
সিলেটের খাদিম নগর জাতীয় উদ্যান থেকে ফিরছিলাম। হঠাৎ সিএনজি ড্রাইভার বললেন, “এখানে একটা রিসোর্ট আছে, দেখতে পারেন।” আমার মাথাতেও আসেনি এমন একটি অরণ্য ঘেরা জায়গায় রিসোর্ট হতে পারে। কারণ চারদিকে কেবল গাছ ছাড়া আমার চোখে আর কিছু পড়ছিল না। আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে ড্রাইভারকে গাড়ি ঘোরাতে বললাম।


প্রধান গেইট দিয়ে যখন শুকতারা রিসোর্টে ঢুকছি, তখন মনে হচ্ছিল সবুজ গাছগুলো যেন আমাকে স্বাগত জানাচ্ছে। রিসোর্ট বলতে আমরা বুঝি কোনো একটা জায়গাকে ‘পলিশ’ করে মানুষের থাকার উপযোগী করা। কিন্তু শুকতারা দেখে বুঝতে পারলাম -এখানে কোনো গাছ কাটা হয়নি বা পাহাড়কে কেটে সমান করা হয়নি। বরং ওই পাহাড়কে ব্যবহার করেই দর্শনার্থিদের জন্য বানানো হয়েছে রিসোর্টটি।



যাদের পাহাড় বাইতে সমস্যা তারা সহজেই টয় ট্রেন ব্যবহার করে উপরে উঠতে পারবেন। এক পাহাড়ে উঠলে অফিস, রেস্টুরেন্ট, খেলার জায়গা। আর এক পাহাড়ে উঠলেই থাকার জায়গা। আহা, প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে এমন রিসোর্ট যিনি করেছেন তিনি নিশ্চই ভীষণ পরিবেশবান্ধব হবেন!



তিনি যেমনই হোক তার আর্কিটেকচার পরিকল্পনা কিন্তু সাংঘাতিক মনকাড়া। লাইব্রেরিতে পা রেখেই মনে হয়েছে, যদি আজ সারাদিন শুয়ে-বসে পড়তে পারতাম!





আবার রেস্টুরেন্টে বসে ভাবছিলাম- আহ! কফির পর একটু সাদা ভাত হলে মন্দ হয় না। আর বিলিয়ার্ড খেলতে খেলতে হারিয়ে গিয়েছিলাম কিশোর বেলায়। শুধু জঙ্গল আর জঙ্গল! শহরের এতো কাছে এমন প্রাকৃতিক শোভা রয়েছে তা সত্যিই ভাবা যায় না।




আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে নিজেই ঘুরে আসুন, সিলেট -জাফলং মহাসড়কে ১৪ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত এই প্রকৃতি নিবাসে।

