দু’বেলা দু’মুঠো ভাত
কতটা প্রয়োজন এ ধরায়
চোখ মেলে দেখো, হৃদয়ে অনুভব করো
কাঁধে পলি ব্যাগ,সুগন্ধি চারিধার,
যদি পেতাম শুকতে নিকট থেকে
ভাজি করা ইলিশের ঘ্রাণ;
কোথাও কেউ নেই
গ্রীষ্মের তাপদাহে কয়লার দেহ
ডাস্টবিন কিংবা নর্দমার এপাশ ওপাশ,
চেটেচাটা বিষ্ঠা পড়ে আছে
কতোটা তৃপ্তি নিয়ে পুরছে পেট
চোখ মেলে দেখো, হৃদয়ে অনুভব করো
প্রতিটি দিবস কতটা বেদনার।
আগে থেকেই আমি একটু ভিন্ন রকম। ছোট বেলা থেকেই আদিম যুগের মতো আমার চলাফেরা। যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই যখন আমার জন্য আমার বাবা-মার ঈদের কেনাকাটা করতো, অনেক বন্ধুদের দেখতাম যার যার পোষাক লুকিয়ে রাখতো ঈদের পড়বে বলে। চমক দেখাবে সবাইকে এই কারনেই হয়তো। কিন্তু আমি, কেনার পর দিন থেকেই পড়তে শুরু করে দিতাম। আমার বাবা-মা যখন আমার বন্ধুদের কথা বলতো তখন আমি বলতাম, যদি বেঁচে না থাকি। তাহলে তো তোমরা এই কাপড় বুকে নিয়ে কাঁদবে। তাই আমি পড়ি। এজন্য বাবা-মা আমাকে আর কোনদিন এ ব্যাপারে বারণ করেননি। আজও না।
আমরা সবাই আমাদের নিজের কথাই চিন্তা করি, এমন করেই চিন্তা করি যে, বাড়ির পাশে কেউ না খেয়ে থাকলেও আজ আমরা সেটা ভাবি না। কেন ভাববো এটাই এখন উত্তর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলা নববর্ষ, ইংরেজী বর্ষ, ৩১ শে ডিসেম্বর, ভালবাসা দিবস, পিঠা দিবস, পিতা-মাতা দিবস আরও কত দিবস পালন করি আর স্লোগান গেয়ে যাই, অতীতের ভুলগুলো ভুলে নব আনন্দে পরিশোধিত হবো। কিন্তু কোথায়?
আজ চায়ের দোকানে চা পান করতে গিয়ে দেখলাম সোয়ান গার্মেন্টস্ এর শ্রমিক গুলো বেতন টাকার জন্য স্বজন হারা মানুষের মতো বসে আছে। কিন্তু কোথায় আমরা ঠিক হলাম? মালিকরা বেতন দিচ্ছে না। ন্যায্য পাওনা থেকে তারা বঞ্চিত। আমরা আমরা বৈশাখ বৈশাখ বলে দেশটাকে মাথায় তুলে ফেলেছি। তাদের কি বৈশাখ পালন করতে ইচ্ছে করে না? তাদের বৈশাখে কি হবে? মন গলানো সুশীলরা কি বুঝবে তাদের জীবনের বেদনার কথা?
