দূষণ আর দখলে ফরিদগঞ্জে প্রবাহিত ডাকাতিয়া

রিফাত কান্তি সেন
Published : 12 July 2017, 07:53 PM
Updated : 12 July 2017, 07:53 PM


দূষণ আর দখলের নদী হিসেবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে এক সময়কার তীব্র খরস্রোতা নদী ডাকাতিয়া। একসময় যে ছিলো খরস্রোতা আজ তা শুধুই স্মৃতির পাতা। এক সময় যে নদীটি ছিলো সম্ভাবনার দ্বার আজ তা শুধুই আবর্জনা আর ময়লা ফেলার স্থান। ছবিটি কেরোয়া ব্রিজ সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীর দৃশ্য। ফরিদগঞ্জ বাজারের বসত বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের  যত ময়লা আবর্জনা আছে সবই যেনো এই অভাগা নদীটির বুকে ঠাঁই করে নিচ্ছে।

ডাকাতিয়া নদীটি বেশ ক'বছর ধরেই অবহেলিত আর নির্যাতিত। অনেকটা জোর করে নদীর সৌন্দর্য বিলিনে উঠে পড়ে লেগেছেন নদী খেকোরা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন এলাকার তরুণ সমাজও। তাদের মধ্যে একজন তুসার সাহা (সোহাগ) জানান, নদীটি কয়েক বছর ধরেই এমন বিচ্ছিন্ন। ময়লা আবর্জনা ফেলার ফলে নদী তার নাব্যতা হারাচ্ছে। এতে করে প্রকৃতি ভয়াল রূপ ধারণ করছে অন্যদিকে পানি দূষিতের ফলে জলজ প্রাণি, মাছের বংশবিস্তার ব্যহত হচ্ছে।

ডাকাতিয়া মেঘনার একটি উপনদী।ডাকাতিয়া চাঁদপুর, লক্ষীপুর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ডাকাতিয়ার উৎপত্তিস্থল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। পরে তা কুমিল্লা জেলার বাগসারা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

ডাকাতিয়ার নাম করণে রয়েছে বিভেদ।কেউ কেউ মনে করেন এক সময় ডাকাতিয়া ভয়ঙ্কর খরস্রোতা নদী ছিলো। মেঘনার উপনদী হওয়ায়, মেঘনার মতই প্রবল ঢেউ ছিলো ডাকাতিয়াতে। ডাকাতিয়ার করাল গ্রাসে সর্বস্ব হারিয়েছিলো অনেকেই। এমন কি প্রাণও হারিয়েছিলেন অনেকে।


আর সে জন্যই নদীটিকে ডাকাতিয়া হিসেবে ডাকা হয়। তবে আবার অনেকে মনে করেন, এক সময় এ নদীটি ধরে ডাকাতরা চলাচল করতো। ডাকাতি হতো বড় ধরনের। আর সেজন্যই হয়তো নদীটির নাম রাখা হয়েছে ডাকাতিয়া। ডাকাতিয়া নদী ধরে বরিশাল, ভোলা, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ ভিবিন্ন জায়গায় মালামাল সরবরাহ করা হতো।

ব্যবসায়ের প্রাণ কেন্দ্র যেন ছিলো ডাকাতিয়া।আজ তা কেবলই স্মৃতি।যদিও চাঁদপুর তৃ নদীর মোহনা ঘেষে ডাকাতিয়া ছুটে চলেছে তীব্র স্রোত নিয়ে। তবু তা শুধু যেন ঐ চাঁদপুর সদরের মাঝে সীমাবদ্ধ। ডাকাতিয়ার যে শাখা নদীগুলো রয়েছে তাদের অবস্থা নাযেহাল! বিশেষ করে ফরিদগঞ্জের ডাকাতিয়াটির অবস্থা খুবই খারাপ। এক সময় মাছে অভয়ারণ্য নদীটিতে মাছ যেন এখন আর দেখাই মেলে না। কচুরিপানা পরিপূর্ণ নদীটি যেন ময়লা পানির  একটি স্তুপে পরিনত হচ্ছে।

https://youtu.be/7-4s_DtfmtI

পরিবেশ নিয়ে কাজ করা গ্রিন বাংলা নিউজের সম্পাদক  আশিক খাঁন বলেছেন,'বিষয়টি খুবই দুঃখজনক! এভাবে একটি নদীকে ধ্বংস করার কোন অধিকার কারো নেই। আমরা ডাকাতিয়াকে নিয়ে কাজ করেছি।