আগামী ২১শে ডিসেম্বার, শুক্রবার, যে কোন মুহূর্তে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে! অবিশ্বাস্য মনে হলেও, মায়ান ক্যালেন্ডারে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা দিন, তারিখসহ উল্লেখ করা আছে। এবং পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মায়ান ভবিষ্যতবাণীকে বিজ্ঞানী, পরিবেশবিদরাও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেনা। কারণ বলা হয়ে থাকে, মায়ান ক্যালেন্ডারে উল্লেখিত ভবিষ্যত বাণীর সত্যতার প্রমান এর আগেও পাওয়া গেছে! যেমন, অনেকেই বিশ্বাস করে, মায়ান ক্যালেন্ডারে ‘সুনামী’র কথা উল্লেখিত ছিল, আরও স্পষ্টভাবে উল্লেখিত ছিল ৯/১১ এ টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কথা। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কথা যেভাবে উল্লেখ করা আছে, তার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “ ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বার আকাশ হতে বিশাল বড় দুই পাখী এসে আমেরিকার উত্তর অংশের একটি শহরের উপর আছড়ে পড়বে, প্রচুর হতাহতের ঘটনা ঘটবে”। প্রাচীন মায়া সভ্যতার নিদর্শন,
‘মায়ান ক্যালেন্ডারে’র হিসেব শেষ হয়ে যাচ্ছে ২১শে ডিসেম্বার, ২০১২। ক্যালেন্ডারে ২১শে ডিসেম্বারের পরে আর কিছু নেই। ক্যালেন্ডার ওখানেই সমাপ্ত। মায়া সভ্যতায় বিশ্বাসীদের ধারণা, মায়ান ক্যালেন্ডার যেখানে শেষ হয়েছে, পৃথিবীও ওখানেই শেষ হয়ে যাবে।
মায়ান ক্যালেন্ডার কিঃ
মায়ান ক্যালেন্ডার শব্দটি এসেছে মায়া সভ্যতা থেকে। বর্তমান মেক্সিকো, বেলিজ থেকে‘মায়া’ সভ্যতার উৎপত্তি, প্রাচীন মেসোআমেরিকান মায়া সভ্যতার কথা কম বেশী সকলেই জানে।, যার শুরু খৃষ্টপূর্ব ২০০০ সালেরও অনেক আগে থেকে। মায়ান যুগের মানুষ গণিতশাস্ত্র, স্থাপত্যকলা, চিত্রকলা, জ্যোতির্বিদ্যায় ছিল মহা পারদর্শী। গণিতে ‘জিরো’র হিসেব মায়ান সভ্যতা থেকেই এসেছে। মায়ান গণিতবিদ এবং জ্যোতির্বিদগন ভবিষ্যতে পৃথিবীতে কী কী ঘটবে, সেই সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে তৈরী করেছিলেন ক্যালেন্ডার, যা মায়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, মায়ান ক্যালেন্ডার তৈরী হয়েছিল নির্ভুল গননা অনুসারে, ক্যালেন্ডারে বর্ণিত ভবিষ্যতবাণী বিশ্বাস করে, পৃথিবীতে এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। অনেকের মতে, এই ক্যালেন্ডারে কয়েক বছর আগে ঘটে যাওয়া সুনামি’র উল্লেখ আছে, ৯/১১ এর টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কথাও আছে। কাজেই অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে ক্যালেন্ডারে উল্লেখিত ভবিষ্যত বাণী অনুযায়ী, ২১শে ডিসেম্বার ভয়ানক কিছু ঘটতে যাচ্ছে।
কী ঘটতে পারে ২১শে ডিসেম্বারঃ
চারদিকে গুঞ্জণ শোনা যাচ্ছে, ২১ তারিখে ভয়ানক কিছু ঘটতে যাচ্ছে। কী ঘটতে যাচ্ছে, অথবা আদৌ কিছু ঘটতে যাচ্ছে কিনা, সেই সম্পর্কে কেউ কিছু জানেনা। কেউ কেউ ভাবছে, সেদিন ভুমিকম্প হবে, অথবা গ্যালাক্সীতে এমন কিছু উলট-পালট হবে যে পৃথিবীর প্রাণীকূলের মাথা খারাপ হয়ে যাবে, একজন আরেকজনের প্রতি মারমুখী হয়ে উঠতে পারে, পারস্পরিক হানাহানি হতে পারে। এলিয়েন আসতে পারে, এলিয়েনের ভয়ানক থাবার আঘাতে অনেকের মৃত্যু ঘটতে পারে। এমনও হতে পারে, জুম্বি ( জীবন্ত মৃত মানুষ) এসে আক্রমন করতে পারে। যৌক্তিক গল্পের পাশাপাশি অতিরঞ্জিত গল্প তৈরীতে সাধারণ আমেরিকানদের জুড়ি