পুঁজিবাদী আর কর্পোরেট দালালে দেশের বাজারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। জনগণের কথা তাদের মাথায় নেই। বৈষম্য বলে কথা। সবাই যদি পান্তা ইলিশ খায় পহেলা বৈশাখে তবে তাদের মূল্যায়ন কোথায় থাকে। এই সকল পুঁজিবাদী, ধনবান ব্যক্তি ব্যবসায়ী আর কর্পোরেট দালাল শুধু দেশ নয় পুরো দেশের জনগণকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারছে। মুষ্ঠিমেয় মানুষের কারনে কোটি মানুষ সেই দুর্ভিক্ষের অভাবে পড়ে থাকে একটি দিন।
বাঙালির বাঙলা বর্ষের প্রথমদিনে কতজনার কত পরিকল্পনা থাকে। কে কোথায় যাবে? কী করবে? অনেকের সব ঠিকঠাক হয়ে থাকে একমাস আগেই, কারো আবার সপ্তাহ খানেক। আবার কেউ ভুলেই বসে আছে। আমি কী করব, কোথায় যাবো বলতে পারছি না। এ কেমন দিন রে ভাই? সব দিন কেন জানি একই মনে হয়। আগে স্বপ্ন দেখতাম অনেক, কিন্তু এখন স্বপ্নও আড়ি পেতে বসে আছে, কি করি? যাই হোক, যেহেতু নিশ্বাসের বিশ্বাস নেই তাই সময় থাকতেই কিছু একটা করতে হবে। এখনি সুযোগ সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো। শুভ নববর্ষ – ১৪২২। ইলিশ পান্তা নয় সবার জীবনে পান্তা যেন জোটে সেই কামনা এবং প্রার্থনা করি।
” এক সেকেন্ডের নাই ভরসা “
রুদ্র আমিন বলেছেনঃ
নিচে একটা ভিডিও যুক্ত করেছিলাম কিন্তু আসছে না কেন বুঝতে পারছি না।
শাহ জামাল শিশির বলেছেনঃ
পুঁজিবাদী আর কর্পোরেট দালালে দেশের বাজারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। জনগণের কথা তাদের মাথায় নেই। বৈষম্য বলে কথা। সবাই যদি পান্তা ইলিশ খায় পহেলা বৈশাখে তবে তাদের মূল্যায়ন কোথায় থাকে। এই সকল পুঁজিবাদী, ধনবান ব্যক্তি ব্যবসায়ী আর কর্পোরেট দালাল শুধু দেশ নয় পুরো দেশের জনগণকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারছে। মুষ্ঠিমেয় মানুষের কারনে কোটি মানুষ সেই দুর্ভিক্ষের অভাবে পড়ে থাকে একটি দিন।
রুদ্র আমিন বলেছেনঃ
আমার কথাগুলোই আপনি তুলে ধরলেন শিশির ভাই, অনুভূতি পেলাম না। আমার অনুভূতি আমি আরেকবার গ্রহন করলাম।
শাহ জামাল শিশির বলেছেনঃ
আপনার পুরো লেখার ভিতর এই কথাগুলো বেশি ভাল লেগেছে তাই রিপিট করেছি। আর মন্তব্য করার মত হয়তো এতটা জ্ঞ্যানী হয়ে উঠতে পারিনি , এখানে শুধু আসি জ্ঞ্যানার্জনের জন্য
মনোনেশ দাস বলেছেনঃ
ভালো লিখেছেন । ধন্যবাদ ।
রুদ্র আমিন বলেছেনঃ
জেনে ভাল লাগল মনোনেশ দাস ভাইজান।
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
রুদ্র অামিন, ভাই, তোমার চাওয়া অামাদেরও। যে কোনও পালার অপর পিঠেই থাকে অনেক কান্নাদৃশ্য। কঠিন বাস্তব ছবিটা। তাকে এড়াতে গেলে পেছন হতে কঠিন ধাক্কা খাওয়া লাগে। হৃদয়হীনতার নির্মমতা জগতে ধনী / গরীব সব দেশেই অাছে। অাবার হৃদয়বানের হাত হাভাতেদের পাতে কিছু যে দেয় না তাও না, দেয়। না দিলে বেঁচে থাকাটা হতোই না হাভাতেদের। প্রয়োজন বিশাল, তাই দেবার হাতগুলি অারও বাড়া উচিত। এদেশে উচিত কাজে এগিয়ে অাসে ক’জন? নববর্ষ পালন করা ইলিশখেকোদের একদিনের ইলিশধুমে পান্তা না জোটাদের চাওয়া জুড়ে দেওয়া চাই। চাওয়া দিয়ে যদিও টনক নড়ানো যায় না, তবু চাওয়াগুলি হোক জোরালো। গণদাবী হিসেবে উত্থাপিত হলেই পান্তা না জোটাদের পাতে জুটবে পান্তা – এমন অাশাবাদ রাখছি।
রুদ্র আমিন বলেছেনঃ
জ্বী আপু, দেয় তবে পরিমাণের চেয়ে অনেক নিচে। আর দেয়ার থেকে যদি আমরা তাদের সাথে হাসি মুখে একটু সময় বিলিয়ে দেই এখানেও অনেক কিছুই তারা পেয়ে যায়। আমাদের দেশের কিছু সংখ্যক ধনবানরা তাদের দূরদূর করে তাড়িয়ে দেয়। ফকিরকে ভিক্ষা দিতে না পারলে একটু মুখের হাসি দিও তবেই তুমি অনেক কিছু দিলে। তাই বলি তারা কেন এমনটি করতে পারে না ? আসলে আমাদের দেশটা অরাজকতায় পরিপূর্ণ। দেশ প্রেম নেই তো দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা তাদের কিভাবে জাগ্রত হবে।