মুসলমানদের দ্বীন ‘ইসলাম’। ইসলাম এসেছে ‘সলম’ ধাতু থেকে। যার অর্থ শান্তি। কাজেই মুসলমানদের উপর শান্তির সব নিয়ামতই বিরাজমান। মুসলমান স্বামী-স্ত্রী যে অভাবিত শান্তিতে থাকে ও ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকে তা ইহুদী-খ্রিস্টান তথা পাশ্চাত্য বিশ্ব কল্পনাও করতে পারে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি রহমানুর রহিম। আর রেহেম শব্দের এক অর্থ হলো বন্ধন। অর্থাৎ মুসলমান স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রহমানুর রহিম উনার রহমতে যে রেহেম বা বন্ধন তৈরি হয় তা বিধর্মীদের জীবনে বিরল। কারণ, এটা খোদায়ী নিয়ামত আর মুসলমান স্বামী-স্ত্রীই কেবল সে নিয়ামত পেয়ে থাকে।
ইসলাম প্রতিটি দিনে প্রতিটি মুহূর্তেই স্বামী-স্ত্রীর প্রতি অগাধ ভালবাসার প্রেরণা দেয়। হাদীছ শরীফ-এ স্ত্রীর প্রতি ভালবাসার চেতনা ও প্রেরণা দিয়ে বলা হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।” আবার স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালবাসা ও শ্রদ্ধার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, “আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া যদি অন্য কাউকে সিজদা করা জায়িয হতো তবে আমি স্ত্রীদের বলতাম তারা যেনো স্বামীদের সিজদা করে।” হাদীছ শরীফ-এ সব সময়ই স্ত্রীদের সাথে হাসিমুখে কথা বলা, স্ত্রীর দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকানোর জন্য, স্ত্রীর কাজে সাহায্য করার জন্য, স্ত্রীকে ক্ষমা করার জন্য, স্ত্রীকে সম্মান দেয়ার জন্য বিশেষভাবে বলা হয়েছে। অপরদিকে স্বামীর খিদমত, সম্মান, কথানুযায়ী চলার জন্য স্ত্রীদেরকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মুসলমান স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ইসলামী আদর্শের কারণে যে অগাধ মুহব্বত থাকে তা ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মী অর্থাৎ পশ্চিমা বিশ্ব ও এদেশীয় পশ্চিমা এজেন্টরা কল্পনাই করতে পারে না ও পারবে না। বরং তারা তার বিপরীত আযাব-গযব তথা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া-ফাসাদ ও ভালবাসাহীনতায় ভুগে। তাদের সে ভালবাসাহীন যন্ত্রণাকাতর দগ্ধ জীবনে একটু ভালবাসার চেতনার জন্যই মুলত তারা তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের উদ্ভব ঘটিয়েছে।
তথাকথিত ভালবাসা দিবস পালন মূলত অভালবাসা তথা নোংরামীর বিস্তার ঘটায়। পাশ্চাত্যে ভালবাসা দিবস প্রচলনের পেছনে ছিলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ। পাশাপাশি এদেশে তা প্রবর্তনের পেছনে আছে পাশ্চাত্য গোলাম শফিক রেহমান ও ইহুদী খ্রিস্টানদের সুদূর প্রসারী ইসলাম বিরোধী স্বার্থ। এটা এদেশে মুসলমানিত্ব নির্মূলের গভীর ষড়যন্ত্র।
