বাংলাদেশের নদী, খাল-বিল ও হাওরে ভেসে থাকা জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা আমাদের অতি পরিচিত।
কচুরিপানা চাষাবাদের সার হিসাবে ব্যবহার করা হয়। গো-খাদ্য হিসাবে এর ব্যবহার আছে। কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান বীজতলা তৈরি করা যায়।
এরপরও বিপুল পরিমাণ কচুরিপানা নদীতে ভেসে থাকায় নৌযান চলাচলে বাধা হয়ে ওঠে এগুলো।
ভিয়েতনামে প্রচুর কচুরিপানা জন্মায়। কচুরিপানার কারণে এখানে নদী ও খালে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু তারা এই অবহেলিত কচুরিপানা বিভিন্ন হস্তশিল্প তৈরিতে ব্যবহার করছে। ব্যাগ, ঝুড়ি, টেবিল, চেয়ার, সোফা, বেড, ম্যাটসহ অনেক কিছু তৈরী হচ্ছে কচুরিপানা থেকে। এই সমস্ত পণ্য তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। ভিয়েতনাম ছাড়াও চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে এই কচুরিপানা দিয়ে নানা রকম পণ্য তৈরী করা হচ্ছে।
দেশে কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড পরীক্ষামূলকভাবে কচুরিপানা দিয়ে কিছু পণ্য তৈরি করছে।
কিছুদিন আগে কারুপণ্য রংপুর লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী শফিকুল আলম সেলিম স্বরূপকাঠিতে আসেন। আমরা সারাদিন তাকে নিয়ে নদী, খাল ও বিলে কচুরিপানা দেখেছি। তার কাছ থেকে কচুরিপানার সম্ভাবনা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
তিনি আমাদের বলেন, "বাংলাদেশের প্রায় ২০% এলাকায় কচুরিপানা জন্মায়।"
কচুরিপানা দিয়ে কীভাবে পণ্য তৈরী হয় তা নিয়ে বিস্তারিত বলেন তিনি। কচুরিপানাগুলো কেটে-শুকিয়ে তারপর পণ্য তৈরি কাজে ব্যবহার করা হয়।
শফিকুল আলম সেলিম দাবি করেন, "কারুশিল্পে ব্যাপক ভাবে ব্যাবহার করতে পারলে রপ্তানি ক্ষেত্রে পাটকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে কচুরিপানা।"
সরকারি সহায়তা পেলে এই কচুরিপানা হয়ে উঠতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি বড় মাধ্যম।