ভারতে হিন্দু – মুসলিম সহিংসতার মূল কারন মোদি সরকারের অযোগ্যতা

রুদ্র আমিন
Published : 10 March 2015, 07:44 AM
Updated : 10 March 2015, 07:44 AM

শুধু ইসলামকেএককভাবে উগ্রবাদি বলা যায় না, কিংবা বলার অধিকার কারও নেই। আজ যারা ইসলামকে ধবংসের জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে তাদের ধবংসও অবধারিত। ক্ষমতা কখনও চিরস্থায়ী নয়। যারাই এমন কথা বলছে তাদের কি মনে হচ্ছে না, কেন এক জাতি বা একটি ধর্মকে নিয়ে এতো মাতামাতি ? আর কথা হচ্ছে একহাতে কি তালি বাজে ? না অন্য হাতের প্রয়োজন হয় ? ইসলাম উগ্রবাদী আর সকল ধর্মাবলম্বীরা সাধু সন্ন্যাসী ? প্রতিটি ধর্ম বর্ণ গোত্রের ভেতর কিছু কিছু বীজ আছে যারা উল্টো পথে চলে। তবে এর জন্য সেই ব্যক্তি অনেক সময় দায়ি নয়। বাধ্য হয়ে সেই ব্যক্তিকে উল্টো পথে হাটতে হয়। ভুল বিচার, সত্যকে মিথ্য প্রমাণিত করে কাউকে শাস্তি দেয়া। সন্তানের সামনে পিতাকে হত্যার মতো জঘন্য পাপ করা। আরও অনেক দিক আছে যেসব সকল কারনে এমন বিরুপ প্রতিবাদী মানুষের সৃষ্টি হওয়া।

যেমন কিছুদিন আগে ভারতে এমন একটি ঘটনা, বিজেপি নেতা যোগীর কথা এতোটাই নোংরা ছিলো যে আমি যদি তাকে সম্মুখ পেতাম গুলি নয় ছুড়ির আঘাতে আঘাতে তাকে হত্যা করতেও দ্বিধা করতাতম না। আমার তো মনে সংশয় হয় সে কোনো একটি ধর্মের, আসলে কি সে কোন ধর্মের বা গোত্রের ? সে যদি কোন ধর্মকে বিশ্বাস করে থাকে কিংবা ভালবেসে থাকে তাহলে সেই ধর্মটাই নষ্ট ধর্ম বলে আমি খেতাব দিচ্ছি।  যে এমন কথা বলতে পারে " মুসলিম নারীদের লাশ কবর থেকে তুলে ধর্ষণ করতে হিন্দুদের প্রতি আহবান : বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ"। এই কথা যে বলতে পারে আর সে কথাগুলো বসে বসে শুনে ইসলাম ধর্মের মানুষগুলো হাত গুটিয়ে বসে থাকার প্রয়োজন মনে করেন কি বিশ্ববাসি। নাকি এই কথা শুনে সেখানে ইসলাম ধর্মের সকল মানুষ আত্মহত্যা করবে, নাকি সেই কু-জাতির উপর হামলা করবে ? প্রশ্ন তো সেখানেই উগ্রবাদী কে বা কারা এই কথায় বোঝা যাচ্ছে। একটি দেশে নানান ধর্মের মানুষ গোত্রের মানুষে বসবাস হওয়াটাই স্বাভাবিক।

এই ব্যানার নিয়ে আন্দোলন একটা কেন ? দেশের শাসন ভার পেয়েও যদি এমন কথা বলে যে ভারত থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মুসলিম এবং খ্রীষ্টান মুক্ত করবে তবে কেমন হবে দেশের পরিস্থিতি ? আর অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাজেট পেস করতে গিয়ে নিজেও বলে ফেললেন "লোকসভাত বাজেট অধিবেশনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আমাদের সরকার শুধু মাত্র একটি ধর্মের-"ভারত"।  এই বক্তব্য তিন বাজেট অধিবেশনে  সাম্প্রদায়িকতা  প্রসঙ্গে  দেন:

 দারিদ্রের বিরুদ্ধে  হিন্দু-মুসলিম একসাথে লড়াই করবে। হিন্দু মুসলিমে কোনও ভেদা-ভেদ থাকবে না, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কোন নাগরিকের নেই। আমাদের সরকার শুধু মাত্র একটি ধর্মের-"ভারত'। মোদির মাতলামি কথায় আমার মনে হয়ে সেই পৃথিবীর একমাত্র ক্ষমতাধর ব্যক্তি যা বলবে তাই হবে। তার পরিচয় সেই নিজেই জানে না আবার বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছে।

তার পূর্ব পুরুষরা কি ছিল সেটা কি সে বলতে পারে ? পুরো এশিয়াটাই একটি শস্য ক্ষেত্র যে যেমন ফসলের বীজ বপন করেছে তাই ফলেছে। মিশ্রণের জাতি হয়ে বড় বড় কথা বলছে মোদি। ১০ পুরুষ আগের মোদির পরিবার কোন ধর্মের ছিলো সেটা কি বলতে পারবে ?

সংঘ পরিবারের কুরুচি কর এই পোস্টারের বিরুদ্ধে মোদি সরকারকে অবশ্যই হিসেব দিতে হবে। মাঝে মাঝে ভারতের বর্তমান সরকারের কথায় মনে হয় সে পুরো ভারত সম্পর্কে নিজের কোন জ্ঞান নেই। ভারতে কত প্রকার ভাষা আর কত বর্ণের মানুষের বসবাস সে নিজেই জানে না। পুটি মাছের মতো বক বক করে চলছে।  মোদি সরকার কে একটি কথাই বলতে চাই। নিজের সম্মান নিজেই রক্ষা করুন। একটি ধর্মকে উগ্রবাদি বলার আগে ভাবুন ক্ষমতসীন দল আর বিরোধি দলের কথা। এখানে শুধুই কি বিরোধীদল অপরাধ করে নাকি লোক চুক্ষুর আড়ালে ক্ষমতায় বসে থাকামানুষগুলোই বেশি অপরাধ করে আর সেই অপরাধ বিরোধী দলের উপর চাপানো হয়।