পশ্চিমাদের খাস গোলাম শফিক রেহমান পশ্চিমাদের কাছে আরো প্রিয় এবং এদেশের হুজুগে মাতা বাঙালিদের কাছে একটি তথাকথিত সংস্কৃতির প্রচলনের প্রবক্তা সাজার উদ্দেশ্যে ও তার কাঙ্খিত বাহবা ক-ড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে তার সাপ্তাহিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার মাধ্যমে তথাকথিত ভালবাসা দিবসের প্রবর্তন ঘটিয়েছে। তবে শুধু শফিক রেহমানই নয় এর পেছনে সুযোগ-সন্ধানী ইসলামবিদ্বেষী মহলের বিবিধ স্বার্থ কাজ করেছে, করছে।
ভালবাসা দিবস-এর ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে এনসাইক্লোপিডিয়া সহ আরো বহু রেফারেন্স থেকে জানা যায়, “রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। চিকিৎসা বিদ্যায় সে ছিলো অভিজ্ঞ। খ্রিস্টধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। সে যখন বন্দি ছিলো তখন তরুণ-তরুণীরা তাকে ভালবাসা জানিয়ে জেলখানায় জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিতো। বন্দি অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করে। মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে যে, “ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন।” অনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
বর্ণিত ইতিহাস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, তথাকথিত ভালবাসা দিবস কখনোই এদেশীয় অর্থাৎ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিলো না। আর মুসলমানদের সংস্কৃতিতো নয়ই। বরং তা সম্পূর্ণরূপেই বিজাতীয়, বিধর্মীয় তথা, পশ্চিমা ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত নিয়মনীতি, তর্জ-তরীক্বা যা অনুসরণ করা মুসলমানদের জন্য কাট্টা হারাম ও শক্ত কবীরা গুনাহ। এছাড়া তথাকথিত ভালবাসা দিবসের নামে মূলত চলে বেপর্দা-বেহায়াপনার নির্লজ্জ উৎসব। যাতে ইবলিস শয়তানের ওয়াসওয়াসা থাকে ও নফস বা প্রবৃত্তির উদ্দামতা যুক্ত হয়। যা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ মুতাবিক শক্ত কবীরাহ গুনাহ এবং পরকালে এসব কাজের জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে তথা জাহান্নামে যেতে হবে। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” অর্থাৎ যারা কথিত ভালোবাসা দিবস পালন করবে তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
মূলকথা হলো- যারা ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ পালন করবে তারা কুফরী করবে। কারণ ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস সম্পূর্ণরূপেই ইহুদী-নাছারা, মজুসী-মুশরিক তথা কাফিরদের প্রবর্তিত নিয়মনীতি বা তর্জ-তরীক্বা। যা মুসলমানদের মুসলমানিত্ব নির্মূলের গভীর ষড়যন্ত্রও বটে। তাই মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ভ্যালেন্টাইন ডে’সহ সর্বপ্রকার কুফরী প্রথা থেকে বিরত থাকা ।
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
বিশেষ একটি দিনে ভালবাসা দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তর্ক আছে। সেই তর্ককে স্বাগত জানাই। কিন্তু এখানে কুফরী, কাফির ইত্যাদি বিতর্ককে জুড়ে দেয়াটা আসলেই কি যুক্তিযুক্ত?