শুকতারা রিসোর্টের ছবিগুলো নিজেই তুলেছি। আমার ছবি কিন্তু আমি তুলিনি। আমি যে গিয়েছিলাম এমন অরণ্যঘেরা একটি রিসোর্টে তারই প্রমাণ বহন করছে আমার ছবি।
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
দিদির তোলা ছবি দেখেই মুগ্ধ হলাম। আসলে সত্যি বলতে কি! এই রিসোর্ট-এর নামও কখনো শুনিনি। তবে দিদি, এখানে হয়তো কোনদিন যাওয়া হবে না। আপনার লেখা আর ছবিতেই দেখার স্বাদ মেটালাম।
রোদেলা নীলা বলেছেনঃ
দাদা, যাওয়া হবে না কেন? সিলেট বাস স্ট্যান্ড থেকে মাত্র ২৫ মিনিটের পথ। আমরা সবাই মিলেই ঘুরে আসতে পারি, এইসব জায়গায় দল বেঁধে যাবার মজাই আলাদা।
রোদেলা নীলা বলেছেনঃ
দাদা, যাওয়া হবে না কেন? সিলেট বাস স্ট্যান্ড থেকে মাত্র ২৫ মিনিটের পথ। আমরা সবাই মিলেই ঘুরে আসতে পারি, এইসব জায়গায় দল বেঁধে যাবার মজাই আলাদা। লেখাটা দীর্ঘ করিনি, কারন আমি যে ভালো ছবি তুলি সেটা দেখানোই উদ্দেশ্য ছিল।
নবকুমার দত্ত বলেছেনঃ
খুব সুন্দর জায়গা তো। ইশ দুদিন আগেই পোস্ট দিতেন। কাল আমার সিলেটে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু পরে বাদ দিয়েছি। এই পোস্টটা দেখলে হয়তো সেকেন্ড থট দিতে পারতাম। যাইহোক, নেক্সট টাইম মিস করবো না। ওই রিসোর্টে যাবই। ধন্যবাদ রোদেলা নীলা।
রোদেলা নীলা বলেছেনঃ
আপনি না হিমালয়ে ছিলেন ? সিলেট গেলেন আবার কখোন ।আমাকে না জানিয়ে গেলে এমনি হয় ,নেক্স টাইম জানিয়ে যাবেন ।এই রিসোর্টের মালিক আবার বয় ফ্রেন্ডের ভাইয়ের বোন ।ভালো কমিশান পাওয়া যাবে ,এমনিতেই এতো বেশী প্রাইস অন্তত আমার পোশাবে না ।আপনি সিলেট গেলে অবশ্যই গাইড নিয়ে যাবেন ,ভেতরে খুব গহীন জংগল।
অরণ্য প্রলয় বলেছেনঃ
ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে রিসোর্টটি খুব চমৎকার। প্রকৃতি আমাকে খুব টানে। আশা করছি একদিন ঘুরে আসবো। আপনাকে ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রিসোর্টের খবর দেয়ার জন্য। আর, নিঃসন্দেহে আপনি খুব ভালো ছবি তোলেন।
রোদেলা নীলা বলেছেনঃ
অরণ্য প্রলয় এই দুটো শব্দ যেন নিজেই প্ররকৃতিকে ধারণ করে আছে ।আসছে বৃষ্টিতে শুকতারা রিসোর্ট থেকে ঘুরে আসুন ,আপনার নামের সার্থকতা হবে নিশ্চিত বলতে পারি ।সাংঘাতিক অরন্য ঘেরা থাকার জায়গা আর ঝড় বৃষ্টিতে প্রলয় স্বাভাবিক।
সৈয়দ আশরাফ মহি-উদ্-দ্বীন বলেছেনঃ
ছবিগুলো দেখে এক্ষুনি যেতে ইচ্ছে করছে। সুন্দর একটা জায়গা চিনিয়ে দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ রোদেলা আপু।
রোদেলা নীলা বলেছেনঃ
ওখানে গেলে বিন্দাস হয়ে যাবেন ভাই,খালি মোবাইল করবে ক্লিক ক্লিক। 😀
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
যাই ক্যাম্নে? ট্যাকা নাই তো। তয় আপ্নের লিখা আর ছবির ঠেলায় মনে হইতাছে…..আইচ্ছা এই বাজারে একটা কিডনির দাম কত?
রোদেলা নীলা বলেছেনঃ
কী কথা! কিডনী বিক্রি করতে হবে কেন? ওখানে ঘুরে ঘুরে ছবি নিতে কে পয়সা চাইছে আপনার কাছে!!! থাকতে হলেতো কমিশান নেওয়া যাবে।
ফারুক জোয়ার্দ্দার বলেছেনঃ
এই রিসোর্টের এক্কেবারে পাশে আড়াই বছর কাটিয়ে এসেছি। বিআরডিটিআই-এ। হাইওয়ের যে মোড় ঘুরে খাদিমের দিকে ছোট্ট রাস্তা হারিয়ে গেছে, ঠিক ঐখানেই। বিআরডিটিআই-ও অসাধারণ, চোখ জুরিয়ে যাবে, নিশ্চিত। শুকতারা যত সুন্দর, আপনার ছবিগুলো তারচে‘ অনেক বেশি। বড় নস্টালজিয়া! বড় নস্টালজিয়া!