জনগণকে বোকা বানানোর জন্যই যত্তসব নাটক সোনার বাংলাদেশে, রাজনীতি বলে কিছুই নেই

রুদ্র আমিন
Published : 19 August 2015, 11:09 AM
Updated : 19 August 2015, 11:09 AM

সোনার বাংলায় রাজনৈতিক দল বলে কোন দল নেই, খাতা কলমে যে সকল দল নিবন্ধণ করেছে তারা সবাই মৌলিক দিক দিয়ে এক দল। বাংলাদেশ গণতন্ত্রীয় হলেও কার্যক্রমে রাজতন্ত্র। দেশের জনগণ একটু ভেবে দেখতে পারেন যে দল ক্ষমতায় বসে তারাই হয়ে উঠে পঙ্খীরাজ। আসলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ ও জনতার মন জয় করেন তারা কি সেই জনগণের সুযোগ সুবিধার কথা ভাবেন ? একটা দেশের সাধারন নাগরিক হিসেবে যতটুকু প্রাপ্য। ভাবেন না, তারা ভাবতে পারেন না। যারা পৃথিবীকে মনে করে চির দিনের জন্য এসেছেন তারা কি করে ভাবতে পারে।

আমাদের স্বাধীনতা কি আজও জাগ্রত ? সত্যি কি আমার স্বাধীন ? যতটুকু স্বাধীন হয়ে সেটা শুধুই দেশভাগ এর থেকে আর বেশি কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধে যারা অবদান রেখেছে তারা সত্যি তখন বোকা ছিল বলতে হবে। এমনটি বলছি এই কারনে আমাদের প্রশাসন এতোটাই পক্ষপাতিত্ত্ব নিয়ে মশগুল যে সত্য মিথ্যার পার্থক্য ভুলে যায়। যে দল যে সরকার ক্ষমতার আসন গ্রহণ করে সবাই এক নৌকার মাঝি। সত্য কথা বলা যাবে না। সত্য বললেই রাজাকার হতে হবে। কিংবা হাতে হাত কড়া পড়িয়ে নিয়ে গুম করা হবে। এটাই যদি আমাদের দেশের স্বাধীনতা হয় তবে ৪৪ বছর আগে কি ভুল ছিলো ? তখনো আমাদের প্রতি এমন আচরণ করা হতো এখনো হয়।

***জয় বাংলা দাদাদের পড়ানো হয় হাত কড়া আর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বগল বাজিয়ে বলে " এই হলো ৫৭ ধারা " । আর এই সব কিছু দেখেই তাই বলতে ইচ্ছে হয় 'কি এক উদ্ভট ৫৭ ধারার পিঠে' সওয়ার হয়েছি আমরা।-অঞ্জন রায়, নির্বাহী সম্পাদক, জি টিভি, বাংলাদেশ****

"সোজা কথা বলতে কতশত ভয়
রা-এর উল্টো কথা তবুও বলতে হয়।

দেশ আমার যেমন তেমন
রাজনীতিতে বেশ গরম শরম।
দল আছে নীতি নাই
মানবের প্রীতি নাই
চাটুকারের ভীতি নাই
রা-এর রূপরেখার শেষ নাই।

দোষে দোষে সবাই দোষী
তবুও খুঁজে অন্ধবাসী
প্রতিবন্ধী বেজায় খুশী
মিথ্যের ঘরে সত্যের ফাঁসি।"

জামাত বলুন, বিএনপি বলুন, জাপা বলুন আর আওয়ামীলীগ বলুন না কেন ভেতরে ভেতরে তারা সবাই এক। জনগণকে বোকা বানানোর জন্যই যত্তসব নাটক সোনার বাংলাদেশে। আমরা বাঙালি হিসেবে সত্যি বোকা জাতি। যে জাতি দেশের স্বার্থের কথা ভাবে না ভাবে দলের স্বার্থ সেই জাতির হৃদয়ে কতটা দেশ প্রেম থাকতে পারে সেটাই ভাবার বিষয়। এসকল কথা বলতে চাই না তবুও বলতে হয় আমাদের কর্মকাণ্ডের কারনে। আনন্দে বলি না বেদনাহত হয়েই বলি।আসলে চোখের জলের মূল্য নেই সোনার বাংলাদেশে।

'মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনার স্বপক্ষের অকুতোভয় সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে যেভাবে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে কারাগারে প্রেরণ করেছে আমি তার তীব্র নিন্দা করছি। 'দৈনিক জনকণ্ঠে '৭১-এর ঘাতক-দালাল-যুদ্ধাপরাধীদের দুষ্কর্ম প্রকাশের কারণে ২০০১ সালের ২০ এপ্রিল ফরিদপুরের রাজাকাররা তাকে পিটিয়ে কুপিয়ে পা কেটে দেয়। দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ প্রবীর শিকদার পঙ্গুত্ব বরণ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবিরাম লিখে চলেছেন।

১/১১-এর ছদ্ম সামরিক শাসনকালে যখন আওয়ামী লীগের বহু নেতা শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াবার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন, প্রবীর তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়ে 'আমার বোন শেখ হাসিনা' লিখে নেত্রীর গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেছিলেন। আর আজ মন্ত্রিসভার একজন বিতর্কিত মন্ত্রীর সমালোচনার জন্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সন্তান সাংবাদিক প্রবীরকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের যে কোনও মানুষকে তা ক্ষুব্ধ করবে।