আমি আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরো খোলাখুলি জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি।
মামুন ম. আজিজ বলেছেনঃ
আপনি খুব চালাকির সাথে …দুটো সংস্কৃতির সাথে এই দিবসকে তুলনা করেছেন।
প্রথমে বাঙ্গালী সংস্কৃতি এবং পরে মুসলমান সংস্কৃতি।
আপনার লেখার উদ্ধৃতি “বর্ণিত ইতিহাস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, তথাকথিত ভালবাসা দিবস কখনোই এদেশীয় অর্থাৎ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিলো না। আর মুসলমানদের সংস্কৃতিতো নয়ই। বরং তা সম্পূর্ণরূপেই বিজাতীয়, বিধর্মীয় তথা, পশ্চিমা ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত নিয়মনীতি, তর্জ-তরীক্বা যা অনুসরণ করা মুসলমানদের জন্য কাট্টা হারাম ও শক্ত কবীরা গুনাহ।”
তারপর আপনার লেখার শেষের ফতোয়া জারির তীব্রতা দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি কেবল মুসলমান সংস্কৃতি শব্দটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।
আমার কথা হলো, যুক্তি তর্ক করা কোন সমস্যা না। সে থাকবেই। কিন্তু আসলেই কি পৃথিবীর কোন সংস্কৃতি ইউনিক হতে পারে। মিক্সিং তো মানুষের যুগ যুগের স্থানান্তরের কারনেই হয়েছে।
আপনি ধরেন, বাংগালীর যে সকল সংস্কৃতিকে আজ আমরা বাঙ্গালী সংস্কৃতি মনে করে নিচ্ছি , তার সব নানান মানুষের নানান এলাকার থেকে এসে এসে একটা রূপ নিয়ে টিকেগেছে বাঙ্গালি নামে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য মানে যেখান থেকে আমাদের ইসলাম ধর্মের যাত্রা শুরু সেখানে কিন্তু বাংলা বা বাঙ্গালীর কোন সংস্কৃতি যায় নি, বরং ধর্ম প্রচারক পীর আউলিয়াদের দ্বারা সেখানকার সংস্কৃতি এবং যার অনেক কিছু মুসলমানদের সংস্কৃতি নামে ইসলাম গ্রহন করেচে বলা হচ্ছে তা আমাদের সংস্কৃতিতে মিশেছে।
আপনি কি তবে বাঙ্গালি সকল সংস্কৃতির ও বিরুদ্ধে, জানতে চাই? একুশে বইমেলা এখন বাঙ্গালীর একটা সংস্কৃতিই , আপনি কি এখানে যান না?
এখন আসেন `এছাড়া তথাকথিত ভালবাসা দিবসের নামে মূলত চলে বেপর্দা-বেহায়াপনার নির্লজ্জ উৎসব।’ আপনার এই উক্তিতে,
এ টা মানা যায় এই ভাবে যে বেহায়াপনা নিসন্দেহে খারাপ আর ভালবাসা দিবসের মূল বিষয যদি হয় বেহায়াপনা তাহলে এটা নিন্দনীয় কাজ। তবে সেটা তো দিবসের দোষ না , মানুষের ব্যবহারেরর দোষ।
সে তো ঈদের দিনেও আমি রাজপথে নেটের পোষাক পরে আধুনিক বাংগালী নারীকে হাঁটতে দেখেছি। সেও ঈদ পালন করছিল। বেহায়াপনাটা তার দোষ, ঈদের তো নয়। ( আবার ভাববেন না আমি ঈদকে ভালবসা দিবসের সাথে তুলনা করছি, বুঝতে হবে)
শেষে আপনি যে ভাবে `মূলকথা হলো- যারা ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ পালন করবে তারা কুফরী করবে। কারণ ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস সম্পূর্ণরূপেই ইহুদী-নাছারা, মজুসী-মুশরিক তথা কাফিরদের প্রবর্তিত নিয়মনীতি বা তর্জ-তরীক্বা। যা মুসলমানদের মুসলমানিত্ব নির্মূলের গভীর ষড়যন্ত্রও বটে। তাই মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ভ্যালেন্টাইন ডে’সহ সর্বপ্রকার কুফরী প্রথা থেকে বিরত থাকা ।’
এই উক্তি তে কুফরী, ফরয ওযাজিবের স্পষ্ট ডিকটেশন দিলেন তাতে আপনাকে মহা ফতোয়াবাজ বলতেই হচ্ছে।
আপনি বোধহয যে পিসিটিতে বসে লিখেছেন সেটাও ইহুদী নাছারাদের প্রবর্তিত পোগ্রামে চলছে,
এটা বলা র উদ্দেশ্য -কে নিয়ম বানালো সেটা কি মুখ্য না নীয়মটা ঠিক না বেঠিক সেটা বিবেচনা করা টা মুখ্য?
