গার্মেন্টস শিল্প: সজাগ হতে হবে এখুনি

মোঃ নিয়ামুল হক
Published : 1 August 2012, 07:39 AM
Updated : 1 August 2012, 07:39 AM

মেহেদি (ছদ্মনাম) , জিরানি বাজার এলাকার একটি সাব কন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরিতে চাকুরী করে । ৬ সদস্যার সংসার চলে তার উপার্জনে । বেতন পেয়ে বাড়িতে টাকা পাঠান , সেই টাকা দিয়ে পুরো পরিবার চলে । সামনে আসছে ঈদ । ঈদকে ঘিরে তাকে নিয়ে ছোট ভাই –বোনদের অনেক স্বপ্ন । কিন্তু মেহেদির মনে শুধুই হতাশা । জুন মাসের বেতন পেয়েছে , মাস শেষ হলেও মেলেওনি ওভার টাইম এর টাকা । জুলাই মাসে ওভার টাইম হয়নি বললেই চলে । তাই ঈদে শুধুমাত্র সামান্য বেতনে চলতে হবে । এছাড়াও রয়েছে বকেয়া বেতন না পাবার অনিশ্চয়তা । সব কিছু মিলে হতাশা আর দুশ্চিন্তার মাঝেই কাটছে মেহেদির দিন।

সাথী, গাজীপুর এলাকার একটি স্বনামধন্য ফ্যাক্টরিতে চাকুরী করে । বেতনের হার ভালো না হলেও ওভার-টাইমসহ যা পায় তা দিয়ে চলে যায় । কিন্তু বিপত্তি দেখা দিয়েছে কয়েক মাস থেকে । গত কয়েক মাসের বেতন পেয়েছে মাসের শেষ দিকে । এবার ঈদের মাসে বেতন শেষ দিকে পেলে সামলানো কঠিন হবে । এ নিয়ে তার দুশ্চিন্তার অন্ত নাই ।

এই চিত্র শুধুমাত্র জিরানি বাজার কিংবা গাজীপুরের ফ্যাক্টরিগুলোর নয় , এ চিত্র সব এলাকাতেই বিদ্যমান । প্রতি বছর ঈদ আসলেই একটি চিত্র দেখা যায় , শ্রমিক বিক্ষোভের । কঠোর পরিশ্রম করে যারা দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন , তাদের অসন্তোষ যেমন কাম্য নয় তেমনি বিক্ষোভের ফলে কারখানা বন্ধ বা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নও কাম্য নয় । মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ইতোমধ্যে ঈদ এর আগে বকেয়া বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন । তবে নির্দেশ দিলেই সব কিছু হবে না । এ জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু মনিটরিং । তাছাড়া শ্রমিকরা যেন ঈদ এর আগে টাকা পেয়ে কেনাকাটা করার সুযোগ পায় সেদিকটা দেখাও জরুরী ।