নেই। নানা ধরণের আজগুবি গল্পের কারণেই সকলের মধ্যে একই সাথে আশংকা ও কৌতুহল কাজ করছে। ভয়ংকর কিছু যদি ঘটে, তা ঠিক কোন মুহূর্তে ঘটবে, সে সম্পর্কে কারোর মনেই কোন স্পষ্ট ধারণা নেই। অনেকের মতে, ভয়াবহ সুনামি হতে পারে, ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় বা টর্নেডো, ভুমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতও হতে পারে। কেউ কেউ মনে করে, ভিন গ্রহ থেকে এলিয়েন আসবে, ধ্বংসলীলা চালাবে পৃথিবীব্যাপী। এমনও হতে পারে, পৃথিবী, বিভিন্ন গ্রহ এবং সূর্য, একই লাইনে চলে আসবে, শুরু হবে ভয়ংকর প্রাকৃতিক তান্ডবলীলা, অথবা সূর্য চলে যাবে ব্ল্যাক হোলের আড়ালে, পৃথিবী ঢেকে যাবে ঘন আঁধারে! এই ধরণের নানা রকম কাল্পনিক আশংকা নিয়ে সকলে অপেক্ষা করছে আসন্ন ‘পৃথিবী শেষ’ মুহূর্তটির জন্য। তবে শুকনো মুখে সর্বনাশের অপেক্ষায় থাকার মত মানসিকতা আমেরিকানদের মধ্যে নেই। শেষ মুহূর্তটিও উপভোগ করার নীতিতে বিশ্বাসী সাধারণ আমেরিকানরা সাত দিন আগে থেকেই মজুত করতে শুরু করবে খাবার দাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস, শুকনো খাবার, পানি, হার্ড ড্রিঙ্ক, মোমবাতি, টর্চসহ আরও আবশ্যকীয়, অনাবশ্যকীয় জিনিসপত্র।
যারা অনেক বেশী যুক্তিবাদী, হুজুগে মেতে উঠেনা, তাদের মধ্যেও অনেকের ধারণা, পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মত ভয়ানক কিছু না ঘটলেও, নানা কারণেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতেই পারে। তাই যে কোন ধরণের খারাপ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আগাম প্রস্তুতি থাকা ভাল। তাদের মতে, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে হিসেব অনুযায়ী জরুরী ভিত্তিতে পাণীয়, শুকনো খাবার, ফার্স্ট এইড, ইমার্জেন্সী লাইটের ব্যবস্থা রাখা উচিত।
তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আসন্ন ২১শে ডিসেম্বার নিয়ে দূর্ভাবনা নেই, বরং তারা ‘বিদায় পৃথিবী’ উৎসব আয়োজনের চিন্তা করছে। আমেরিকার জনগন হুজুগপ্রিয়। যেহেতু ২১শে ডিসেম্বার পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়া নিয়ে হাস্যকর অথবা অস্বস্তিকর রব উঠেছে, তাই পার্টি পাগল আমেরিকানদের মাথায় ‘ বিদায় পৃথিবী’ পার্টি আমেজ চলে এসেছে। তরুণ-তরুণীরা এখন থেকেই নানা ছুতোয় পার্টি করে চলেছে, এবার ক্রীসমাস পার্টি হবে কি না, তা বুঝা যাবে ২১ তারিখের পরে। কাজেই ২১ তারিখে যদি পৃথিবী ধ্বংসই হয়ে যায়, ২০ তারিখে ‘বিদায় পৃথিবী’ বা ‘শেষ পৃথিবী’ নাম দিয়ে ইচ্ছেমত আনন্দ ফূর্তি করতে বাধা কোথায়। বিভিন্ন স্টোরগুলোতে ২১শে ডিসেম্বার সামনে রেখে নানা রকম বিনোদন উপকরণের সামগ্রী বিক্রী শুরু হয়েছে।
একটা বিষয় পরিষ্কার হচ্ছেনা, মায়ান ক্যালেন্ডারে কি শুধুই আমেরিকার ভুত-ভবিষ্যতের কথা লেখা আছে, নাকি বাংলাদেশের কথাও লেখা আছে? মায়ান ক্যালেন্ডারে যদি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কথা লেখা না হয়ে থাকে, তাহলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সাথে নিশ্চয়ই বাংলাদেশের কোন যোগসূত্র নেই, বাংলাদেশ অবশ্যই ধ্বংসযজ্ঞের আওতামুক্ত থাকবে। ডিসেম্বার মাস বাংলাদেশের বহু আদরের-বহু আকাংক্ষার ‘বিজয়ের মাস’। আমেরিকাবাসীআমেরিকাবাসী যখন আসন্বলাদেশের জনগনের তত আমেরিকাবাসী যখন আসন্ন ‘শেষ পৃথিবী’ পার্টি করবে, বাংলাদেশের জনগনের ততদিনে ‘বিজয় দিবসের’ পার্টি বা আনন্দানুষ্ঠান উদযাপন করা হয়ে গেছে!