ভাববেন।
তারোপর , আমার জানা মতে এভাবে ফরজ ওয়াজিব আপনি বোধহয় স্পষ্ট করে ডিক্লেয়ার করতে পারেন না।
ছায়া বলেছেনঃ
যে যাই বলুক, আমি বলব সবার আগে আমরা মুসলমান তারপর বাঙালি।
আমি সঠিক জানি না ভ্যালেন্টাইন দিবস ইসলামিক দিক দিয়ে কতটা গ্রহণযোগ্য। তবে ভ্যালেন্টাইন দিবসের নামে আজকাল অনেক জায়গাতেই আমাদের দেশে যা হয় তা-সত্যিই নোংরা পাশ্চাত্য উদযাপনের সাথে মিলে যায়।
আমি নিজেই নামাজ পড়ি না তাই ধর্ম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা নিয়ে অনেক সময় দূরে থাকি। নিজে যা করি না অন্যকে সেটা নিয়ে উপদেশ দেওয়াটা হাস্যকর।
তবে সত্যিকার অর্থে ভ্যালেন্টাইন দিবসটা শুধু মেয়ে-ছেলেদের প্রেম-ভালবাসা বুঝায় না। ছেলে-বাবা, ছেলে-মা, মেয়ে-মা, বাবা-মেয়ে, ভাই-বোন সবার সম্পর্কের দিকটাকেই ভালবাসা দিবসে অন্তর্ভুক্ত। তবে আমাদের দেশে ছেলে-মেয়েদের ভালবাসার দিকটাই বেশি করে প্রকাশ হয়।
বেশি কিছু লিখতে পারলাম না আর এ নিয়ে।
ধন্যবাদ।
ইখতিয়ার ফাহিম শোয়াইব বলেছেনঃ
মামুন ম. আজিজকে বলছি, রয়েল ভাই যে বল্গ টা লিখছে,তার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত না হলেও আপনার সাথে ১% ও একমত হতে পারলাম না। আমরা মুসলমান। আমাদের ধর্মে অপরিচিত মেয়েদের সাথে কথা বলাই হারাম সেখানে কথা তো বলতেইছি তারপর আবার দেখা করেও উলটা পাল্টা কাজ করতেছি। একজন মুসলমান অন্য একজন মুসলমানকে সতর্ক করবে খারাপ কাজ থেকে এটাই তো স্বাভাবিক। আপনি কেন এটার ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন? রয়েল ভাই যা বোঝাতে চায় সে টুকু বুঝুন। বাকিটুকু উনাকে ভাবতে দিন।
মামুন ম. আজিজ বলেছেনঃ
@ফাহিম, সতর্ক করতে কি আমি একবারও নিষেধ করেছি,
ব্যক্তিগত মতামত যে কেউ যুক্তি তর্ক নিয়ে দেক না, কিন্তু কোরআন হাদীসের আলোক কে পুঁজি করে নিজস্ব মন গড়া ফরয ওয়াজিব বাতলে দেয়ার মত ঔদ্ধত্য দেখানো কি মুসলমানদের বৈশিষ্ট্য?
