ময়লা-আবর্জনা পঁচে দূর্গন্ধ ছড়ায় আশে-পাশে। এ থেকে মুক্তির জন্য আমাদের অবশ্যই নিজেদের নৈতিকতাবোধকে জাগ্রত করতে হবে।
ছবির চিত্রগুলো, মাতৃপীঠ স্কুল সংলগ্ন ছায়াবানী টু চিত্রলেখা মোড়ের কয়েকটি ডাস্টবিনের। এছাড়া শহরের অন্যান্য ডাস্টবিনের চিত্রও এমনই।
এছাড়া শহরের আলামিন স্কুল এন্ড কলেজ ছাত্রী শাখা স্কুলের পাশের স্থায়ী ডাস্টবিনটির চিত্রও ভয়াল। আশেপাশে দুর্গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে আসছে। রোগ জীবানুসহ বায়ু হচ্ছে দূষিত! পরিস্কার-পরিছন্নতা ইমানের অঙ্গ। তাই পরিস্কার-পরিছন্ন থাকা সকলেরই কর্তব্য। বিশ্বে অপরিস্কার শহরের তালিকায় প্রথম ১০টি শহরের মাঝে আমাদের ঢাকার নামটিও রয়েছে। তাছাড়া দূষণের শহরের তালিকায় ভারতের দিল্লীর নামটিও শুনতে পাই আমরা। কিন্তু আবার পরিস্কার শহরের তালিকায় অষ্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন কানাডার টরেন্টো এবং সিঙ্গাপুর শহরের পরিস্কার-পরিছন্ন শহরের কথা শুনলে অনুপ্রাণিত হই।
এখন মূল কথা হলো শহর অপরিস্কার কোন ভিনগ্রহের মানুষ এসে করে যায় না। আপনার শহর, আপনিই অপরিস্কার করেন। একটু নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলেই শহর পরিস্কার রাখা সম্ভব। আর পৌরসভার মেয়র সমীপেষুর ও উচিত পৌরসভার কর্মীরা যথাসময়ে শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার রাখে কি না তা সজাগ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণে করা। প্রয়োজনে ডাস্টবিনগুলোর পাশে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করে কারা পরিছন্ন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় তা সনাক্ত করে আইনের প্রয়োগ করা উচিত।
কয়েকবার জরিমানা করলেই ক্রমান্বয়ে ঠিক হয়ে আসবে সবকিছু।