দেলোয়ার হোসেন বলেছেনঃ
হায়! পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে?তাহলে দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত হাজার হাজার কোটি টাকার কি হবে? ভোগ কি করা হবে না ?যারা বিশ্বাস করছেন ঠিকই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে !
তাদের বিশেষ করে আমেরিকান ”বিলিয়ানপতি”দের কাছে আবেদন’, কি লাভ কোটি কোটি ডলার ব্যাঙ্কে
জমা রাখা!কেউ কি আছেন , কয়েক মিলিয়ন ডলার আমার একাউন্টে ট্রান্সফার করার !!!।লেখককে
ধন্যবাদ সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দেয়া একটা বিষয়কে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ।
রীতা রায় মিঠু বলেছেনঃ
দেলোয়ার, ভাই থাক, পরের টাকা নিয়ে মনে অশান্তি বাড়িয়ে লাভ কী! দেশে যারা অলরেডী জনগনের টাকা আত্মসাৎ করেছে, তারা কোনভাবেই তোমার আমার চেয়ে সুখে নেই। হা হা হা ! তার চেয়ে এই ভাল, পৃথিবী ধ্বংসের সাথে সাথে লুটপাটের টাকাও ধ্বংস হয়ে যাবে 😆 😆 🙄
সজল যাযাবর বলেছেনঃ
পৃথিবীর প্রাণীকূলের মাথা খারাপ হয়ে যাবে, একজন আরেকজনের প্রতি মারমুখী হয়ে উঠতে পারে, পারস্পরিক হানাহানি হতে পারে
আমাদের মাথা তো খারাপ হয়েই আছে……হানাহানি চলছে….তাহলে মনে হয় কাল আমরা নিরাপদ !
রীতা রায় মিঠু বলেছেনঃ
সজল যাযাবর, তোমরা অবশ্যই নিরাপদেই থাকবে, যা কিছু ঝড়-ঝাপ্টা যাবে আমেরিকাবাসীর উপর 😛 😛 😛
আসাদুজজেমান বলেছেনঃ
ধন্যবাদ@রীতা রায় মিঠু,
২১শে ডিসেম্বর কিছুই হবে না! শুধু মায়ান ক্যালেন্ডার শেষ হয়ে যাবে! যতদিন যুদ্ধাপরাধীর বিচার না হবে, ততদিন পৃথিবী ধ্বংস হবেনা!!! চিন্তার কিছু নেই।।
কেন জানি মায়ান ক্যালেন্ডারে আস্থা রাখতে ইচ্ছে করছে খুব, হোক না…পৃথিবীর বিভৎস রুপ দেখার চেয়ে, তিলে তিলে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে, আরো পাপ নিজেকে বিদ্ধ করার পূর্বেই, এগিয়ে যাই পবিত্র মৃত্যুর দিকে, সবাই একসাথে…..। বিদায় পৃথিবী
আবার মনে হচ্ছে, নাহ এখনো অনেক সৌন্দর্য্য দেখা বাকি, এখনো অনেক কাজ বাকি, এত সুন্দর পৃথিবীর বিভৎস ধ্বংসলীলার অংশ আমি হতে চাই না…..তাই বিদায় জানিয়ে দিলাম-“মায়ান ক্যালেন্ডার”। বিদায় “পুরান পৃথিবী”। ২২ ডিসেম্বরে আমি দেখবো আমার নতুন এক পৃথিবী।
অবশ্য নতুন পৃথিবীর নতুন ক্যালেন্ডারে পদ্মা সেতু কবে হবে সে ভবিষ্যতবাণী থাকবে না বলেই আশা করছি, তবে পৃথিবী ধ্বংসের আগেই যে সেটা হবে এ কথা বলাই বাহুল্য………. 😀 😀
রীতা রায় মিঠু বলেছেনঃ
আসাদুজজেমান,
“একটা বিষয় পরিষ্কার হচ্ছেনা, মায়ান ক্যালেন্ডারে কি শুধুই আমেরিকার ভুত-ভবিষ্যতের কথা লেখা আছে, নাকি বাংলাদেশের কথাও লেখা আছে? মায়ান ক্যালেন্ডারে যদি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কথা লেখা না হয়ে থাকে, তাহলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সাথে নিশ্চয়ই বাংলাদেশের কোন যোগসূত্র নেই, বাংলাদেশ অবশ্যই ধ্বংসযজ্ঞের আওতামুক্ত থাকবে।”
