এবার ও অনুমতি নিয়ে ভেতরটা ঘুরে দেখলাম।
দুটোতেই অত সবুজ নেই। শুধু মনে পড়ল আমার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। কোনটা র্যাংকিং এ কত সেটা আমার কাছে অত দামী কিছু না। বিশ্ববিদ্যালয় তাও আবার প্রকৃতির বাইরে এটা আমার কাছে খাপছাড়া লাগে।
চবির প্রবেশদ্বারের সৌন্দর্যের কাছেই বাকী সব বিশ্ববিদ্যালয় রঙ হারাবে। এরকম পথ আছে কি আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে?
আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই রাস্তার দুই পাশে পাহাড়। যেন সবুজের পৃথিবী আমাদের ডাকছে। আমাদের কলা অনুষদের পাশে ও বিশাল পাহাড়। অধিংকাংশ ক্লাসে বৃষ্টির সময় আমি জানালা দিয়ে পাহাড় দেখি।ইট, পাথরের দালানে অত উচ্চমার্গীয় লেকচারে সবার মনোযোগ না ও থাকতে পারে। আমরা পাহাড় দেখি। Obelar তোমরা ফইন্যিরা কি দেখতে?
চবির কয়েকটি হল পাহাড়ের মধ্যেই। পাহাড়ে থেকে সূর্য উঠা আর সূর্য ডুবতে দেখার কতখানি আনন্দ সেটা সবাই জানে না।হল লাইফে সবাই তো পড়ালেখা না ও করতে পারে। কেউ কেউ উচুঁ জারুল গাছের নীচে মন খারাপ করে একটা কবিতা ও লিখতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কত জাতের পাখি আছে।কোন এক ক্লাস ফাকিঁর বিকেলে প্রেমিক যদি প্রশংসা করতে ভুলে যায় সে পাখি দেখে প্রেমিকাকে পাখির মত সুন্দর বলার জন্যে হলেও তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখি থাকা চাই।
কোন দিন পাগলামো মাথায় চাপলে বৃষ্টিতে ভেজার জন্যে বিশাল একটা ক্যাম্পাস চাই। পথ শেষ কি শেষ হয় না দেখার জন্যে বিশাল রাস্তা চাই। সব আমার চবিতে আছে।
দুজন মিলে ঝর্ণার শব্দ উপভোগ করার জন্যে হলেও তো পানির ধার থাকা চাই।
না! এসবের কিছুই নেই পেসিডেন্সি আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা আছে সব আমার চবিতে।
তবে জানি চাইলেই সব বিশ্ববিদ্যালয় পাহাড়ে করা পসিবল না। আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী এরকম ব্যাপার শুধু কল্পনাতেই ঘটে। এত কিছু থাকার পরও আমার চবিতে লাশ পড়ে। যা আছে পুরোটাই মাটি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওসব না থাকলেও পড়ালেখাটা দারুণ ভাবেই আছে।
ফেরার আগে আবার শিয়ালদহ স্টেশনে। সুব্রত দাদা আর মঞ্জিল দাদা দুজনে একি সময়ে দেখা করতে হাজির।