শ্রী নারী ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি

রুদ্র আমিন
Published : 25 April 2015, 04:02 PM
Updated : 25 April 2015, 04:02 PM

গ্রামের সহজ সরল বৃদ্ধা তার ছেলের জন্য পাত্র খুঁজছেন, অনেকদিন ধরেই খুঁজছেন। তিনিও পাশের বাড়ির রহমতের ছেলের পুত্রবধুর মতো বধু আনতে চাইছেন কিন্তু পাচ্ছেন না। যখনি তিনি টিভি দেখতে বসেন তখনি তিনি আফসোস করে বলেন সব সুন্দর মাইয়ারা টিভির ভিতর গ্যাছে এ জন্যই আমার পুলার জন্য মাইয়া খুঁজে পাই না।

কেন জানি সবাই সুন্দরের পিছু ছুটে বেড়ায়। বাহ্যিক দেখে কি মানুষের ভেতর চেনা যায় ? নাকি সাময়িক শান্তি, সমাজে স্ট্যাটাস বজায় রাখার জন্য মানুষ এমনটি করে। আদৌ কি সুখ কিংবা প্রকৃতি মানুষ হিসেবে তার আবির্ভাব সংসারে ফলে……নাকি অশান্তির  এক কারখানা তৈরী হয় ?

কিছু সংখ্যক নারী তারা নিজেদেরকে যে কি মনে করে সেটাই ভেবে পাই না। নারীর যৌনতা নিয়ে অনেক কথাই বলে পুরুষের বিপক্ষে। কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারে না কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বিরুদ্ধে। আসলে ঐ কোম্পানীর কোন দোষ নেই দোষ তো সকল পুরুষের। কিছু সংখ্যক নারীদের মনে এমনটই ধরণা বা বিশ্বাস। গতকাল মানিকগঞ্জ থেকে আসার পথে উত্তরা ১০ নং সেক্টর ১১ নং সেক্টর, ৭ নং সেক্টর এবং ৩ নং সেক্টরে রাস্তার ধারে রবির ধন্যবাদ টিমের যে সকল কিশোরীদের লক্ষ্য করলাম। তাদের কি এমন প্রয়োজন যে এমন চাকরি করতে হবে নিজের সত্তা বিকিয়ে।

তারা নিজেদের যেভাবে প্রদর্শন করছে মনে হয় যেন তারা নিজদের বাহ্যিক রূপ দেখিয়েই রবির ধন্যবাদ প্যাকেজ বিক্রি করছে। এটাকে কি বলা যায়? মনে হয় সেই পতিতা পল্লীর যৌন নারীগুলো। এখানে কি শুধু ছেলেরা এই ধন্যবাদ প্যাকেজটি বিক্রি করতে পারতো না ? নাকি ছেলেরা অকর্মা ?  কিন্তু আমার মনে হয় ধন্যবাদ প্যাকেজ নয় তারা তাদের মুনুষ্যত্ব বিক্রি করতে রাস্তায় নেমে পড়েছে। শালীনতার ব্যাপার কিংবা নিজেকে একটু পর্দায় রাখা এটা প্রতিটি নারীর নৈতিক দায়িত্ব, ধর্মীয় দিক দিয়ে তো বললে এটা পুরোটাই হারাম। কিন্তু তারা কি তাদের নৈতিকতা ঠিক রাখতে পারছে ?। জানি না ঐ সকল কিশোরী তাদের শালীনতাকে কি মনে করেন ?

বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে এমন হাজারে হাজারে নারী কর্মী আছেন যাদের বাহ্যিক রূপ দেখানোর জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকেন। যেহেতু কিছু সংখ্যক পুরুষ পশু আছে তাদের জন্যেই কোম্পানীগুলো এমনটি ফাঁদ পেতে রাখে। নারীরা তো সেখান থেকে নিজেদের ধবংসের পথে নিজেকে ঠেলে দিচ্ছে। ঠিক ঐ সকল পতিতা নারী কর্মীদের মতো। এদের মুনুষ্যত্ব বিক্রি করে ঐ সকল কোম্পানী তাদের ফায়দা লুটছে। আমরা যে প্রতিবাদ করি আসলে কে করি ? দিন যতই গড়াচ্ছে এমন সংখ্য নারী এবং পুরুষ নামের পশুর সংখ্যাও দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে।

আজকাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পোষাকের উপর কড়া নির্দেষ দেয় এমন কিছু ভার্সিটির শিক্ষকরা যারা আমাদের দেশের মাথা, জাতির মাথা। ঠিক তেমন এক ইউনিভার্সিটি IUBAT যেটা কামারপাড়ায় অবস্থিত।  আমার খুব পরিচিত  এক মেয়ে এখানে পড়ালেখা করে। তার সাথে কথা বলেই এমনটি জানতে পারলাম। তাহলে আমরা যে প্রতিবাদ করছি এবং আমাদের যে নেত্রীত্ব দিচ্ছে তারা কোন পর্যায়ে আছে সেই খবর কি আমরা জানি ? আসলে আমাদের দেশের ভাল বক্তা হলেই মনে করে সে ভাল একজন মানুষ। কর্মগুনে কেউ আজকাল কিছুই করতে পারে না কিংবা সম্মান পায়না।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো মাঝে  আমাদের দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো কিছু ইংলিশ ভার্সন স্কুল কলজে বিশ্ববিদ্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্কুল পর্যায়ে যে তাদের ইউনিফর্ম ব্যবহার করেন তাতে সেই মেয়ে বড় হয়ে বাংলার সংস্কৃতিকে পায়ের নীচে ফেলেই পিষ্ঠ করবে এটাই স্বাভাবিক। ঐ সকল প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলা সংস্কৃতি কতটুকু শিক্ষাদান করছে সেটাই মূল কথা। শুধু ইংরেজী ভার্সন নয় মহাখালী, গুলশানের নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আজকাল আমাদের দেশের প্রকৃতি সংস্কৃতি সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের কোন জ্ঞান দেন না। যেটুকু জ্ঞান দেন সেটা শুধু আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।

সর্বপরি বলতে চাই…….নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলতে হয় সেই একই কারনে উত্তরার নির্বাচন প্রচারণায় কিছু নারীদের এখানে নির্বাচন প্রচারণায় নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের দেখে মনে হয় না যে তারা প্রাপ্ত বয়সী। হ্যা দেখতে ভাল, ফিগার ভাল, স্মার্ট মুখের ভাষা। এগুলো আসলে কি ? সমাজটাকে কিভাবে ধবংস করা হবে সেই পাঁয়তারা। অনেক মেয়র এবং কাউন্সিলার পদপ্রার্থী যাদের নামে ডজন ডজন মামলা ঝুলে আছে কিন্তু কোথায় আমাদের আইন ? তারা কিভাবে নোমিনেশন পেলো ? অর্থ আর ক্ষমতাই আজ সোনার বাংলা ধবংসের মূল।

এই বিজ্ঞাপনের যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে……এটা আসলে অশালীন দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ১০০ ভাগ দায়ি।