😀 😀 😆 😆
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
ধন্যবাদ মিঠু। চমৎকার পোস্ট। তবে “শুন্য” আবিষ্কারের কৃতিত্ব সম্ভবতঃ মায়াদের নয়, অন্ততঃ অঙ্কশাস্ত্রের ইতিহাসে তা পাইনা। একই সাথে মায়া সভ্যতায় অঙ্কশাস্ত্রের অবদানেও শুন্যের ব্যবহার ব্যাবিলনীয়দের ও ভারতীয়দের পরে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
একটি চমৎকার মগজ ঝড়ের বিষয় পাওয়া গেলো।
রীতা রায় মিঠু বলেছেনঃ
হৃদয়ে বাংলাদেশ, অনেক ধন্যবাদ, লেখাটির উপর আপনার সুন্দর মন্তব্য পাওয়ায়! আমিও জানতাম, শূণ্য আবিষ্কৃত হয়েছে ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে, কিন্তু লেখাটি লিখতে গিয়ে একটু তথ্য ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়েই শূণ্য আবিষ্কারে অতিরিক্ত তথ্যটি পেলাম, শূণ্যের অস্তিত্ব মায়ানরা বের করেছে। তবে এখানে একটা ছোট কথা আছে, মায়ানরা শূণ্যকে গণিতশাস্ত্রে ব্যবহার করে নি, শুধুই হিসেবে রেখেছে, শূণ্যকে গণিতশাস্ত্রে প্রথম ব্যবহার করেছে ভারতীয় গণিতবিশারদগণ!
তারপরেও যদি তথ্যে ভুল থাকে, এটা আমার দোষ নয়, উইকিপিডিয়ার দোষ 🙁 😛
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
@জেমান, শরীরের হাল হকিকত নিশ্চয়ই ভালো। আমরাও তা চাই। হকিকত ভালো হওয়ার একটি লক্ষন দেখলাম এই খোঁচাটিতে, “অবশ্য নতুন পৃথিবীর নতুন ক্যালেন্ডারে পদ্মা সেতু কবে হবে সে ভবিষ্যতবাণী থাকবে না বলেই আশা করছি, তবে পৃথিবী ধ্বংসের আগেই যে সেটা হবে এ কথা বলাই বাহুল্য………. 😀 :D” ক্যান খোঁচা মারেন ভাই। এমনিতেই টরেন্টো কোর্টের মামলা নিয়ে ঘুমটুম একটু কম হচ্ছে, এরমধ্যে মিঠু দুঃসংবাদ নিয়ে এলো, দুনিয়া খতম। তার উপর খোঁচা? হায় নিঠুর পৃথিবী।
জুলফিকার জুবায়ের বলেছেনঃ
আধুনিক সভ্যতা বলে সৃষ্টিজগৎ একদিন শেষ হয়ে যাবে কিন্তু শেষের পর আবারও শুরু হবে নতুন করে। ‘সৃষ্টি-ধ্বংস-সৃষ্টি-ধ্বংস-সৃষ্টি’ এভাবেই চলবে মহাজগৎ এবং তার পৃথিবী।
এ দফা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবার আগে আমার শেষ ইচ্ছা ছিল আরবের শেখ হব। কিন্তু সে ইচ্ছা পূরণের কোন আলামত এখনও পর্যন্ত দেখতে পেলাম না।
ব্যারেল ব্যারেল তেল তুলব আর বিক্রি করব। উপার্জনের তাড়না থাকবে না, ফলে ফূর্তি করে সুখী হব। দূর্বিসন্ধিটা এ রকমই ছিল।
প্রিয় মিঠু আপু,
পৃথিবী ধ্বংসের এই শেষ বেলাতে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার আগে আপনার শেষ ইচ্ছাটা কি পূরণ হয়েছে?
রীতা রায় মিঠু বলেছেনঃ
প্রিয় জুবায়ের, আমার তো ইচ্ছের শেষ নেই, তাই ইচ্ছেপূরণের সম্ভাবনাও নেই 😆 😆 😆 দ্বিতীয় পর্বে লিখেছি, পৃথিবী আপাততঃ ধ্বংস হচ্ছেনা, কাজেই ব্যারেল ব্যারেল তেল উঠানোর ভাগ্য এলে আসতেও পারে তোমার জীবনে 😛 😛 😛