পুলিশ যেখানে জনগণের সেবক

রিফাত কান্তি সেন
Published : 5 April 2018, 08:39 PM
Updated : 5 April 2018, 08:39 PM


পুলিশ নামটি শুনলে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য পোষণ করেন।গুটিকয়েক অসাধু পুলিশ সদস্যের কারণে পুলিশ বিভাগে দূর্নামও ঘটে মাঝে মাঝে। পুলিশের খারাপ খবরগুলোই চোখে পড়ে আমাদের। কিন্তু সে পুলিশ যখন ভাল কাজ করে বেড়ায় সে খবর ক'জন রাখে? তেমনই পুলিশের একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা রাজীব দাশ।


পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশকে অনেকেই জনগণের সেবক হিসেবেই মানেন। আর পুলিশ জনগণের সেবায় নিয়োজিত বলেই সমাজে বড় ধরনের কোনো অপরাধ ঘটাতে অপরাধী হাজার বার চিন্তা করে। রাজীব দাশ পুলিশের একজন চৌকস কর্মকর্তা। নিজের জীবন বাজি রেখে অপরাধীদের মোকাবেলা করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

১৯৮৯ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। প্রতিনিয়ত মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা এ পুলিশ কর্মকর্তা সন্ত্রসীদের গুলিও খেয়েছেন। রাজীব দাশ আই জিপি ব্যাজ প্রাপ্ত এবং প্রশাসনের এ ক্যাটাগরির কর্মকর্তা। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির এক সভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্ম নেয়া বালকই আজ জনগণের সেবক। সততা, নিষ্ঠা আর কর্মস্পৃহা দিয়ে প্রতিনিয়তই এগিয়ে চলছেন এ কর্মকর্তা। প্রান্তিক মানুষের প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেছেন প্রশাসনে নিযুক্ত এ কর্মকর্তা। রাজীব দাশকে ভালবাসেন না এমন লোকও খুঁজে পাওয়া দুস্কর।

মহেশখালী, সিএমপি, ডিএমপিতে কাজ করে বর্তমানে তিনি ফরিদগঞ্জে ওসি তদন্ত হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। মননশীল চিন্তা আর ভাল মানসিকতার দরুন তিনি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছেন। ভাল কাজ আর সাহসিকতার কারণে ২০০৮ সালে তিনি আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে সম্মান পান।

বর্তমানে তিনি নারী, শিশু নির্যাতন, মাদক, বাল্যবিবাহ, জঙ্গী এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সদা তৎপর থেকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম এর খুবই আস্তাভাজন একজন পুলিশ কর্মকর্তা রাজীব দাশ।

বর্তমানে একটি চাঞ্চল্যকর নারী হত্যাকাণ্ড তদন্ত করছেন পুলিশের এ চৌকস কর্মকর্তা। পুলিশের এ মেধাবী কর্মকর্তা বলেন, "প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে পুলিশিং সেবা দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমরা বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে আমরা পুলিশিং সেবায় নিজেদের বিলিয়ে দেবো "

"পুলিশ জনগণের বন্ধু, জনগণের টাকায় আমাদের বেতন হয়। তাই জনগণের সমস্যা, সুখ-দুঃখে আমাদের পাশে থাকা একান্ত বাঞ্ছনীয়।"

৯৯৯ সেবার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এ পর্যন্ত আমাদের কাছে ৩৫টি অভিযোগ এসেছে। প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বের সাথে নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। মাদক, শিশু, নারী নির্যাতনের মত স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে দেখি। এছাড়া ফরিদগঞ্জে আসার পর মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপে ৩০ বছর পূর্বের জায়গাজমি সংক্রান্ত একটি মামলায় বাদী ও আসামিকে মিলিয়ে দেই।"


"এছাড়া ৪৭ এ দেশ ভাগের পর লাউতলী গ্রামে, বাউল বাড়ির হিন্দু-মুসলিম নিয়ে যে বিভেদ ছিল সেটিরও সমাধান করে শান্তি বজায় রাখতে চেষ্টা করেছি।"

পুলিশের কাছে এসে কাউকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে এমন কোন রেকর্ড এখন ফরিদগঞ্জ থানায় নেই। অবশ্য এজন্য তিনি তাঁর সহকর্মী এবং উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ করেন। বিশেষ করে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার এর প্রতি কৃতজ্ঞতা বেশি পোষণ করেন কারণ তাঁর উপর আস্থা আছে বলেই ফরিদগঞ্জ থানায় ওসি তদন্ত হিসেবে তাকে পাঠিয়েছেন।

পুলিশের এমন সৎ মেধাবী কর্মকর্তার জন্য রইলো শুভ কামনা। সাহসী এ কর্মকর্তা চট্টগ্রামের নজুমিয়া লেনের আলোচিত জোড়া খুন মামলায় ও সফল তদন্ত শেষ করেন। ২০০৭ সালে ডাকাতদের গুলিতে আহত হন।

ভবিষ্যতে দেশকে ভাল কিছু উপহার দিতে চাওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তা সংস্কৃতিতেও আগ্রহ রাখেন। মাঝে মাঝে গানও করেন।  নারী ও শিশু নির্যাতন নামক একটি ডেক্সও তিনি পরিচালনা করেন, যেখানে ভূক্তভোগী নারী ও শিশুদের পুলিশি সহায়তা খুব দ্রুত দেয়া হয়।