অবৈধ ও চুরির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলেই বৈধ গ্রাহকদের বন্টন, লোডশেডিং ও উৎপাদন খরচ কমবে

সৈয়দ রায়হান আলী
Published : 25 Nov 2011, 06:00 AM
Updated : 25 Nov 2011, 06:00 AM

বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার আসলে কি প্রমান করতে চাচ্ছে তা আমরা সাধারন মানুষ জানি না। আসলে আমরা সাধারন মানুষ কোন কিছুই জানতে পারি না। ঢাকা শহর দেশের একটি রাজধানি, তবে কেন ঢাকা শহরে এরকম বিশৃঙ্খলা থাকবে। জ্বালানী কতৃপক্ষ বলছে দেশ পরিচালনার জন্য যে ভর্তুকী দেয়া হচ্ছে তা মেটানোর জন্য জ্বালানীর দর বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ বলছে জ্বালানীর দর বৃদ্ধির কারনেই বিদ্যুতের দর করা হচ্ছে। তবে কি আমরা আমের বড়া ছাড়া আর কিছুই না। সরকার ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হলে তার মাশুল আমরা সাধারন জনগন কেই দিতে হবে। এটা কথনই গনতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। দেশে অর্ধেক এর কিছু কম হবে যাদের অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ রয়েছে। আমার বিশ্লেষন মতে ঢাকার ফুটপাত, গলিকাচা, বসতি-বাড়ি, টং দোকান দেখলেই প্রমান পাওয়া যাবে। তবে কেন ওদের জন্য আমরা বৈধ সংযোগ গ্রাহকরা বাড়তি বিলের ভুক্তভোগী হব ? ঐ সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেই দেশের বিদ্যুত ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে ও বাড়তি উৎপাদন খরচও লাগবে না। ভর্তুকিও দিতে হবে না। ঐসকল অবৈধ গ্রাহকদের বিদ্যুতের মুল্য সরকার বা কর্তৃপক্ষ পায় না। তা চলে যায় এক শ্রেণীর লোকের কাছে। যদি তারা বৈধ গ্রাহক হতে চায় তাহলে তাদের টাকাও সরকার এর ভান্ডারে চলে আসবে। সরকার ঐসকল অবৈধ গ্রাহকদের কেন ভর্তুকি দিবে? আমরা বৈধ গ্রাহকরা বাড়তি দর দেই আর অবৈধ গ্রাহকরা মুচলেকা দিয়েই সকল ভোগ বিলাস ও ব্যবসা-বানিজ্য করবে এটা কি করে সম্ভব। অন্তত: আমি এটা মানতে নারাজ। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কিভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায় তাতে যদি নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাপক না জানেন তবে আমার কাছে আসুন পরামর্শ নিয়ে প্রয়োগ করেই দেখুন। দেশের মানুষ উপকৃত অবশ্যই হবে। আমার হাতে যদি কিছু ক্ষমতা থাকতো তাহলে দেখিয়ে দিতাম কিভাবে দেশ পরিচালনা করতে হয়। কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় দিনে দুপুরে এসব অবৈধ কার্যকলাপ চলছে। আর একটি কথা সরকারকে এখনই রেন্টাল বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হবে। সরকারের উচিত হবে অনেক কালক্ষেপন করেছে আর নয় এবার নিজেরাই বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা।