ও আমার প্রাণের মেলা বই মেলারে

রোদেলা নীলারোদেলা নীলা
Published : 3 March 2016, 06:57 PM
Updated : 3 March 2016, 06:57 PM

সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে যতো দূর চোখ যায় কেবল নিরাপত্তা ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ে না। বাথরুমের নাক বরাবর অবশ্য একটা মোড়ক উন্মোচন মঞ্চ করা হয়েছে, কিন্তু আসলেও ওখানে গ্রন্থের কোন মোড়ক উন্মোচন হয় কিনা আমার জানা নেই, এই ২৯ দিন আমাকে অন্তত  তা বলেনি। কেবল নজরুল মঞ্চই জানান দিয়ে গেছে তার অস্তিত্বের কথা। সারি সারি লাইন বেঁধে, একে অন্যকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আমরা নিজের বইয়ের মলাট উন্মুক্ত করা নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি।আর বাকী ক'টা দিন হাতে বোতল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, কেউ আবার বোকার মতোন প্রশ্ন করে বইসেন না-বোতল কেন হাতে? দু'টো কারণে হাতে বোতল, তার একটা -তেষ্টা মেটাবার আর একটা প্রাত্যহিক কর্ম সারবার জন্যে। লেখক বলে যে কোন এক ঐশরিক ক্ষমতা বলে আমার বাথরুম চাপবে না সেটা ভাবা সাংঘাতিক ভুল। সকাল বেলা বইমেলায় এসেছি, বের হতে হতে রাত আটটা। কতোবার আর টিএসসি-তে ঢুঁ মারা যায়,পায়েরো তো ক্লান্তি আছে।

বলছিলাম এবারের বই মেলার বর্নাঢ্য আয়োজন নিয়ে। পুরো সোহরাওয়ার্দি জুড়ে কেবল পুলিশ ছাড়া আমার চোখে একটা চা বিক্রেতাও পড়লো না। যেদিকে তাকাই কেবল পুলিশ আর পুলিশ, নিরাপত্তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করলেই যেন আর রক্ষা নেই। অবশ্য মেলার ভেতরে যে সব পুলিশ ভাই বোনদের দেখা যাচ্ছে তাদের আমার খুব একটা মাড়দাঙ্গা টাইপ মনে হয়নি,তাদের অনেকের হাতেই ছিল বই।অনেকে কাত হয়ে পড়ে থাকা ওয়াসার পানির ট্যাঙ্কিতে ওযু সেরেও নিয়েছেন, আবার কেউ কেউ মেয়েদের টয়লেটের গমন পথে হা করে চেয়ে থেকেছেন। চেয়ে থাকার অবশ্য একটি যুক্তিসঙ্গত কারনো আছে, বাথরুম বানানো হয়েছে তিনটি টিনের চালা দিয়ে যা ভেতর থেকে লক করা যায় না এবং যেখানে পানির তিল মাত্র ব্যবস্থা নেই।এই ২০১৬ সালে পাবলিক পানি ছাড়া কিভাবে তার প্রয়োজনীয় কম্মটি করবে তাই জানার আগ্রহ তাদের চোখে মুখে স্পষ্ট খেলছিল।

হঠাৎ আবার, আমার প্রকাশকের চা খাবার খুব স্বাদ হলো, আমিও তো ক্ষন্রে ক্ষনে চা খাই।তো চেষ্টা যখন পেয়েছে, একটু গলা ভিজিয়ে আসি।সেই গলা ভেজাতে গিয়েও আর এক বিপত্তি ।যেতে হবে সোজা ডাচে, তারপর ঘুর্নি পথে পুনরায় চেকইন। অবশ্য এমনতর ছোট একখানা গেইট দিয়া এপেন্টি বাইস্কোপ খেলতে খেলতে আমার অভ্যেস হয়ে গেছে।একদিন সন্ধ্যা ছয়টায় আমার ব্যাংকের বান্ধবি ফোন দিল- কিরে, তোদের বই মেলা কয়টা পর্যন্ত? আমি বললাম-দোস্ত ,রাত আটটা।

সে অতিশয় চিৎকার পেড়ে কইলো-কি কস? আমি ভোল্ট বন্ধ কইরা আস্তে আস্তেতো তোদের বইমেলা বন্ধ হইয়া যাইবো। তাইলে বই কিনুম কখোন?

আমি কেমনে বোঝাই -বইমেলা লেখক বা প্রকাশকের না, ঐটা বাংলা একাডে্মির।তারা যা করবে তাই ফাইনাল।

এবার বইমেলা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত কিছু তথ্য ইটালিক করে শেয়ার করলাম-

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান শান্তিপূর্ণভাবে গ্রন্থমেলা শেষ হওয়ার কথা উল্লেখ করে বাসসকে জানান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় এবার নির্বিঘ্নে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মীয় মৌলবাদীদের হুমকির কথা মাথায় রেখে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। তাই কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬।

তিনি বলেন, ২৯ দিনের মেলায় নতুন বই এসেছে ৩ হাজার ৪৪৪টি। এছাড়া একাডেমির নজরুল মঞ্চ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে মোট ৫৩৫টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্টল মালিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও আজকের সম্ভাব্য বিক্রি যুক্ত করে এবারের গ্রন্থমেলায় মোট বিক্রি ৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ২০১৫ ও ২০১৪ সালের গ্রন্থমেলায় যথাক্রমে মোট বিক্রি হয়েছে ২১ কোটি ৯৫ লাখ ও ১৬ কোটি টাকা। মেলার পরিসর ও প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গতবারের তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ পরিমান বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে বইমেলা আয়োজনে বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেছেন, " বাংলাদেশের এই বইমেলাটি একটি ঐতিহাসিক বইমেলায় পরিণত হয়েছে। অসাধারণ বড় মাপের মেলা। এমন উল্লেখযোগ্য, নান্দনিক মেলা আর হয়নি। এটা তো বাংলা একাডেমিই করেছে। প্রকাশদের কোনো অবদান এখানে নেই। তারা কিছুই করেনি। শুধু সমালোচনা করেছেন। তারা বই বিক্রি করে পয়সা আদায় করতে চান। এটা তো হতে পারে না। এখানে তাদের জাতীয় দায়িত্ব কোথায়"।

তবে প্রকাশক ওসমান গনি মনে করেন, বাংলা একাডেমি ও সরকারের সহায়তায় প্রকাশকরাই একটি সুষ্ঠু মেলা আয়োজন করতে পারে।

তিনি বলেন, "কলকাতা বইমেলা প্রকাশকরাই আয়োজন করে থাকেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রকাশকরাও অংশ নিচ্ছে। দেশের ভেতরেও অনেক মেলা আমরাই আয়োজন করছি। একুশে বইমেলা শুরু করেছিলেন একজন প্রকাশকই"।

প্রকাশকদের সমিতি, এর আগে বিভিন্ন স্টলে পাইরেটেড বই বিক্রি, ভারতীয় লেখকদের বই বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অপ্রকাশক বিভিন্ন এনজিওকে বরাদ্দ দেওয়াসহ বেশকিছু অভিযোগ তুলে ধরে।

তবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, "আমরা আনন্দের সাথে এই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে রাজী আছি। কিন্তু পাইরেটেড বই বিক্রির সাথে প্রকাশকরাই জড়িত। প্রকাশক সমিতি ওই সমস্ত প্রকাশকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ না নিয়ে একাডেমির সমালোচনা করছেন।"

এবারের বইমেলা অন্যান্য বছরের তুলনায় সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেই রাজনৈতিক হাঙ্গামা, সামাজিক কোনো হট্টগোল। ফলে সবারই প্রত্যাশা এবারের মেলা সার্বিকভাবে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। অন্তত আয়োজকদের তরফ থেকে আয়োজনগত কোনো ত্রুটি থাকবে না। কিন্তু বাস্তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকাশকদের প্রত্যাশার উল্টোটাই ঘটেছে। প্রধান যে ত্রুটি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে সেটা হলো_ উৎসুক বই ক্রেতা বা বইপ্রেমীরা লাইন ধরে বাংলা একাডেমিতে ঢুকছেন অথচ মূল বইমেলা সেখানে নয়, সেটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বাংলা একাডেমি চত্বরে যেসব বইয়ের স্টল সেগুলো সরকারি, আধা সরকারি বা এনজিওগুলোর প্রকাশনা সম্পর্কিত। সেখানে আছে গণমাধ্যম স্টল, লিটল ম্যাগাজিন কর্নার, বাংলা একাডেমির নিজের বই বিক্রির স্থায়ী স্থাপনা। এত বড় মেলা, এত লোকসমাগম অথচ গেট একেবারেই সাদামাটা। মলিন। অথচ লাইটিংসহ এটি জাঁকজমকপূর্ণ করা যেত। স্পন্সরদের গাফিলতিতে এটি নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে।

এ ছাড়া কোন স্টল কোথায় তার নির্দেশনাগত কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রবেশপথের বাইরেই একটি তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা উচিত, যেখান থেকে আগ্রহী পাঠক বা ক্রেতারা তাদের পছন্দের স্টলগুলোর অবস্থানগত খোঁজ পেতে পারেন। এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। আরেকটি বড় ত্রুটি এবারের বইমেলায় দেখা গেছে। তা হলো, ছোটদের বই প্রকাশকদের জন্য নির্দিষ্ট তেমন কোনো জায়গা বরাদ্দ করা হয়নি_ যেখানে তাদের ছোটদের বইয়ের স্টলগুলো থাকবে। অথচ সহজেই এ কাজটি করা যেত, যেমনভাবে বাংলা একাডেমির ভেতরে লিটল ম্যাগাজিন কর্নার গড়ে তোলা হয়েছে।

স্টল বরাদ্দ ও স্টলের অবস্থান কোথায় হবে_ এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা সংস্থা, যারা সারা বছর মানসম্পন্ন বই প্রকাশ করে থাকে, তেমন কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থাকে সহজেই প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ করা যেত। তাতে করে মেলার গাম্ভীর্য যেমন বাড়ত, তেমনি সৌন্দর্যেরও বহিঃপ্রকাশ ঘটত। এ ক্ষেত্রে লটারি মারফত প্যাভিলিয়ন বা স্টল বরাদ্দ করার ব্যাপারটি যুক্তিযুক্ত হলেও সার্বিক বিচারে তা ভালো ফল দেবে না। এ বছর অনিয়ম করে লটারি আগে করা হয়েছে। স্টল নম্বর দেওয়া হয়েছে পরে। কিছু প্রকাশকের কারসাজির কারণে এমনটি হয়েছে। অথচ আগের নিয়মটিই ছিল সঠিক। কিছু প্রকাশকের চাতুরীর কারণে ত্রুটিপূর্ণ স্টলবিন্যাসে অনেক ভালো প্রকাশনা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মেলায় প্রতিদিনই বেশিরভাগ প্রকাশনা সংস্থা নতুন নতুন বই প্রকাশ করছে। সেসব বইয়ের ডিজিটাল প্রজেকশন করার একটা বড় সুযোগ ছিল। সেই সঙ্গে বইটির বিষয়বস্তু সংক্ষেপে তুলে ধরা যেত। মেলায় আসা পাঠকদের আগ্রহ এভাবে বাড়িয়ে তুলে প্রচারিত বইয়ের বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি করা যেত।

উপরের মন্তব্যগুলো পড়ার পর স্বভাবতই একটি প্রশ্নই মাথায় আসে-বই মেলার প্রবর্তন আসলে কিভাবে ঘটেছে?

ইতিহাস যা বলে-

১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেন। এই ৩২টি বই ছিলো চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ (পুঁথিঘর বর্তমান মুক্তধারা প্রকাশনী) থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশী শরণার্থী লেখকদের লেখা বই। এই বইগুলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের প্রথম অবদান। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি একাই বইমেলা চালিয়ে যান। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে অন্যান্য প্রকাশকরা অনুপ্রাণীত হোন।

১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে মেলার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত করেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে মেলার সাথে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি; এই সংস্থাটিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৮৩ সালে কাজী মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে বাংলা একাডেমিতে প্রথম 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা'র আয়োজন সম্পন্ন করেন।

এভাবে ধীরে ধীরে প্রকাশকদের অমর একুশে বইমেলা হয়ে যায় বাংলা একাডেমির "গ্রন্থমেলা"।

এ সম্পর্কে বিদ্যাপ্রকাশের কর্ণধার মজিবর রহমান খোকার কাছে জানতে চাইলে তিনি অকপটে বলে যান অনেক না জানা কথা-বইমেলা মূলত প্রকাশকদের হাতেই শুরু, কিন্তু কিছু অসাধু নব্য প্রকাশকরা গুটিকয়েক বই নিয়ে শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে বাংলা একাডেমির কাছ থেকে স্টল বরাদ্দ পেয়ে আসছে। এর সংখ্যা  বর্তমানে ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। শুধুমাত্র পয়সা কামানো যদি আমাদের উদ্দেশ্য হতো তাহলে আমারাতো বিদেশি বই অনায়াসে বিক্রি করতেই পারতাম।কিন্তু আমরা চেয়েছি সবাই মাতৃভাষাকে জানুক, বাংলা ভাষার অগ্রগতির জন্য এই বইমেলা শুরু হয়, বাংলা ভাষার চর্চা দিন দিন বাড়ুক । নতুন লেখকরা উৎসাহিত হোক বাংলা ভাষার প্রতি। কিন্তু এখন সমস্ত দায় পড়ছে প্রকাশকদের উপর। বই মেলা সংক্রান্ত কোন মিটিং -এ আমাদের কখনো ডাকা হয় না।আর বাংলা একাডেমিতে কিছু নীতিমালা দেওয়াই আছে, তারা ইচ্ছে করলেই যে কোন সময় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু তারা তা করেনা, প্রতি বছরই একটা মোটা অংকের বিনিময়ে স্টল বরাদ্দ করা হয় যাকে আমরা লটারি বলি ।বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে যে অনুদান আসে তাতে বাংলা একাডেমি একাই এখন এ মেলা করতে পারে। সুতরাং প্রকাশকদের হম্বিতম্বি শোনার ইচ্ছে বা সময় কোনটাই তাদের নেই। বইমেলা এখন তাদের হাতের মুঠোতে।

পরিশেষে,বাংলাদেশের পাঠক -লেখক -প্রকাশক উন্মুখ হয়ে থাকে এই ফেব্রুয়ারি মাসটির জন্য।এ যেন এক মহা উৎসব।এতো বিপুল পাঠক ক্রেতার সমন্বয় বছরের আর কোন দিন হয় না। তাই,এই প্রানের উৎসব যেন কোন ভাবেই প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক না হয়ে থাকে সেদিকে সবার সমান দৃষ্টিপাত কামনা করছি ।অমর একুশে গ্রন্থমেলা হোক আমাদের সবার প্রাণের মেলা।