প্রাইভেটকারের হুইসেলে জনজীবন ধবংসের মুখে ও যানজটের মূল কারন প্রাইভেটকার

রুদ্র আমিন
Published : 10 August 2015, 07:58 PM
Updated : 10 August 2015, 07:58 PM

জনজীবনকে স্তব্ধ করে দিয়েছে কীট পতঙ্গের দ্বারা গড়ে ওঠা নাম জানা অজানা নামিদামি প্রাইভেটকার। জনতা না বুঝেও প্রায় সময় চিৎকার করে উঠে চলার পথে, এ যেন বিভীষিকার যন্ত্রণা ; জ্যাম, জ্যাম। আমাদের অর্থনৈতিক অবকাঠামো এতোটাই দূর্বল যে রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থ অর্থ সংস্থা। সরকার রাজস্ব আদায় করে বেড়ায় যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায় তাদের নিকট থেকে। হায়রে দেশ আমার কীট পতঙ্গের জোর যবর দখলের ধস্তাধস্তি।

মূল কথায় আসি। আমাদের চলার পথের একমাত্র বাঁধা এখন জ্যাম। যারা ঢাকা শহরে চলাফেরা করেন প্রতিনিয়ত তারাই ভুক্তভোগী, কতটা অস্বস্তিতে চলাফেরা করতে হয়। ১০ মিনিটের রাস্তা ২ থেকে ৩ ঘন্টা লেগে যায়। সাধারন মানুষগুলো কর্ম করে খাবে নাকি উপোস রবে সেই চিন্তায় অস্থির? ব্যাঙের ছাতার মতই আমাদের দেশের প্রাইভেটকারের সংখ্যা বেরেই চলছে। কীট পতঙ্গের হাতে দেশের শাসন ব্যবস্থা। দুটি ছবি শেয়ার করা হলো এখানে যাত্রীবাহী গাড়ি হাতে গুণে শেষ করতে পারবেন কিন্তু কীট পতঙ্গের গাড়ি গুণে শেষ করতে পারবেন না।

যানজট নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই সরকারকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রাইভেটকার ব্যবহারকারীদের বিধি করতে দিতে হবে তেল ছাড়া কোন প্রাইভেটকার চলবে না।একদিকে দেশের গ্যাস সংকট দূর হবে অন্যদিকে প্রাইভেটকারের সংখ্যা সেটাও কমে যাবে। যানজটের কবলে মানুষকে আর এতোটা কষ্ট করতে হবে না।

কীট পতঙ্গগুলো গ্যাসের দরুণ গাড়ির সংখ্যা এতোটাই বৃদ্ধি করে চলছে যে, একদিন তারা কাজের বুয়ার জন্য গাড়ি কিনে দিবে। হায়রে দেশ আমার। এই নাকি সোনার বাংলা দেশ। দেশের সরকার প্রধানরা দেশকে একমুখী অর্থনীতি উন্নয়নের পথে ঠেলে দিচ্ছে। এমন সময় তৈরি হচ্ছে কেউ টাকার বিছানায় ঘুমাবে কেউ অনাহারে ধুকেধুকে মরবে।

দেশের আত্মহত্যার সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারন দেশের অর্থের সুষ্ঠু বন্টন করতে পারছে না আমাদের সরকার প্রধানরা। সে কারনেই খবরের পাতায় লিপিবদ্ধ হয় সন্তানকে মেরে পিতামাতার আত্মহত্যা। এমন কি আইনের ক্ষেত্রেও ঠিক একই অবস্থা। যে দেশের বিচার ব্যবস্থা মাঠার মতো, সে দেশের মানুষ কিভাবে স্বস্তিতে বসবাস করতে পারে?