মোটেও না।
ভালবাসা দিবসে যদি কেউ কোন রকম বেহায়াপনা , অশ্লীলতা পরিহার করে নিজ বউকে ( যাকে দেখা ইসলামে সর্বসম্মতভাবে সম্পূর্ণ জায়েজ) ভালবাসার একটু বাড়তি কথা বলে, যা রোজ বলা হয় না, তাতে দোষের কি কিছু হবে।
এখন আপনি জনাব রয়েল কে সার্পোট দেয়ার জন্য বলতে গিয়ে বললেন, `আমাদের ধর্মে অপরিচিত মেয়েদের সাথে কথা বলাই হারাম সেখানে কথা তো বলতেইছি তারপর আবার দেখা করেও উলটা পাল্টা কাজ করতেছি’
এটা পালন করতে গেলে তো রাষ্ট্রীয় অনেক আইনই বদলে দিতে হবে, আপনার শিক্ষীকা (স্কুলে কলেজে ) একজন অপরিচিতা মহিলা হতে পারে, কর্মক্ষেত্রে কলিগ মহিলা হতে পারে, কোন অফিসে বা কাউন্টারে বা ডাক্তারেরর দপ্তরে নারী সহায়িকা হিসাবে থাকতে পারে। কথা না বলে আপনি কিভাবে থাকবেন। এভাবেই সমাজ চলছে।
আপনি আইন প্রণেতাদের সতর্ক করে দিতে পারেন এইভাবে যে নারীদের বহিকর্ম হতে বিরত রাখুন তাহলে আর অপরিচিত হতেও হবে না, কথাও বলতে হবে না।
সে যাক। ও তো ভিন্ন কথা।
সব কিছু পালনের মধ্যে ধর্ম নিয়ে আসতে হবেই কেনো, যদি না ধর্মের বেসিক জিনিস এর ব্যতয় না ঘটে।
ইসলামে তো বাঙ্গালী সংস্কৃতি নামে কিছুই বলার কথা না, নেই ও , তাই বলে সকল বাঙ্গালী সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট আচার পালন কি অবৈধ হবে?
স্পষ্ট করে এই প্রশ্নটার উত্তর ও ব্যাখ্যা কি দেবেন?
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
পোস্টদাতাকে বলছি, রয়েল আপনি কোথায়? মন্তব্য-আলোচনায় আপনার মতামত আশা করছি। আলোচনা করার জন্যই তো পোস্টটা ছিল, তাই না?
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
ধর্মকে ধর্মান্ধতা দিয়ে দেখলে তা জীবনের সাবলীলতায় ছন্দপতন ঘটাবে। ধর্ম কেন? নৈতিকতাবোধ চর্চার জন্য , তাই না? তাহলে ইসলামে বর্ণিত নির্দেশিকাগুলো অন্ধের মত না আওড়িয়ে, সেগুলো কখন, কি পরিস্থিতিতে, কি কারণে, বিশেষত কাদের জন্য নাযিল হয়েছিল, সেগুলো বিবেচনা করা উচিৎ। ধর্মে এমনটা-ওমনটা বলা আছে, এবং এর অন্যথা হলেই তাকে অ-ধর্ম, পাপ ইত্যাদি তরিকায় না ফেলাটাই সুচিন্তিত মানসিকতার পরিচায়ক হবে।
নারী-পুরুষ দেখা হলেই অ-ধর্ম ঘটে যাবে, এমন অন্ধতা বিপদজ্জনক। জাহিল যুগে এর প্রয়োজনীয়তা তীব্র ছিল তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এখন এই কথা রাত দিন জপ করলে, দুনিয়া ওই আমলেই ফিরে যাবে আবার।
ধর্ম চায় আমরা শিক্ষা, যুক্তি, নৈতিকতা দিয়ে কাজ করি, চিন্তা করি। তাহলে নারী-পুরুষ দেখা হলে এখানে অনৈতিকতা, অ-ধর্ম কী হয়? দেখা হওয়াটা কখনই সমস্যা নয়, সমস্যা হলো আচরণগত বিষয়। ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ যদি এতটাই দৃঢ় হয়, তাহলে দেখাসাক্ষাতে আচরণগত সীমানা এমনিতেই এসে যাবে।
দিবস পালন করলেই তাকে অনেকটা ফতোয়া প্রদানের সুরে বাতিল বলাটা কি ঠিক হচ্ছে?
ডাকপিয়ন বলেছেনঃ
আমিতো ভাবলাম ভুতুড়ে ব্লগ আর্কাইভ থেকে ডাইনোসোর যুগের কোন লেখা পাবলিশ হয়ে গেলো কিনা! 😥 😥
হোয়াইট বলেছেনঃ
v-day is not ours. our culture is different and rich, so everyone should respect our rich culture, i hate v-day